মঙ্গলবার ● ২৩ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » রাঙামাটিতে ফল উৎপাদনকারী চাষীদের মুখে হাসি নেই (ভিডিওসহ)
রাঙামাটিতে ফল উৎপাদনকারী চাষীদের মুখে হাসি নেই (ভিডিওসহ)
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: (৯ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৮মি.) মধুমাস জ্যৈষ্ঠের ফলের ভরা মৌসুমে রাঙামাটি শহরের বাজার এখন তুঙ্গে রয়েছে নানা রকম মধুফলের সমারোহে। কাঁঠাল, আম, আনারস এবং লিচু ইত্যাদি জ্বিবে জল আসা ফল এখন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার যেকোন বাজারেই মিলছে। সীমিত মূল্যের এসব সুস্বাদু ফল শুধু রাঙামাটি শহর নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাহাড়ের উৎপাদিত এসব ফল যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। পাহাড়ী জমিতে এসব ফল প্রতি বছরই বাম্পার ফলন হয়। কোন ধরনের রাসায়নিক মিশ্রন ছাড়া সরাসরি উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তার হাতে পাওয়া যায় বলে কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশংকা নেই পার্বত্য অঞ্চলের এসব ফলে। চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তবুও মুখে হাসি নেই এসব ফলের উৎপাদনকারী চাষীদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদিত এসব ফলনের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। মাঝখানে সুবিধা নিচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগী পাইকারী ব্যবসায়ীরা এবং চাঁদাবাজরা। তাদের অভিযোগ পাইকারী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ফলের বাজার মূল্য কমিয়ে আনার জন্য বসে থাকে, যেহেতু পাহাড়ী উৎপাদনকারী চাষীরা এসব ফলে কোন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করেনা তাই পাকা ফল পঁচন শুরু হওয়ার আগে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হয় পাইকারী সিন্ডিকেটের কাছে। তাদের ভাষায়-ন্যায্য মূল্য পরে, ফল পঁচে গেলে উৎপাদন খরচও উঠবেনা। অন্যদিকে একটি মহলকে দিতে হচ্ছে উৎপাদনী চাঁদা। ফল বিক্রি হোক না হোক, ন্যায্যমূল্য পাই না পাই চাঁদা আগে।
২৩ মে মঙ্গলবার রাঙামাটি শহরের ফলের প্রধান বাজার বনরুপার সমতাঘাট বাজারে দেখা যায়- ফল আর ফল। পাকা ফলের সুগন্ধে চারিদিক মৌ মৌ করছে। নদী ঘাটে সারি সারি ট্রলার ভর্তি কাঁঠাল, আনারস আর লিচু। নদীর পাড়েও স্তুপ করে রাখা হয়েছে এসব ফল। শতশত পাকা পঁচা কাঁঠাল হ্রদের পানিতেও ভাসছে। একটু উপরে উঠলে সারি সারি ট্রাক। কোনটিতে ফলভর্তি করা হচ্ছে আবার কোন কোন ট্রাক ফলে ভর্তি। এসব ফল আসছে জেলার নানিয়ারচর, লংগদু, জুড়াছড়ি,বিলাইছড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন উপজেলার সরাসরী উৎপাদনকারী চাষীদের বাগান থেকে।
বনরুপার সমতাঘাটে পাহাড়ী এ সুস্বাদু মিষ্টি ফলের কয়েকজন উৎপাদনকারী চাষীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি আনারসের দাম মাত্র এক থেকে দেড় টাকা মাত্র অথচ উৎপাদন খরচ পরে প্রতি আনারসে ৩-৪ টাকা।
পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, স্বাস্থ্য সম্মত সুস্বাদু ফলের ব্যবসা ভালো চলছে। কিন্তু চাঁদাবাজদের হাত থেকে তারাও মুক্ত নয় বলে জানান তারা।
রাঙামাটি শহরের কলেজ গেইট এলাকার খুচরা ফল বিক্রেতা বিমল মিত্র চাকমা জানান, আনারস সর্বোচ্চ বড় প্রতিটা ২৫ টাকা সর্বনিন্ম ৫টাকায় বিক্রি হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলার রেংগুই আম প্রতি কেজী আশি থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় এখনো আম ভরা মৌসুম শুরু হয়নি বলে জানা তিনি।