বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা মাহিদুল ও আলিমুদ্দীন বন্দুকযুদ্ধে নিহত : ৩ র্যাব সদস্য আহত
পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা মাহিদুল ও আলিমুদ্দীন বন্দুকযুদ্ধে নিহত : ৩ র্যাব সদস্য আহত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৩৫মি) ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের নাকরতলা মাঠে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মাইদুল ইসলাম ওরফে রানা (৪৬) ও আলিমুদ্দীন (৬২) নামের দুইজন চরমপন্থি সদস্য নিহত হয়েছে। ৩০ মে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাবের তিন সদস্য হাবিলদার মহসিন আলী, কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও গুলিও দেশীয় অস্ত্র।
র্যাব-৬, সিপিসি-২ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মনির আহমেদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাবের টহল দল কোটচাঁদপুরের কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে পৌছালে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাব ও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার পর চরমপন্থীরা পালিয়ে গেলে নিষিদ্ধ পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা মাইদুল ইসলাম রানা ও তার সহযোগী আলিম উদ্দীনকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় র্যাব উদ্ধার করে স্থানীয় কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার রাত পৌনে ১টার দিকে তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল) জনযুদ্ধের আঞ্চলিক নেতা নিহত মাইদুল ইসলাম রানা কোটচাঁদপুরের বকশিপুর গ্রামের ফকির চাঁদ মন্ডলের ছেলে। অন্যদিকে আলিমুদ্দিন একই উপজেলার বহরমপুর গ্রামের সলেমান মন্ডলের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব দুইটি বিদেশী একনালা বন্দুক, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১৫ রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া ও দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপব কুমার সাহা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, রাতে গুলির শব্দ পেয়ে পুলিশ কোটচাঁদপুর হাসপাতালে যায়। সেখানে আমরা দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পায়।
উল্লেখ্য, নিহত মাইদুল ইসলাম রানা জনযুদ্ধের প্রধান দাদা তপনের সহযোগী ছিল। পুর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির একচেটিয়া দাপটের সময় রানা ছিল মুর্তিমান আতংক। ১৯৯৫ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া থেকে সন্ত্রাসী রানা একে-৪৭ রাইফেলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে সে আবারো অন্ধকার জগতে ফিরে যায়।