বৃহস্পতিবার ● ১২ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন দক্ষ, দূরদর্শী, প্রযুক্তি ও সেবা- মনস্ক, পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত নেতৃত্ব
বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন দক্ষ, দূরদর্শী, প্রযুক্তি ও সেবা- মনস্ক, পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত নেতৃত্ব
সবখবর২৪, বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৫: সবখবর২৪ এর সম্পাদক ড. মু. জানে আলম রাবিদ এক আলাপচারিতায় মুখোমুখি হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপার্চায (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা: মো: শারফুদ্দিন আহমেদ এর সাথে।
ডা: শারফুদ্দিন বাংলাদেশের একজন স্বনামখ্যাত চিকিৎসক এবং অন্যতম সফল সংগঠক, প্রশাসক, এবং চিকিৎসক নেতা। তিনি একাধারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এর শিক্ষক, প্রো-ভিসি, কমিউনিটি অপথালমোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান, অপথালমোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং কমিউনিটি অপথালমোলজি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট।
জনাব ডা: শারফুদ্দিন ১৯৬৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার তহবিল সংগ্রহের দ্বায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন্ পর্যায়ে- যেমন স্কুল, কলেজ, ও মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সভাপতি সহ বিভিন্ন পদে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই পরীক্ষিত সৈনিক সকল প্রলোভন ও ভয়- ভীতি উপেক্ষা করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে সর্বদা দলীয় ও পেশাগত দ্বায়িত্বের প্রতি সম্মান রেখে দেশ ও জনগণের সেবা করে গেছেন।
তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের পর পর তিনবার ট্রেজারার ছিলেন, যা তার সততা ও নেতৃত্বের প্রতি সবার অগাধ আস্থার পরিচায়ক।
ডা: শারফুদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম- মহাসচিব।
সম্মানিত পাঠক, চলুন আমরা তার জবানীতেই শুনে নেই তার বর্তমান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনাঃ
সবখবর২৪ : আপনার প্রশাসনিক ও জন-সংযোগ কার্যক্রমের ধরণটা কী?
ডা: শারফুদ্দিন আহমেদ : আমি সবাই কে সময় দেই, সবার কথা শুনি, সবার প্রয়োজনীয় কাজগুলো করার চেষ্টা করি, তাই সারাদেশে আমার গ্রহনযোগ্যতা বেশী । সবাই জানে যে আমি চেষ্টা করি, সব কাজে তো সফল হওয়া যায়না, তারপরেও আমার প্রচেষ্টার কারণে আমি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য। এখানে প্রোভিসি হিসেবে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্বায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তার একজন স্নেহভাজন ও আস্থাভাজন ব্যক্তি। উনি একটা কথা একবার বলেছিলেন আগের কোন এক কর্মকর্তাকে- শুধু বিল্ডিং বানালে হবে না মানুষ যেন সেবা পায়। আমি ওনার সাথে দেখা করে ওই কথাটি বলেছিলাম যে, এই বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শুধু বিল্ডিং বানাবো না আপনার যে কথাটা “রোগীর সেবা বৃদ্ধি” -ওইটাই হবে আমার প্রধান মডেল। কারণ, এই হাসপাতাল গুলো দেখার দায়িত্ব কিন্তু প্রোভিসির(প্রশাসন)। কাজেই- রোগীর সেবা বৃদ্ধি, আমরা এখানে পুরো সময় যাতে ডাক্তার পাওয় যায় তার ব্যবস্থা করে দেওয়া আমার অন্যতম দ্বায়িত্ব । বিদেশে যেমন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা হয় আমার এখানেও কিন্তু বিকাল বেলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা আমরা শুরু করেছি। এই হাসপাতালে কিন্তু জরুরী চিকিৎসা নাই আপনারা জানেন, আমার কাছে আজকেও এক রোগী জানতে চয়েছেে যে আমার অমুক রোগীর প্রসাব বন্ধ হয়ে গেছে এখানে আনবো কিনা ; আমার এখানে কিন্তু ইউরোলজীর ইমারজেন্সি নাই, আমি ঢাকা মেডিকেলে যেতে বলেছি। অর্থাৎ, এটা আমাদের একটা দুর্বলতা। আমি আপনাদের কথা দিতে পারি যে বর্তমান প্রশাসন থেকে আগামী তিন মাসের মধ্যে আমরা ইমারজেন্সি চালু করবো । আমি এই হাসপাতালে মেডিকেল ইলেকট্রনিক রেকর্ড কিপিং সিস্টেম মানে রেকর্ড কিপিংয়ের জন্য ডিজিটালাইজড সিস্টেম করেছি, আমরা অটোমেশন করতে যাচ্ছি খুব তাড়াতাড়ি। প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্টে ইনভেস্টিগেশন, ডিপার্টমেন্টের সাথে এমন সংযোগ থাকবে যে ওখানে কী ইনভেস্টিগেশনের রিপোর্ট, তা আমি আমার ডিপার্টমেন্টে বসে অনলাইনে দেখবো।
সবখবর২৪: আপনার আর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে?
