বৃহস্পতিবার ● ২৫ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » পর্যটন » কুয়াকাটা সৈকতে পোটকা মাছের পঁচাগন্ধে পর্যটকরা অস্বস্তিতে
কুয়াকাটা সৈকতে পোটকা মাছের পঁচাগন্ধে পর্যটকরা অস্বস্তিতে
বরগুনা প্রতিনিধি :: (১১ বৈশাখ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩৫মি.) পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা বেলাভুমে বঙ্গোপসাগরে চিংড়ি শিকারী জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রতিদিন মারা পড়ছে হাজার হাজার পোটকা মাছ। পোটকা পঁচা মাছের উৎকট দুর্গন্ধে পর্যটক দর্শনার্থীর ভোগান্তির শেষ নেই। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন্ জায়গায় জোয়ার-ভাটার টানে এসব মাছ এসে আটকে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটা সৈকতের ঝাউ বাগান, লেবুর বন, গঙ্গামতির বালুকাবেলায় কয়েক হাজার পোটকা মাছ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। অধিকাংশই প্রচন্ড রোদের তাপে অর্ধ গলিত হয়ে দুর্গন্ধময় করে তুলছে চারপাশের পরিবেশ। নির্বিঘ্নে সৈকতে বেড়ানো,একটু নির্মল বাতাসে স্বস্তি নি:শ্বাস নেয়া, এসব সুযোগ থাকছে না। ফলে বীচে নেমে পর্যটক-দর্শনার্থীরা পড়েন চরম অস্বস্তিকর পরিবেশে । অনেকে বমি করে দেয়। সৈকত লাগোয়া অগভীর সমুদ্রে এখন চিংড়ি শিকারী জেলেদের জালে পোটকা আটক তান্ডব চলছে। বীচ মেনেজমেন্ড কমিটি কিংবা কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা নিরসনের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা।
ফলে বেড়াতে আসা পর্যটক দর্শনার্থীর ভোগান্তির শেষ নেই। পরিচ্ছন্ন্ সৈকত হিসেবে কুয়াকাটার আলাদা সুনাম রয়েছে। এক্ষেএে সরকারি প্রশাসন, পৌর পরিষদ কিংবা কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট-কমিটির-কোন-ভুমিকা-নেই। ফলে ওই এলাকায় নির্বিঘ্নে ভ্রমন পিপাষুরা চলাফেরা করতে পারছেনা। উৎকট গন্ধে নাক মুখ চেপে পর্যটক দর্শনার্থী বীচ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। অবস্থাদৃষ্ট মনে হচ্ছে কুয়াকাটা সৈকত এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। পর্যটক দর্শনার্থীরা কুয়াকাটা পৌছেই উচ্ছাসের সঙ্গে সৈকতের বেলাভমে দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। প্রান খুলে আনন্দ উপভোগ করতে থাকে। কিন্তু মুলবীচের সর্বত্র বঙ্গোপসাগরে চিংড়ি শিকারী জেলেদের জালে আটকা পড়ে প্রতিদিন মারা পড়ছে হাজার হাজার পোটকা পঁচামাছের উৎকটদুর্গন্ধে অবর্নীয়-পরিস্থিতির-শিকার-হন-আগতরা।
কুয়াকাটা বঙ্গোপসাগরে চিংড়ি শিকারী জেলে আসলাম হাওলাদার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, প্রতিদিন দুবার জোয়ারে এসব মাছ ভেসে আসে উপকুলে। ভাটার সময় পানি নেমে গেলেও মরা মাছ গুলো আটকে পড়ছে তীরে। এসবের পঁচা দুর্গন্ধে সৈকতে আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত আবুল হোসেন রাজু সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, পর্যটনের স্বার্থে দ্রুত এসব মাছ সৈকত থেকে অপসারন করা উচিৎ।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, পটেট্রাডোন কাডকুটিয়া প্রজাতির এসব পোটকা মাছ অত্যন্ত বিষাক্ত। এদের ফুলকার কাছে যে বিষের থলি রয়েছে তা সায়ানাইডের চেয়েও উচ্চ ক্ষমতার বিষাক্ত।