সোমবার ● ৮ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীর লোন্দা-নমরহাট সড়কে জন চলাচলে চরম ভোগান্তি
পটুয়াখালীর লোন্দা-নমরহাট সড়কে জন চলাচলে চরম ভোগান্তি
হাসন আলী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:: (২৫ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.২৫ মি.) সম্পুর্ণ সিলকোট উঠে গেছে। ইটের খোয়া সরে বালু পর্যন্ত বেরিয়ে গেছে অধিকাংশ জায়গায়। এখন এটিকে লাল রাস্তা নামেই চেনেন মানুষ। যেন যক্ষ্মা রোগির বুক। ভাড়াটে হোন্ডা, টমটম কিংবা ভ্যানে কেউ চড়তে চায় না। কারণ লাল ধুলায় জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। তারপরও যার দায় পড়েছে তাকে চলতেই হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। কবে এই রাস্তাটি সিলকোট করা হয়েছে তা এলজিইডির স্থানীয় উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানাতে পারেননি। তবে ধানখালীর চেয়ারম্যান লতিফ গাজী জানালেন প্রায় ১০ বছর আগে (২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে) রাস্তাটি করা হয়েছে। একই কথা অনেক ভাড়াটে হোন্ডা চালকদের।
লোন্দা খেয়াঘাট থেকে নমরহাট পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর পাকাকরন করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। কত টাকা ব্যয় তাও কেউ জানাতে পারেন নি। নির্মাণকালেও রাস্তাটি সঠিকভাবে করা নিয়ে মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। এখন সবাই বলছেন ১৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজের মালামালবাহী ভারি যানবাহন চলাচলে রাস্তাটির এমন বেহালদশা হয়েছে। তবে বিদ্যুত কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরুর আগেই শত শত স্পটে খানা-খন্দ হয়ে যায়। পরে তা একাকার হয়ে গেছে। এখন এ রাস্তাটি সেখানকার মানুষসহ শত শত শিক্ষার্থীর চলাচলে চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে শোনা যায় বিদ্যুতপ্লান্ট কর্তৃপক্ষ লোন্দা খেয়াঘাট থেকে হাফেজ প্যাদার বাজার সংলগ্ন টিয়াখালীর ব্রিজ পর্যন্ত মেরামত করে দিবে। কিন্তু বাকি অংশের কী হবে? এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে সামান্য জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটায় গোটা সড়কটি ভেসে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত এ বেড়িবাঁধটি কে করবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার দোলাচলে পড়েছে। আর ধানখালীর ৪০ হাজার মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। সকল শ্রেণির মানুষের দাবি কে করবে তা বিষয় নয়। দাবি একটাই রাস্তাটি সংস্কার করা হোক। নইলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়বে।