ডা: শারফুদ্দিন আহমেদঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা এখানে বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। রোগীরা- ডাক্তাররা সবাই এই ডিজিটাল লাইভ অটোমেশনের মাধ্যমে তথ্য জানতে পারবে। আমাদের এখানে শিক্ষকদের যারা বঞ্চিত, তাদেরকে আমি প্রমোশনের ব্যবস্থা করতে চাই। যারা কনসালটেন্ট লেভেলের তাদের প্রমোশন দিতে চাই। যারা কর্মচারী কর্মকর্তা আছে তাদের পদোন্নয়নের ব্যবস্থা করতে চাই। এগুলো কেনো করতে চাই কারণ, হতাশা থাকলে কিন্তু কাজ হয় না। যাকে আপনি দেখবেন হতাশ সে কোন ভাল কাজ করে না। আমি মনে করি যে, প্রয়োজনে আমরা আউটার ক্যাম্পাস করবো, তাহলে আমার জায়গা লাগবে, সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে হয় পূর্বাচল অথবা কেরানীগঞ্জে জায়গা চাইব। আমাদের কিন্তু থাকার জায়গা নেই । যেখানে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আপনারা দেখবেন যে তাদের কিন্তু কত খানি এরিয়া আমার এরিয়া কিন্তু কম । তারপরেও আমরা বিশ্ববিদ্যালয়টাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমরা তো সীমিত সম্পদের মধ্যে থাকি। ২৭ ডলার হলো আমাদরে পার কেপিটা হেলথ বাজেট, একটা লোকের জন্য এ দিয়ে কিন্তু হয়না। আজকে স্বাস্থ্য খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমডিজি পুরস্কার পেয়েছেন । আজকে এমডিজি ওয়ান, টু, থ্রি , ফোর মানে গণশিক্ষা, মহিলাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি,এইচআইভি, এলডিজি অর্থ্যাৎ, শিশু মৃত্যু, মাতৃমৃত্যু, পরিবেশ উন্নয়ন সবক্ষেত্রে ক্ষেত্রে কিন্তু উনি পুরস্কার পেয়েছেন। এসডজিতিওে আমরা এগিয়ে যাবো। এটাতেও ওনি সাকসেসফুল হবেন বলে মনে করি। আমি মনে করি সেই সহায়তাকারী হিসাবে আমি কাজ করবো একজন প্রোভিসি হিসেবে। একাডেমিক ক্ষেত্রেও আমরা সফল। আপনারা জানেন যে, এত স্বচ্ছ পোষ্ট গ্রাজুয়েট এডমিশন টেষ্ট নিয়েছি আমরা। পত্র- পত্রিকায় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কথা আসে বিভিন্ন ইউনির্ভাসিটি নিয়ে, কিন্তু আমাদের ব্যাপারে আসে নাই । সকাল ৮:০০ থেকে রাত ৩:০০ পর্যন্ত বসে সবাই মিলে আমরা স্বচ্ছ ভাবে রেজাল্ট দিয়েছি গ্রাজুয়েট মেডিকেলের এডুকেশন অ্যাডমশিনরে। আমি আরেকটা জিনিস করতে চাই সেটা হলো যে আমাদের লাইব্রেরীটাকে উন্নত করতে চাই, আর কিছু প্রজেক্ট আছে আমাদের যেমন, এখানে রেডিওথেরাপি বিল্ডিং হবে, আমাদের পিছনে একটা হাসপাতাল হবে। আমাদের এখানে একটা কনভেনশন সেন্টার লাইব্রেরী হবে ফর দ্যা এক্সটারনাল। বিদেশীরাও যাতে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করবো। এই কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, আর আমাদের কাজের পরিধি বাড়ানো জন্য সবাই যাতে নিষ্ঠার সহিত কাজ করে সেজন্য কাউনসেলিং করা । এটাই তো আমার কাজ, তারা যাতে সময়মত আসে, সময়মত কাজ করে এগুলো আমরা করতে যাচ্ছি। আমি মনে করি যে অতীতের চেয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের প্রশাসনের মাধ্যমে ভালোভাবে এগিয়ে যাবে, আরো ভালো হবে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন যে এখানে সার্ভিস বেড়েছে।
সবখবর২৪: আপনি তো মূলত একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ, এ ব্যাপারে আপনার কী বিশেষ কোন ফোকাস আছে?
