রবিবার ● ১৪ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে মানুষ ও পাখির মধ্যে ভালবাসার বিরল দৃষ্টান্ত
রাঙামাটিতে মানুষ ও পাখির মধ্যে ভালবাসার বিরল দৃষ্টান্ত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৩১ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১.৩৮মি.) মানুষ ও পাখির ভালবাসার বিরল দৃষ্টান্ত দেখালেন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি শহরের মাঝেরবস্তী এলাকার শোভা ত্রিপুরা।
এ যেন মানুষ আর প্রকৃতির মধ্যে এক আত্মীয়তার অমীয় বন্ধন।
১৩ মে শনিবার সরোজমিনে গিয়ে শোভা ত্রিপুরার সাথে কথা বলে জানা যায়, যেখানেই মানুষের সবচেয়ে বেশী আনাগোনা ঠিক বাড়ীর প্রধান দরজার পাশে লাগানো ছোট্ট পাতা বাহার গাছের ডালেই গত ৩সপ্তাহ আগে বাসা বেঁধেছিল দেশীয় পাখি বুলবুলি। যে পাখি কখনো পোষ মানেনা এবং মানুষের সংস্পর্শেও আসেনা। সেই থেকে ডিমে তা দিয়ে ৩টি বাচ্চা নিয়ে মা-বাবা পাখি তার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
প্রথম দিকে মানুষের আনাগোনায় পাখিরা ভয় পেলেও এখন আর তেমন ভয় পায়না। পাখিদের নিজের সংগ্রহ করা খাবারের পাশাপাশি শোভা ত্রিপুরা ও তার ৩ কন্যা সন্তান শান্তা, পুষ্প ও ফাল্গুনীর হাতে দেওয়া খাবার ও পানি নির্ভয়ে খেয়েই বড় করছেন মা-বাবা পাখিগুলো তাদের বাচ্চাদের।
পাখিগুলো বাধ্য মানব শিশুর মত ভালবাসা, শাসন, আদর, সবই যেন বোঝে মানুষের মত। সচরাচর খুব কমই দেখা যায় এ ধরনের দৃশ্য।
এ দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই প্রতিবেশীরা প্রায় সময় ভিড় জমায় প্রভা ত্রিপুরার বাসায়। শোভা ত্রিপুরা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, আমার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তেমনি এই পাখিগুলোরও রয়েছে তিনটি বাচ্চা তাই আমি আমার সন্তানের মতো করেই তাদের দেখি। কেউ যেন তাদের ক্ষতি করতে না পারে সেদিকে সবসময় লক্ষ্য রাখি।
তিনি আরো বলেন, ভালোবাস-মায়া মমতা পেলে পাখি কেন হিংস্র বাঘকেও পোষ মানানো সম্ভব। কেউ যেন পাখি শিকার এবং প্রানীকুল ও প্রকৃতিকে ধংস না করে তাদের সংরক্ষন করারও পরামর্শ দেন তিনি।