বৃহস্পতিবার ● ৪ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » ওয়াক ফর লাইফ ক্লিনিক পরিদর্শনে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার
ওয়াক ফর লাইফ ক্লিনিক পরিদর্শনে অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (২১ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ২.০৬মি.) বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জুলিয়া নিবলেট ৩ মে বুধবার গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে ‘ওয়াক ফর লাইফ’ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
বাঁকা পা নিয়ে জন্ম নেয়া বা মুগুর পা (ক্লাবফুট) শিশুদের চিকিৎসা কার্যক্রম সরেজমিনে দেখতে তিনি এটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা ও চিকিৎসাধীন মুগুর পা শিশু ও তাদের বাবা-মার সঙ্গে এবং চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হওয়া শিশু ও তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রকল্পের চিকিৎসা কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ওয়াক ফর লাইফ প্রকল্পটি দি গ্লেনকো ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অংশীদারিত্বমূলক একটি প্রকল্প।
অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। এ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে ওয়াক ফর লাইফ প্রকল্পটি ১৯ হাজারেরও বেশি মুগুর পা বা ক্লাবফুট-শিশুকে তাদের ক্লিনিকে চিকিৎসার আওতাভুক্ত করেছে।
২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল প্রকল্পটির মাধ্যমে শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে ওয়াক ফর লাইফ ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয় এবং এই পর্যন্ত ৫৩৪ জন ক্লাবফুট-শিশুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে জুলিয়া নিবলেট এর সঙ্গে তার স্বামী ডঃ পিটার শ্যানন, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের পাবলিক ডিপ্লোমেসি অফিসার ফাইরুজ নিগার অদিতি, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সৈয়দ মো. হাবিবউল্লাহ, প্রিন্সিপিাল অধ্যাপক ডা. আসাদ হোসেন, উপ-পরিচালক ডা. মো. আলী হায়দার খান, সহকারী পরিচালক ডা. মো. কমর উদ্দীন, বিএমএ গাজীপুর এর সভাপতি ডা. আমির হোসেন রাহাত, ডা. মো. ওয়াকিল আহমেদ প্রমুখ।
ওয়াক ফর লাইফ ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ জামিল হোসেন জানান, এই ক্লিনিকে গাজীপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে আগত ক্লাবফুট-শিশুদেরকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হয় । তিন বছরের কম বয়সী এই রোগে আক্রান্ত শিশুদেরকে প্রতি বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।
তিনি জানান, প্রতিবছর বাংলাদেশে আনুমানিক সাড়ে তিন থেকে চার হাজার শিশু ক্লাবফুট নিয়ে জন্মগ্রহণ করে এটি একটি শারীরিক সমস্যা যেখানে বাচ্চার পায়ের পাতা ভেতরের দিকে বাঁকানো থাকে। এর চিকিৎসা সময়মতো না করালে এটি সারা জীবনের জন্য বিকলাঙ্গতা বা পঙ্গুত্ব বয়ে নিয়ে আসে। এসব শিশু পরবর্তীতে পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে যায়, যা দারিদ্র্যের অন্যতম একটি কারণ।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত এক জমকালো ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘দি গ্লেনকো ফাউন্ডেশন’ তাদের ‘জাতীয় ক্লাবফুট চিকিৎসা কার্যক্রম’ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও ক্লাবফুট চিকিৎসায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ-সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের পদক লাভ করে।