ডা: শারফুদ্দিন আহমেদঃ আমি চক্ষু বিশেষজ্ঞ হলেও প্রো-ভিসি হিসেবে সবার । আমাদের দেশে বর্তমানে দরকার হলো প্রতি হাজারে একজন, অন্তত, ১ লাখ ৬০ হাজার চক্ষু চিকিৎসক । এখন ৬০ হাজার ডাক্তার আছে । তাহলে আরো এক লাখ ডাক্তার লাগবে। কার্ডিওলজিস্ট ও আমাদের কম আছে। তারপরেও আমাদের সীমিত সম্পদের মধ্যে বাংলাদেশে আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি, এখন কিন্তু বিদেশে লোকজন আর বেশি চিকিৎসা নিতে যায় না। আগে যত যেত ঢালাওভাবে। এখন কিন্তু ৯০% লোক দেশে আর ১০% লোক যারা ্ওই যে বাজার করতে থাইল্যান্ডে যায় সিঙ্গাপুরে যায়, ওই রকম যেয়ে চোখ দেখিয়ে আসে। । এটা হলো তাদের নিজস্ব ব্যাপার এটা আমরা কখনোই নিষেধ ও করতে পারবো না। আমি যে কথাটা বলছিলাম যে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।
সবখবর২৪: আপনার সাংগঠনিক সাফল্য সর্ম্পকে কিছু বলুন
ডা: শারফুদ্দিন আহমেদঃ আমি সেক্রেটারির জেনারেল থাকা অবস্থায় প্রথম বাংলাদেশে ডিপিসি হয়েছে। ডিপিসির মাধ্যমে আমরা পদোন্নয়ন দিয়েছি এই প্রথম। অর্থ্যাৎ , ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক পদোন্নতি এই প্রথম বাংলাদেশে এবং যার ফলে, মেডিকেল অফিসাররা এখন প্রফেসর পদে উন্নীত হয়েছে বলে শিক্ষক সংকট নাই। আরো যে গুলো আছে আমি মনে করি যে খুব তারাতারি ডিপিসি-এর মাধ্যমে শিক্ষক সংকট দূর করবে।
মেডিকেল কলেজ গুলোতে ওষুধপত্র আগের চেয়ে অনেক ভালো সাপ্লাই আছে। মেডিকেল কলেজ গুলোতে ইন্সট্রুমেন্ট এর অভাব নাই। তবে ম্যানপাওয়ার এর সাথে সাথে কিছু অবকাঠামো বাড়ানো দরকার। সাথে সাথে এডমিনিস্ট্রেশনে যারা আছেন বিশেষ করে উপজেলা- জেলা লেভেলে, তাদরে একটু ফাইন্যানশিয়াল অথোরেটি দিতে হবে। একটা অ্যাম্বুলেন্সের চাকা যদি নষ্ট হয়ে যায়, ওইটার জন্য অনুমোদন নিতে ৬ মাস সময় লাগে, ওই অ্যাম্বুলেন্স আর কাজে লাগে না, পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য আমি চাই ফাইন্যানশিয়াল এডমিনিস্ট্রেশনে যদি কিছুটা অটোনমী দেওয়া যায় তাহলে ভালো হয়।
আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশে চিকিৎসকদের একটাই জাতীয় সংগঠন সেটা হলো বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন। যেখানে আমি বললাম আমি অনেক পদেই ছিলাম। সর্বশেষ ছিলাম মহাসচিব। এই স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদে আমার কিন্তু আজ থেকে ১৩ বছর আগে মহাসচিব হওয়ার কথা। আমি এই সংগঠনের কিন্তু প্রতিষ্ঠাতার জয়েন্ট সেক্রেটারি। যিনি মহাসচিব ছিলেন তার পরের জনই ছিলাম আমি ১ নম্বর জয়েন্ট সেক্রেটারি।
তাহলে উনি চলে গেলে তো আমারই আসার কথা কিন্তু নানা কারণে আমি হয় নাই। এটা ছিল ১৯৯৩ সালে যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন। ২০০৩ সালে এসে আবার পরিবর্তন হয়। সেই টাতে যিনি মহাসচিব হোন ওনি ১২ বছর কোন সম্মেলন করেননি। এটা সাংগঠনিক রীতি-নীতি না। যিনি সাংগঠনিক তার কাজ কি তিনি প্রতি মাসে মাসে একটা ইসি মিটিং প্রতি ৩-৪ মাস পর পর একটা জাতীয় কমিটির মিটিং এবং প্রতি মাসের হিসাব, বছরের হিসাব এবং মিটিংয়ের হিসাব থাকা দরকার। কিন্তু এই সংগঠনে ১২ বছরের কোন হিসাব নাই। কোন রকম কোন ইসি মিটিং নাই হয়তো ১৩ বছরে ৭ মিটিং হয়েছে। এটাতো কোন সংগঠন না।
