বৃহস্পতিবার ● ১১ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ধর্ষনের দায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ধর্ষনের দায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তিন নেতা গ্রেফতার
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহিনসহ তার দুই সাগরেদ ধর্ষনের দায়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। শাহিন কোটচাঁদপুর ট্রেন স্টেশনপাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে। গ্রেফতারকৃত অন্য দুই ধর্ষক হচ্ছে যুবলীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও ট্রেন স্টেশন পাড়ার শ্রীকান্তের ছেলে কৃষ্ণ কুমার ও একই পাড়ার হারেজ আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদ। কৃষ্ণের বাবা চা বিক্রেতা ও রাজুর মা ভিক্ষাবৃত্তি করে। এদের মধ্যে কৃষ্ণ ও রাজু কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরের বর্ডিগার্ড বলে পুলিশ জানায়।
আজগার আলী ও সবুজ নামে আরো দুই ধর্ষককে খুজছে পুলিশ। কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী দুই জন পলাতক রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসি সুত্রে প্রকাশ গত সোমবার কালীগঞ্জ উপজেলার নলডাঙ্গা ও মনোহরপুর গ্রামের দুই মেয়ে কোটচাঁদপুরে আসে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকায় যাওয়ার জন্য। তারা গার্মেন্টসে কাজের সন্ধানে ঢাকায় যাচ্ছিলো। রাতে তারা ট্রেনের জন্য কোটচাঁদপুরে প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছিলো।
এ সময় যুবলীগ নেতা কৃষ্ণ, রাজু, সবুজ, আজগার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাহিন তাদের উঠিয়ে প্রথমে বিহারীপাড়ার বেবি নামে এক মহিলার বাড়িতে নিয়ে যায়। বেবি জায়গা না দিলে মেয়ে দুইটিকে সরকারী কলেজের পেছনে রিক্সা চালক আজিমের কলোনীতে নিয়ে তার স্ত্রীর সহায়তায় সারা রাত ধরে পাশবিক নির্যাতন চালায়। বিষয়টি জানা জানি হয়ে পড়লে কোটচাঁদপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার ও ইমরান নামে এক দারোগা ষাট হাজার টাকায় রফা করে বলে প্রচার হয়।
ধর্ষনের ঘটনাটি ব্যাপক ভাবে জানাজানি হয়ে পড়লে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়। কোটচাঁদপুর পৌর সভার মেয়র জাহিদুল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ধর্ষকরা তার কোন দেহরক্ষি নয়। তারা ছাত্র ও যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তারা কেন আমার সাথে বেড়াবে ? প্রশ্ন রাখেন মেয়র জাহিদুল।
বিষয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুরিশ সুপার রেজাউল করিম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমি ট্রেনিংয়ে ঢাকায় আছি। তবে এ ধরণের ঘটনা ঘটে থাকলে কোন আপোষ নয়। মেয়ের চাচা বরুজ্জামান ও নিকটাত্মীয় মতিয়ার রহমান জানান, মেয়ে দুইটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তারা যার যার নাম বলছে এবং চিনতে পেরেছে পুলিশ তাদের তাদের আসামী করছে। কোটচাঁদপুর থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, বুধবার বিকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেয়ে দুইটিকে ঝিনাইদহে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।