শিরোনাম:
●   বিভক্তি বিভাজনের পথে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন বিসর্জন দেয়া যাবেনা- সাইফুল হক ●   রাঙামাটিতে জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ●   তথ্য চাওয়ায় মসিকের প্রকৌশলী কর্তৃক সাংবাদিকদের গালাগালি ●   সাংবাদিক কামরুজ্জামানের সুস্থতা কামনা করেছে জাতীয় মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ●   রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা নারী ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামী ফাহিম চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ●   স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ●   পর্বতারোহী প্রকৌশলী কাওছার রূপক-কে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর ●   জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অলাভজনক করতে পারলে নির্বাচনে ইদুর দৌড় অনেক খানি বন্ধ করা সম্ভব ●   পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ ●   খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ এর গোপন আস্তানার সন্ধান ●   ইয়েন ইয়েনের দেশবিরোধী প্ল্যাকার্ড নেওয়ায় রাঙামাটিতে পিসিসিপি’র বিক্ষোভ ●   ধর্ষক ফাহিম ও রিমন চাকমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ●   রাঙামাটি জেলায় গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ও প্রতিফলন ঘটেনি ●   কাল ১৮এপ্রিল রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন ●   কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   অবিলম্বে মেঘনাকে মুক্তি দিন, ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করুন ●   মার্কিন মদদেই ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যেতে পারছে ●   আত্রাইয়ে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কাগজের ফুল ●   পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান ●   বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক ●   প্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ●   ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ল বিধবার ঘর ●   ১৩ বছর পর জমি দখলে নেয় ভুক্তভোগী, ভিন্নখাতে নিতে অপ-প্রচার ●   দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী ●   রাঙামাটিতে নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার ●   গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হোন - ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি সফল করুন : জুঁই চাকমা ●   বাঙ্গালহালিয়া শিব মন্দিরে ৫ দিনব্যাপী বাসন্তী মায়ের পূজা ●   রাঙামাটি এটিআই শিক্ষার্থীরা ৮ দফা কর্মসূচির ঘোষণা ●   ছেলের দায়ের কোপে আহত মায়ের মৃত্যু ●   সু-প্রদীপ চাকমা রাঙামাটিতে আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ
রাঙামাটি, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
বুধবার ● ৩ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » এক্সক্লুসিভ » কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় পাখি দোয়েল
প্রথম পাতা » এক্সক্লুসিভ » কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় পাখি দোয়েল
বুধবার ● ৩ মে ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কালের পরিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় পাখি দোয়েল

---রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :: (২০ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২০মি.) দেশীয় সুন্দরী পাখি হিসেবে পরিচিত আমাদের বাংলার জনপ্রিয় ছোট পাখি দোয়েল। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে এরা যেন আমাদের গ্রাম-বাংলা ছেড়ে দেশীয় পাখির এস্থান শূন্য করে যাচ্ছে। সকাল হলে এখন আর আগের মতো শোনা যায় না জাতীয় পাখির মধুর ডাক। একটি সময় ছিল এ সব পাখির কলকাকলীতে গ্রাম-বাংলার মানুষের ঘুম ভাঙ্গতো। এখন আর গ্রামে গ্রামে এসব জাতীয় মায়াবী পাখির আগের মত ডাক শোনা যায় না। প্রতিনিয়ত আমরা অাক্রণ করছি আমাদের সবুজ বৃক্ষ সাথে আর নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের মাধ্যমে পাখির আবাসস্থল ধ্বংস ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিকারক বিভিন্ন ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করার প্রভাবে চিরচেনা এ সব পাখি আজ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

