বুধবার ● ২৪ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভালুকায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
ভালুকায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
ময়মনসিংহ অফিস :: (১০ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ৩.১৮মি.)রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন চারদিকে আলোচনা-সমালোচনা চলছে তখন ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
ঘটনার প্রায় চার মাস পর গত ১৫মে ওই কলেজছাত্রীর বাবা কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করলেও মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
এদিকে মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার।
মামলার আসামিরা হলেন- ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজার হবিরবাড়ির মাইন উদ্দিনের ছেলে ও হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবির (২৪), মোর্শেদের ছেলে তুষার (২৬) ও মোখলেছ (২৫)।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ১১ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে ময়মনসিংহ শহরে বোনের বাসা থেকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় আলমগীর কবির, তুষার ও মোখলেছসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন ওই কলেজছাত্রীকে অপহরণ করে। তারা মাইক্রোবাসে তুলে ওই ছাত্রীকে পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়।
অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে খুন জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসামিরা ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে চলে যায় তারা।
জ্ঞান ফিরলে বান্ধবীদের সহায়তায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন।
এর আগেও একদিন ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে আসামিরা একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, আসামিরা তাদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। এখন তার বিবাহিত বড় মেয়েকেও ধর্ষণের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এনিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পরিবারটি।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ‘এতদিন আমি মান-সম্মানের ভয়ে চুপ ছিলাম। কিন্তু ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যনসহ বিভিন্ন লোকজন আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকদেরকে হুমকি অব্যাহত রাখায় আমি মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকিব জানান, আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। অচিরেই ইউনিয়ন কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হবে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সরকার মো. সব্যসাচী জানান, অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে খোঁজ খবর নিতে বলা হয়েছে।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর ইতোমধ্যে মেডিকেল পরিক্ষা করানো হয়েছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।