বুধবার ● ১৭ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ : বোমাসহ জেএমবি’র সদস্য সেলিম ও প্রান্ত আটক
ঝিনাইদহে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শেষ : বোমাসহ জেএমবি’র সদস্য সেলিম ও প্রান্ত আটক
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.৩০মি.) ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে সেলিম ও প্রান্ত নামে দুই ব্যক্তির বাড়ি জঙ্গী আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রেখে অভিযান শুরু করেছে র্যাব। সকাল ৭ টা থেকে এ অভিযান শুরু করা হয়েছে। বাড়ি দুটিতে জঙ্গীরা অবস্থান করছে এবং সেখানে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ আছে বলে র্যাব প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে। র্যাব জঙ্গী আস্তানা থেকে ১৮৬টি বোমা তৈরির পিভিসি সার্কিট, দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৪টি রাসায়নিক দ্রব্যের কন্টেইটার, ১৮টি নিওজেল ও ৫টি বোমা উদ্ধার করেছে।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, তারা সোমবার থেকেই গোপন সুত্রে জানতে পারে ঝিনাইদহ সদরের পোড়াহাটি ইউনিয়নের চুয়াডাঙ্গা গ্রামের সেলিম ও প্রান্ত নামের দুজন ব্যাক্তির বাড়িতে জঙ্গীরা অবস্থান করছে। এ খবরের ভিত্তিতে ১৬ মে মঙ্গলবার সকাল ৭ টা থেকে বাড়ি দুটি ঘিরে ফেলে অভিযান শুরু করা হয়। ওই দুই বাড়িতে জঙ্গী থাকতে পারে এবং বিপুল পরিমান বোমা ও বিস্ফোরক থাকতে পারে বলে র্যাবের ঝিনাইদহ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ জানিয়েছেন। খুলনা থেকে র্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট এসে অভিযান শুরু করে। গত ৭ মে মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামে নিহত জঙ্গী তুহীনের আপন ভাই সেলিম ও চাচাতো ভাই প্রান্ত।
উল্লেখ থাকে যে জেলার একই ইউনিয়নের পোড়াহাটি গ্রামের জঙ্গী আব্দুল্লাহর বাড়িতে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট গত ২১ এপ্রিল অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। গত ৭ মে জেলার মহেশপুরের বজরাপুর গ্রামে জঙ্গী আস্তানায় অভিযানকালে জঙ্গী তুহিন ও আব্দুল্লাহ নিহত হয়। উদ্ধার করা হয় বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র। ৭ ও ৮ মে সদরের লেবুতলা গ্রামের জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে এক জঙ্গীকে গ্রেফতার এবং বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
১৬ মে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের যে দুটি জঙ্গী বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে তা ঝিনাইদহ-ঢাকা মহা-সড়কের পার্শ্বে এবং ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্প থেকে মাত্র প্রায় হাফ কিলোমিটার দুরে। র্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, নব্য জেএমবি’র সদস্য সেলিম ও প্রান্তকে আটক করার পর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দুটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪টি স্পট থেকে ১৮৬টি বোমা তৈরির পিভিসি সার্কিট, দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৪টি রাসায়নিক দ্রব্যের কন্টেইটার, ১৮টি নিওজেল ও ৫টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।