শুক্রবার ● ১২ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবনে ২৬টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপের জন্ম
সুন্দরবনে ২৬টি বিরল প্রজাতির কচ্ছপের জন্ম
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে :: (২৯ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১০মি.) সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ডিম থেকে ২৬টি বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের বাচ্চা হয়েছে।
৮-১০ মে পর্যন্ত ৩ দিনে ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের ডিম থেকে বাচ্চাগুলি বের হলে নিবিড় পর্যাবেক্ষণে রাখা হয়।
১২ মে শুক্রবার সকালে এ বাচ্চাগুলি করমজলের কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের চৌবাচ্চায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে করমজল কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আবদুর রব সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, গত ৩ মার্চ পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রথমবারের মতো ৩১টি ডিম পাড়ে একটি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ। দুই মাসের ব্যবধানে ওই ডিম থেকে ৮ মে ৪টি, ৯ মে ১৯টি এবং ১০ মে ৩টি কচ্ছপের বাচ্চা হয়।
তিনি জানান, বাকি ৫টি ডিমের মধ্যে ৩টি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ২টি ডিম থেকে ২-১ দিনের মধ্যে ২টি কচ্ছপের বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়াকে জানান বাংলাদেশ বন বিভাগ আমেরিকার টারটেল সারভাইভাল এলায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু ও প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের কুমির ও হরিণের পাশাপাশি ২০১৪ সালে গড়ে তোলা হয় বিরল প্রজাতির ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র।
এ প্রজনন কেন্দ্রে সদ্য জন্ম নেয়া ২৬টি বাচ্চা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সী ১২৩টি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ গবেষণার জন্য রয়েছে।
এক সময়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ লবণাক্ত পানিতে প্রচুর পরিমাণে ‘বাটাগুর বাসকা’ বা বড় কাটালি কচ্ছপ পাওয়া যেত। সময়ের বিবর্তনে এই প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্তের পথে।
‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপের সারাবিশ্বে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খাদ্য হিসাবেও এর রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। প্রাপ্তবয়স্ক একটি ‘বাটাগুর বাসকা’ কচ্ছপ ২৫-৩০ কেজি ওজনের হয়। এ কচ্ছপ ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।