বৃহস্পতিবার ● ১৮ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » প্রধানমন্ত্রীর সাড়ে ৪ ঘন্টা খালিয়াজুড়ী সফরে হাওরবাসি উল্লাসিত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে
প্রধানমন্ত্রীর সাড়ে ৪ ঘন্টা খালিয়াজুড়ী সফরে হাওরবাসি উল্লাসিত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে
ময়মনসিংহ অফিস :: (৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৫মি.) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ খালিয়াজুড়ী উপজেলায় সাড়ে ৪ ঘন্টা সময়ে মানুষের দুঃখ দুর্দশা স্বচক্ষে দেখে তাদের প্রতি সমবেদনার পাশাপাশি দূর্দশা লাগবে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হলে মানুষের কষ্ট কমে যাবে এমন ধারনায় হাওরবাসি উল্লাসিত হয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন বলে মনে করেন খালিয়াজুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শামছুজ্জামান তালুকদার শোয়েব, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সানোয়ারুজ্জান জোসেব ছাড়াও সাধারণ মানুষজন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা৫০ মিনিট থেকে ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত খালিয়াজুড়ী অবস্থান করে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন শেষে ঢাকায় ফিরে যান।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল ৯টা৫০ মিনিটে নেত্রকোনা জেলার দ্বীপ উপজেলা খালিয়াজুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠসংলগ্ন নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। সকাল ১০টায় ১ হাজার ৫০০ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল ও নগদ ১ হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী ।
তা ছাড়াও হাওরাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ও দুঃস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ত্রাণ বিতরণ শেষে ক্ষতিগ্রস্থ হাওর এলাকা পরিদর্শন করেন।
তার আগে দুপুরে নেত্রকোনোর খালিয়াজুরী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজের চোখে আপনাদের দেখতে এসেছি। আপনারা হাওরের মানুষ, আমরা গোপালগঞ্জের বাওরের মানুষ। বন্যায় যেন আপনারা ক্ষতিগ্রস্থ না হন, তার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’ নদীভাঙা মানুষকে ঘর নির্মাণসহ হাওরাঞ্চলে আবাসিক স্কুল করে দেয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত কৃষকের ঘরে ফসল না উঠবে ততদিন সরকার খাদ্য সহায়তা দেবে এমন আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, হাওরের ফসল রক্ষা করতে নদী খনন করা হবে।
এসময় তিনি বলেন, আমরা জনগণের সেবা করতে এসেছি। আমি চাই আপনাদের জীবন মানের উন্নয়ন করতে।
তিনি আরও বলেন, এই এলাকার বাবরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বানিয়ে খালেদা জিয়া বান্দরের হাতে লাঠি তুলে দিয়েছিল।এই এলাকার ১২জনকে হত্যা করেছিল।
এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি শুধু ঢাকায় বসে কথা বলে, মির্জা ফখরুল এসেছিলেন ফটোসেশন করে চলে গেছেন। খালেদা জিয়াও এখানে আসেননি। ত্রাণ দেননি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পানি সম্পদ মন্ত্রী আমিনুল ইসলাম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, দূযোগ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন।
জনসভা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে তিনি ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত নেত্রকোনা জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুধীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন ।
এসময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আব্দুলল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. মো. মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতিউর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান খসরু ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, খালিয়াজুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শামছুজ্জামান তালুকদার শোয়েব, সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সানোয়ারুজ্জান জোসেব ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খালিয়াজুড়ী অবস্থান করে বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন শেষে ২টা ৩২মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়ে যায়।