শুক্রবার ● ২৬ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » শেখ হাসিনা সরকার সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন : ভূমিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সরকার সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছেন : ভূমিমন্ত্রী
পাবনা প্রতিনিধি :: (১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৮মি.) জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকার ও সমান সুযোগ ভোগ করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।
২৬ মে শুক্রবার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলাদের ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, সুবর্ণ নাগরিকদের মাঝে পরিচয়পত্র প্রদান এবং আটঘরিয়া উপজেলাধীন ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা, নৃগোষ্ঠীও সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূমিমন্ত্রী আলহাজ শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপি এ কথা বলেন।
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকরাম আলীর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পাবনা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. মোমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক, আটঘরিয়া উপজেলা এসিল্যান্ড গোলাম মোর্শেদ।
মন্ত্রীবলেন, এদেশে অতীতে নূরুল আমিন সরকার, ইয়াহিয়া সরকার, জিয়া সরকারসহ অনেক সরকার প্রধান দেশ পরিচালনা করে গিয়েছেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মতো করে বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, স্বামী পরিত্যক্তাদের কথা আগে কোনো সরকারই ভাবেননি। মন্ত্রী বলেন, একমাত্র জননেত্রী শেখহাসিনা এ শ্রেণির মানুষের দুঃখ, দুর্দশা বুঝতে পেরেছিলেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নেতৃ বৃন্দের মাধ্যমে গরীব, দুঃখী ও দুঃস্থদের সহায়তা প্রদানঅব্যাহত রেখেছেন। এরআগে কোনোরাষ্ট্র পরিচালনাকারী দুঃস্থদের এমনভাবে সহায়তার হাত বাড়াননি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে গেছে। জননেত্রী শেখহাসিনা ১৯৯৬ সাল থেকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও দুস্থ নারীভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম চালু করেছেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দারিদ্র্য বিমোচনে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মন্ত্রী আটঘরিয়া উপজেলায় ৩৫০৮ জনকে ৫০০ টাকা হারে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত দুঃস্থ মহিলা ১৭৩০ জনকে ৫০০ টাকা হারে, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ৮৩০ জনকে ৬০০ টাকাহারে, দলিত, হরিজন ও বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য ২১ জনকে ৬০০ টাকা হারে, হিজড়া জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা কর্মসূচিতে ৬ জনকে ৬০০ টাকা হারে, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান কর্মসূচিতে ১৭০ জনকে প্রাথমিক ৬০০ টাকা, মাধ্যমিক ৮০০ টাকা ও কলেজ পর্যায়ে ১২০০ টাকার উপবৃত্তি প্রদান করেন। আজ নতুন করে আরও ৪০৯ জন ভাতা ভোগীকে ২০ লাখ ২৩ হাজার ৪০০ টাকা ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এর আগে মন্ত্রী আটঘরিয়া উপজেলা সম্প্রসারিত উপজেলা পরিষদ ৪ তলা কমপ্লেক্স ভবন ও হলরুম এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নতুন কার্যালয় ভবনের উদ্বোধন করেন।