মঙ্গলবার ● ২৩ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ এর কর্মশালা
গাজীপুরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ এর কর্মশালা
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৯ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৫০মি.) গাজীপুরে ফসল প্রজননের জন্য ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ (পিপিপি)-এর উপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ মে শনিবার গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের সেমিনার হলে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার উদ্দেশ্য- (১) গুরুত্বপূর্ণ ফসলের জাতের বৈশিষ্ট্য ও প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা ও অংশগ্রহণ করা। (২) পিপিপি-এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের ফসল প্রজনন সম্পর্কিত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা।
বাংলাদেশ উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব সমিতির (পিবিজিএসবি) আয়োজনে এবং এগ্রি বিজনেস, এসিআই লিমিটেডের সহযোগিতায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্ল্যান ব্রিডিং এন্ড জেনোটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশের (পিবিজিএসবি) সভাপতি ডঃ মোঃ খাইরুল বাসার।
প্ল্যান ব্রিডিং এন্ড জেনোটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের (পিবিজিএসবি) মহাসচিব অধ্যাপক ডঃ এ.কে.এম. আমিনুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মশালায় সন্মানিত অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গাবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) মহাপরিচালক ডঃ ভাগ্য রাণী বণিক।
এগ্রি বিজনেস, এসিআই লিমিটেডের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডঃ লুতফর রহমান ফসল প্রজনন এর জন্য পিপিপি-এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন পেশ করেন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও সাতটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রভাষক, প্রফেসর, বারি ও ব্রি বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির (এসসিএ) কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য বৃন্দ।
কর্মশালায় উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারী মনে করেন যে, এটি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান এর বিজ্ঞানী, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বে-সরকারী কোম্পানী গুলোর মন-মানসিকতার পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। অংশগ্রহনকারীগন বাংলাদেশের ফসল উৎপাদন, গুন, আকার-আকৃতি, রং, পুষ্টিগুন এর উপর ভিত্তি করে ফসল প্রজননের জন্য পিপিপি-গবেষণা ও উন্নয়ন এর সম্ভাবনা গুলো আলোচনা করেন। তারা আরও পরামর্শ করেন পি.পি.পি কে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে নতুন ফসলের জাত উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসইক কৃষির জন্য নিন্মলিখিত বিষয় গুলোর উপর গুরুত্বদেওয়া প্রয়োজন :
১. পাবলিক ইনষ্টিটিউট-এর বিজ্ঞানী এবং বেসরকারী কোম্পানীর ব্যক্তিবর্গের মন-মানসিকতা ও মনোভাব এর পরিবর্তন করা।
২. বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান / বিশ্ববিদ্যালয় / বেসরকারী কোম্পানীগুলোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রজননবিদ/প্রজননবিদ্যা বিশেষজ্ঞ/বায়োটেকনোলজিষ্টদের মধ্যে উন্নতমানের সহজলভ্য টেকসই নেটওয়ার্ক তৈরী করা।
৩. প্রজননবিদদের বিভিন্ন জাতের বেনিফিট শেয়ারিং বিবেচনা করা উচিত।
৪. প্রজননবিদদের নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুগত্য থাকা উচিত।
৫. যৌথ গবেষণার জন্য যন্ত্রপাতি জ্ঞান এবং ল্যাবের সুবিধা এবং আর্থিক সুবিধা প্রদান করা।
৬. জার্মপ্লাজম বিনিময়ের জন্য পাবলিক প্রতিষ্ঠান ও বে-সরকারী কোম্পানীগুলোর মধ্যে ইন্টালেক্চুয়াল প্রপারটি রাইট এর বাস্তবায়ন করা ।
৭. উন্নত জাত উদ্ভাবন ও বীজ উৎপাদন পদ্ধতির জন্য কোম্পানীগুলোকে অর্ন্তভূক্ত করা যেমন- বিএডিসি যাতে তারা নিজেরা বীজ উৎপাদন করতে পারে। পাবলিক ও বে-সরকারী সেক্টরগুলো একসাথে কাজ করে এইসব জাতগুলো কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারে।
৮. বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির জাত পরীক্ষক ইউনিটকে পুনঃর্গঠন করা উচিত।
এই কর্মশালা ভবিষ্যতের উদ্ভিদ প্রজনন বিদ্যা গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকে নীতি-নির্ধারক একাডেমিশিয়ান এবং সরকারী ও বে-সরকারী সেক্টরকে সুবেদি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।