বৃহস্পতিবার ● ১৮ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » বিশ্বনাথে গ্রীষ্মকালিন ফলে ভরপুর
বিশ্বনাথে গ্রীষ্মকালিন ফলে ভরপুর
মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৪৬মি.) বিশ্বনাথে হাট-বাজারে গ্রীষ্মকালিন ফল আসতে শুরু হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি হাটে-বাজারের বাতাসে এখন মৌসমে ফলের সুঘ্রাণ। সারা দেশের ন্যায় বিশ্বনাথে বিভিন্ন হাট-বাজারে এসব ফলে চেয়ে গেছে। ফলের ব্যবসায়ীরাও বৈচিত্রভাবে পসরা সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায়। কিন্তু বাজারে ক্রেতা থাকলেও দামের মাত্রা বেশি হওয়ায় অনেকে খালি হাতে ফিরতে দেখা গেছে। মধ্যবিত্ত লোকের এসব গ্রীষ্মকালিন ফল ক্রয় করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।
অপর দিকে নুন আনতে পান্তা পুড়ায় নিম্ন আয়ের শ্রমজীবি লোক এসব ফল ক্রয় করতে পারছে না। চড়া দামের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ ফল খেতে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলার গ্রামগুলোর এক সময় প্রায় সব বাড়িতে ছিল বিভিন্ন ফলের গাছ। কিন্তু এসব ফলের গাছ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে তালমিলিয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। যেগুলো আছে তেমন ফল আসেনা। গ্রাম যখন ফলে পরিপূর্ণ ছিল তখন গ্রামের নিম্ন আয়ের লোক সব ধরনের ফল খেতে পারছে,তখন পুষ্টিগত বা ভিটামিন সম্পর্কিত রোগ ছিলনা বলেই চলেই।
এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, ফলের বাজার স্থিতিশীল হলে সব শ্রেণীর লোক ফল ক্রয় করে খেতে পারবে। বর্তমানে বাজারে আসা ফলগুলো দেখতে বেশ চকমক কিন্তু এসব ফল বাহিরে দেখতে আকর্ষনীয় হলেও ভিতরে রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক বিষ। মোনাফালোভী এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে পাঁকাচ্ছে এসব ফল। ফল যাতে বেশিদিন তাজা থাকার জন্য ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক ‘ইথোফেন’ এবং স্থায়ীত্বের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ক্যালসিয়াম কারবাইট’ এবং ‘ফরমালিন’। ফলগুলো বাজারজাত ও ব্যবহারকারীরা শক্তিশালী সিন্ডিকেট এখন সক্রিয়।
উপজেলা সদরের পুরানবাজার ও নতুনবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আম প্রতি কজি ১৫০-২০০ টাকা, কাঁঠাল ২০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, লেচু প্রতি আঁটি ১৫০-২০০ টাকা, তরমুজ ১০০-১৫০ টাকা, আনারস হালি ১৮০-২০০টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ফল ব্যবসায়ী রাজন মিয়া সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এ সব ফল বেশিরভাগ শ্রীমঙ্গল ও উত্তরবঙ্গ থেকে আসে। বেশি দামে ফলগুলো ক্রয় করে আনি, কম দামে বিক্রয় করার কোনো সুযোগ নেই।
অটোরিকশা চালক নুরুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এবারে মৌসুমের ফলের দাম বেশি। তাই ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না।
স্থানীয় চিকিৎসক শিবলী খান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, ফল কেনার সময় তা ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য মিশানো কি না, তা যাচাই বাচাই করে কেনা। তা না হলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। আর বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে যদি কোনো ধরনের ফল পাকানো হয় তবে তা মানব জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।