শনিবার ● ৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » হালুয়াঘাটে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে ‘শিওর ক্যাশ’ এজেন্টদের কমিশন বাণিজ্য
হালুয়াঘাটে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে ‘শিওর ক্যাশ’ এজেন্টদের কমিশন বাণিজ্য
ময়মনসিংহ অফিস :: (২৩ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.২৫মি.) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে হয়রানী ও ‘শিওরক্যাশ’ এজেন্টদের কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদেরকে ‘শিওরক্যাশ’র মাধ্যমে দ্রুত উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে শিক্ষার্থীদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণের পাশাপাশি উপবৃত্তি প্রদানে অনিয়ম ও দূর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
হালুয়াঘাট উপজেলায় ১৬৫ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৬১ টি বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৮২৩৯ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে। উপবৃত্তির টাকা রূপালী ব্যাংকের অধীনে ‘শিওরক্যাশ’র মাধ্যমে মোবাইলে প্রদান করা হচ্ছে। আর এই টাকা বিভিন্ন বিদ্যালয়ের আশেপাশের বাজারে শিওরক্যাশ’র এজেন্ট দোকানের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়। এই সুযোগে দোকানের মালিকগণ শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলনের সময় ৪শত টাকায় ২৫ টাকা এবং ৬শত টাকায় ৪০টাকা কমিশন বাণিজ্য করছে। একে অনিয়ন দূর্নীতি বলে দাবী করছেন স্থাানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক মহল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শিওর ক্যাশ’র এজেন্টরা প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনে কমিশন বাণিজ্যের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। উপজেলার ধারা বাজারে বলাই নামে এক এজেন্ট ও পাশের উপজেলা ফুলপুর টেলিকম সেন্টার এ দু’টি শিওরক্যাশ’র দোকান থেকে শিক্ষার্থীদের টাকা উত্তোলনের সময় উল্লেখিত হারে টাকা নেয়া হচ্ছে । এ সময় উপজেলার কয়রাহাটি গ্রামের কিতাব আলীর পুত্র আব্দুল হাকিম ও বাউশ্রা গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের স্ত্রী জরিনা খাতুন শিওর ক্যাশ’র এজেন্টরা তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে বলে জানায়। তারা আরও বলেন, উপবৃত্তির ৪০০ টাকা উঠাতে ২৫ টাকা কমিশন আর বাড়ি থেকে বাজারে আসা-যাওয়ায় ৬০ টাকা মোট ৮৫ টাকা চলে যায়। এতে তাদের একদিকে যেমন অর্থদন্ড অন্যদিকে হয়রানীর শেষ নেই। এ বিষয়ে শিওর ক্যাশ’র এজেন্ট বলাইকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা প্রথমে নিয়েছি এখন থেকে আর অতিরিক্ত টাকা নেবো না। রূপালী ব্যাংকের ধারা বাজার শাখা ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মোঃ শাহাদাত হোসেন সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, শিওরক্যাশ’র কতগুলো এজেন্ট হালুয়াঘাটে রয়েছে এ বিষয়ে আমার কাছে নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। আর বেশী নেওয়ার বিষয়ে আমি অবগত নই, বিষয়টি মাত্রই জানলাম, আর আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে বেশী টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আমি শিওরক্যাশ’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তা হলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের এজেন্টশীপ বাতিলসহ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।