যাহোক, আগামী ১৩ তারিখে যে সম্মেলন হতে যাচ্ছে আমি মনে করি এখানে রাজনৈতিক যারা ছাত্রলীগ করে আসছে তারা কিন্তু বুঝে যে সংগঠন কীভাবে চালায়, যারা যুবলীগ করে আওয়ামীলীগ করে তারা কিন্তু বুঝে যে সংগঠন কিভাবে চালায়। এই সংগঠন টাকে সচল করার জন্য আমি মনে করি যারা রাজনৈতিক তাদের মধ্যে থেকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যদি সিলেক্ট করে দেয় আমার মনে হয় গন্ডগোল পরিহার করা যাবে। কারণ, ১৩ বছরে ১৩ টা উপদল হয়েছে এই জায়গায় ্ওই উপদল গুলোর মধ্যে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা চাইনা যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন রকম কোন ঝামেলা হোক। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যাকেই বেছে নিবেন ২ জন প্রেসিডিয়াম সেক্রেটারি, আমরা বাকি কমিটি পরে করবো। ওনি যাদের বেছে নিবেন আমি মনে করি বাংলাদেশের সকল চিকিৎসক তাদেরকে গ্রহন করবে। এবং তারা ফুলের মালা নিয়ে ধানমন্ডি -৩২ এ গিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলের মালা দিয়ে ঘরে ফিরে যাবো ।
আমাদের যে কয়টা গুণ আমরা খুঁজি সেটা হলো হলো যে স্বাধীনতা পরিষদে এমন একজন কে দেওয়া উচিত যার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা আছে, সাংগঠনিক দক্ষতা আছে , যিনি আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক, যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপার টা বুঝেন, যার মধ্যে স্পিড আছে, যার নাকি স্বপ্ন আছে ভালো কিছু করার।
আমার স্বপ্ন হলো আমি শুধু সংগঠনকে না আমি দেশকেও দিবো, সরকারকেও দিবো, দলকেও দিবো। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর পরিচিত সৈনিক দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ইতিহাস থাকতে হবে। এবং পারিবারিক ইতিহাস ও থাকতে হবে। হঠাৎ, করে গড়ে ওঠা কেউ যেন না হয়।
সবখবর২৪: আপনি কি আর কোন ম্যাসেজ পৌছাতে চান?
ডা: শারফুদ্দিন আহমেদঃ আরেকটা ম্যাসেজ হলো এই দেশে আমরা বর্তমানে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কিন্তু নানা রকম ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে দেশী বিদেশী এবং আপনি লক্ষ্য করছেন ইদানিং কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ও যাতে ধংস হয় তার ব্যবস্থা হচ্ছে। আমি মনে করি যে, আমাদের সবাইকে এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত এবং রাজনৈতিক সংগঠনের ন্যায় অংগ সংগঠন গুলো যা আছে আওয়ামীলীগের তারাও যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে, কোন রকম অনৈক্য তৈরি না হয়। একটা সম্মেলন উপলক্ষে কোথাও মারামারি এবং নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এগুলো কিন্তু শত্রুদেরও আরো শক্তিশালী করে তোলে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগুতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যেন কোন ভুল না হয় এটা মনে রাখতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভেদ করা চলবে না।
ধন্যবাদ । সূত্র : সবখবর টুয়েন্টিফোর ডটকম