শনিবার ● ৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ময়মনসিংহে এতিম শিশুকে ধর্ষণ: ধর্ষক গ্রেফতার
ময়মনসিংহে এতিম শিশুকে ধর্ষণ: ধর্ষক গ্রেফতার
ময়মনসিংহ অফিস :: (২৩ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মি.) ময়মনসিংহে নয় বছরের এতিম শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষকের নাম আবুল কাশেম। ধর্ষক আবুল কাশেম ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ রঘুরামপুর কসাইপাড়ার মৃত মফিজউদ্দিন বেপারীর ছেলে।
শনিবার (৬ মে) বিকেল চারটার দিকে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের কসাইপাড়ায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) মনছুর আহমেদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ায় এবং আমাদের নজরে আসার পর এ ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হয়। এরপর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর ও এসআই মিনহাজের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জ রঘুরামপুর কসাইপাড়া থেকে মৃত মফিজউদ্দিন বেপারীর ছেলে ধর্ষক আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পারিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মে মাঠে খেলাধুলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শম্ভুগঞ্জ রঘুরামপুর কসাইপাড়া এলাকার ছাগল ব্যবসায়ী দুই সন্তানের জনক আবুল কাসেম শিশুটিকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে ঘটনার দিনই শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন শিশুটি। তার শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো বলে জানান চিকিৎসক।
এলাকাবাসিরা জানান, ধর্ষিতা শিশুটির বাবা ছিলেন একজন গাড়িচালক। কোনো অভিভাবক না থাকায় তার আত্মীয়স্বজন ও কিছু নামধারী সালিসদার গোপনে সালিস করে- ‘শিশুটি বিবাহযোগ্য অর্থাৎ সাবালিকা হওয়ার পর তাকে বিয়ে করবে ধর্ষক ব্যক্তিটি, একই সঙ্গে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।’ সালিসদাররা এর মাধ্যমে জরিমানার নামে টাকা আত্মসাৎ ও মেয়েটি সাবালিকা হলে বিয়ের কথা বলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। সালিসকারীরা প্রভাবশালী বলে তাদের নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।
এদিকে অভিযানের নেতৃত্বদানকারী এসআই জাহাঙ্গীর সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশ স্বপ্রোণোদিত হয়ে আবুল কাশেম ও ভিকটিমের আত্মীয়স্বজন ও সালিসদারদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শিশু ধর্ষণ কিংবা সালিসের বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তিনি বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ না পেলে আমাদের কিছুই করার নেই।