মঙ্গলবার ● ২ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » কাউন্সিলর মো.এমরান হোসেনের সাংবাদিক সম্মেলন
কাউন্সিলর মো.এমরান হোসেনের সাংবাদিক সম্মেলন
মো.মাইনউদ্দিন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (১৯ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫৭মি.) খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ইছাছড়ায় জনৈক শাহ পরানের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় মাটিরাঙ্গা পৌরসভা কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেনরে বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ মে মঙ্গলবার মাটিরাঙ্গা পৌরসভা মিলনায়তনে কাউন্সিলরদের ব্যানারে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী জনাকীর্ণ এ সাংবাদিক সম্মেলনে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মোহাম্মদ আলী ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেন। সাংবাদিক সম্মেলনে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোস্তফা, ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মিয়া ও ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেল রানা সহ ১নং ওয়ার্ডের গন্যমাণ্য ব্যাক্তির্ব উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নির্বাচনোত্তর সময় থেকেই মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: এমরান হোসেন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে দাবী করে ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিক অংশ হিসেবেই এ মামলায় তাকে ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে জড়ানো হয়েছে বলে দাবী করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রের জন্য বিগত পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম বাবুকে দায়ী করা হয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে।
গত রবিবার ৩০ এপ্রিল বিকালে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ইছাছড়ার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাবর ছেলে শাহ পরানের বাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে পুজি করে মহল বিশেষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্ঠা করছেন। এসব বন্ধে তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে ব্যাক্তি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটার পরপরই সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনাটি ফোনে জানান তিনি কি করে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটাতে পারেন।
অগ্নিকাটের ঘটনা ঘটার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ যাওয়ার আগে স্থানীয়রা আগুন নিভানোর কোন চেষ্ঠা করেনি এমন অভিযোগ করে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মোহাম্মদ আলী বলেন, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা কেন বা কি কারনে আগুন নিভোনোর চেষ্ঠা করেনি তাও খতিয়ে দেকার চেষ্ঠা করেন।
একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র এখানকার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও মাটিরাঙ্গার উন্নয়নকে ব্যাহত করবে এমন মন্তব্য করে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন লিটন এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষি ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।