সোমবার ● ১৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » সিলেটে ফেনসিডিল ব্যবসায়ীর কারাদন্ড
সিলেটে ফেনসিডিল ব্যবসায়ীর কারাদন্ড
সিলেট প্রতিনিধি :: (১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৩মি.) সিলেটের শাহপরান গেইটে ফেনসিডিল বিক্রির দায়ে দায়েরকৃত মামলায় মাদকদ্রব্য আইনে এক ফেনসিডিল ব্যবসায়ীকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও তার সহযোগীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
১৪ মে রবিবার সিলেটের বিশেষ দায়রা জজ (জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল) আদালতের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভূঞা এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. লোকন আহাম্মদ (২৫)। সে জৈন্তাপুর থানার নিজপাট এলাকার পানিয়ারা গ্রামের আতাউর রহমান আতা ড্রাইভারের পুত্র। আর খালাসপ্রাপ্ত হলেন শাহপরান থানার ভাওয়ালটিলার বাসিন্দা বাহার উরফে বাহা উদ্দিন (৩৫)।
রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী লোকন আহাম্মদ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহপরান গেইট মধুবন মিষ্টি ঘরের সামনে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মো. লোকন আহাম্মদকে গ্রেফতার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা দামের ১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ২ বোতল জেনোসিডিল উদ্ধার করে।
তখন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে লোকন শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদকসেবীদের কাছে বিক্রয় করে আসার কথা স্বীকার করে। এ ব্যাপারে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই মো: হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে ২ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নং ৭ ( ০৯-১১-১৩)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারী মহানগর গোয়েন্দা শাখার এসআই (নি:) মো. রফিকুল ইসলাম ২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং একই বছরের ২২ এপ্রিল থেকে আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন।
দীর্ঘ শুনানী ও ৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী মো. লোকন আহাম্মদকে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) ধারার টেবিলের ৩ (ক) ক্রমিকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে উল্লেখিত দন্ডাদেশ এবং অপর আসামী বাহার উরফে বাহা উদ্দিনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি এডভোকেট নওসাদ আহমদ চৌধুরী ও আসামীপক্ষে এডভোকেট মো. আব্দুল জলিল ও এডভোকেট মো. আলতাব হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।