বুধবার ● ২৪ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বর্ষার অাগমন নিয়ে ফুঠেছে কদম ফুল
বর্ষার অাগমন নিয়ে ফুঠেছে কদম ফুল
মাইকেল দাশ,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (১০ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ৩.২৮মি.) আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বাঙালির প্রিয় ঋতুর একটি। বর্ষাকাল শুরু হতে এখনো কিছু দিন বাকি। কিন্তু তারই আগমনী বার্তা নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ফুটতে শুরু করেছে বর্ষার ফুল কদম।কদম ফুলের স্নিগ্ধ ঘ্রানে যুগে যুগে মুগ্ধ করে এসেছে গ্রাম ও নগরবাসীকে। তারই ধারাবাহিকতায় কদম গাছের সবুজ পাতার আড়ালে ফুটে থাকা অজস্র কদম ফুলের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। এ যেন বর্ষারি আগমনী বার্তা। কদম ফুল সবাই পছন্দ করে। এই কদম ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক গান কবিতা। গ্রামাঞ্চলে কদম ফুল নিয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলা করতে দেখা যায়। এই কদম ফুল আমাদের দেশের সকল স্থানে দেখা গেলেও এর আদি নিবাস ভারতের উষ্ণ অঞ্চলে, চীন ও মালয়। কদম (বৈজ্ঞানিক নাম:Anthocephalus indicus ) যা নীপ নামেও পরিচিত।
এছাড়া বৃত্তপুষ্প, মেঘাগমপ্রিয়, কর্ণপূরক, মঞ্জুকেশিনী, পুলকি, সর্ষপ, ললনাপ্রিয়, সুরভি ইত্যাদি কদমের নাম। বলের মতো দেখতে এই ফুলের ভেতরের ভাগে রয়েছে মাংসল পুষ্পাধার। যাতে হলুদ রঙ্গের পাপড়িগুলো আটকে থাকে। পাপড়ি মাথায় থাকে সাদা রঙ্গের পরাগ। হলুদ-সাদা কদম ফুল গাঢ় সবুজ পাতার ফাঁকে দেখতে সুন্দর লাগে। ফুলে ভরা কদম গাছ দেখতে অসাধারণ হলেও এর আর্থিক মূল্য খুব কম। কাঠ নরম বলে আসবাবপত্র তৈরি করা যায় না। কাঠ দিয়ে দেয়াশলাই ও কাগজ তৈরি হয়ে থাকে।তবে যান্ত্রিক সভ্যতা ও নগরায়ণের যুগে কমতে শুরু করেছে কদম গাছ। আদিকাল থেকে কদম ফুল আমাদের প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে আসছে। কদম ফুল ছাড়া বর্ষা যেন একে বারে বেমানান। সে জন্য প্রকৃতির ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রকৃতিবীদরা।