শনিবার ● ৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » হাত-পা অচল প্রতিবন্ধী নজিদ মারাক ভাতা পেলনা
হাত-পা অচল প্রতিবন্ধী নজিদ মারাক ভাতা পেলনা
ময়মনসিংহ অফিস :: (২৩ বৈশাখ: ১৪২৪ বাংলাদেশ বিকাল ৪.০৯মি.) ময়মনসিংহের ভালুকায় হাত-পা অচল প্রতিবন্ধী উপজাতি নজিদ মারাক ভাতার জন্য যুগ যুগ ধরে জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কপালে ভাতার কার্ড জুঠেনি। জীবনের প্রায় শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে এখনও আশায় আশায় ঘুরছে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য।
জানা যায়, ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত জগীন সাংমার ছেলে প্রতিবন্ধী নজিদ মারাক (৬৫)।প্রতিনিয়ত স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, নেতাদের আশার বাণী ভাতা পাবে। কিন্তু কবে নাগাদ তার ভাতা হবে সেই আশায় বুক বেঁধে আছে ৬৫ বছরের বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী নজিদ মারাক । দিন যায়, বছর যায়, নির্বাচন যায়, জনপ্রতিনিধি পাল্টায় কিন্তু ভাগ্য ঘুরে না নজিদের। প্রতিবন্ধী ভাতা নামক সোনার হরিণ তাকে আজও ধরা দেয়নি।
একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে সে ঘুরছে। কিন্তু তার ভাগ্যে এখনও কোন ভাতার ব্যবস্থা হয়নি। নজিদ মারাক কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন, বাপ দাদার আমল হতে নৌকায় ভোট দেই। আমার ১টি হাত ও ১টি পাঁ অচল । একটি ভাতার কার্ডের জন্য পর পর ৩টি নির্বাচিত চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। তারা সবাই বলছে পাবে। কিন্তু নির্বাচনের পরে তারা পাল্টে যায়, কিন্তু আমার ভাগ্য পাল্টায় না। মানুষের কাছে চেয়ে চেয়ে এনে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। আমার সংসার বলতে কেউ নাই। বউ, ছেলে মেয়ে তারাও প্রায় ৩০বছর আগেই আমাকে ফেলে হালুয়াঘাট চলে গেছে। সরকারের কাছে অনুরোধ আমাকে একটি ভাতার ব্যবস্থা করলে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কিছুটা হলেও কষ্ট লাগব হতো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ আপনি তো গরীবের দুঃখ দূর্দশা দেখেন, তাই আমাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দিলে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতাম।
ডাকাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, আমার কাছে যা ছিলো তা দিয়ে দিয়েছি। আগামীতে আসলে অবশ্যই তাকে দেওয়া হবে।