আমাদের প্রবীণ ব্যক্তিদের সাথে সরজমিনে কথা বলে যানাযায়, আগে আমাদের সকালবেলার ঘুম ভাঙ্গতো পাখির কলতানে, এখন অাধুনিক যুগে ঘুম ভাঙ্গে বিভিন্ন যানবাহন ও শব্দে। রাত হলে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হতো পাখির ডাকে, আর সন্ধাবেলা এসব পাখি দল বেধে কিছির-মিছির শব্দার্থ উৎসব মুখর হতো আমাদের গ্রাম-বাংলা। তবে আগের কার সময়ে প্রতিটি প্রহরে পাখি ডাকতো কিন্তু এখন প্রহর জানার আর কোন উপায় নেই। বর্তমান প্রজন্ম অনেকে চেনেনা এসব পাখি। বইএ পাখির রচনা তাকলেও বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা জাতীয় পাখি স-চোখে দেখেনা, আগে দুই টাকার নোটে ও দেখা যেত জাতীয় পাখি দোয়েল এর ছবি ? এখন তো নেই বললে চলে! কারণ সময়ের পরিবর্তন।

ঊনসওর পাড়া গ্রামের ইউনুস ফখির(৭৫) সাবেক বেলাল মেম্বার(৪৭)আবুল মনছুর চৌধুরী(৬৫), মেম্বার হাজী আমির হোসেন(৪৫), ঊনসওর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রোকন উদ্দীন সিদ্দিকিন (৩৯) চুয়েটে সভাপতি জামাল উদ্দীন(৩৬) কামরুল মেম্বার(৩৪) এদের সাথে কথা বলে জানাযায়, বর্তমানে আমাদের ছেলে-মেয়েরা শোনেনি এসব পাখির ডাক মনে হয়।আর বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বর্তমানে সময়ে তারা কখনও দোয়েল পাখি উড়তে বা ডাকতে শোনেনি, ফলে আমাদের শিশু-কিশোরদের কাছে দিন দিন এইসব পাখি ইতিহাস হয়ে যাচ্ছে । আর বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বর্তমান এ সময়ে তারা কখনও দোয়েল পাখি উড়তে বা ডাকতে শোনেনি। তারা বইয়ের পাতায় আংশিক ছবি দেখে শুধু জাতীয় পাখি দোয়েলকে চিনেছে।

ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দীন ও পাহাড়তলি ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল এর সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের বয়স যদিও ২৪ বা ২৫ হয় আমরা কিন্তু দেখেছি এসব জাতীয় পাখিকে, আমাদের গ্রাম-বাংলা এই চির সবুজ গাছপালার ডালের বসে শুধু দোয়েল পাখি নয় সব পাখি ডাগ শুনাযেত। এবং এদের এদিক ওদিক ছোটা ছোটি দেখলে মনে আনন্দ জাগালোত। আমরা কিন্তু দেখছি জাতীয় পাখি জাতিয় ফল কিন্তু এ-সময়ের ছেলে-মেয়েদের দেখা তো কল্পনার বিষয় মনে হবে।

ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবু কালাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কৃষকেরা এখন বিভিন্ন ফসলের ক্ষেতে প্রায় সব সময় কীটনাশক ঔষধ প্রয়োগ করে। এতে করে পাখির খাদ্য যেমন ফড়িং, মশা, লেদা পোকা বিভিন্ন প্রকার কীট পতঙ্গ মরা যাচ্ছে এসব পাখি খাদ্যাভাব হওয়াতে এরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পাখিরা কীটনাশক দ্বারা বিষাক্ত এসব পোকামাকড় খেয়ে দিনের পর দিন মারা যাচ্ছে। এ কারণে দেশীয় চিরচেনা সব পাখি কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে।

শুধু তাই নয় পাখি শিকার বিষয়ে আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ হচ্ছে না। এসব দেখার যেন কেউ নেই। ফলে প্রকৃতি থেকে চিরচেনা এসব পাখি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে।

ঊনসওর পাড়া গ্রামের কৃষক আবু কদর, ফকরুল উদ্দীন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান তখন দিনভর ফসলের মাঠে নাচানাচি করতো হরেক রকমের পাখি। পাখির যন্ত্রনায় দিনভর মাঠে ফসল পাহারা দিতে হতো, আবার আধাপাকা অবস্থায় ফসল ঘরেও তুলতে হতো। আজ সেসব পাখি আর দেখা যায় না। তাদের ডাকও শুনতে পাইনা।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)