বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বিভীষিকাময় ৩১ শে মে ভূষণছড়া গনহত্যা দিবস পালিত
বিভীষিকাময় ৩১ শে মে ভূষণছড়া গনহত্যা দিবস পালিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :: পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খাঁন প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান ১৯৮৪ সালের ৩১ মে দিবাগত রাতে ৩৮৪ জন বাংলা ভাষাভাষী নিরপরাধ, নির্দোষ, নিরস্ত্র নারী পুরুষ ও শিশুদের রাতের অন্ধকারে ইতিহাসের এক জগণ্যতম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল সাবেক গেরিলা নেতার নিদের্শে মেজর রাজেশ।
৩১ মে দুপুরে পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা কার্যালয়ে এক শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কামাল, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, পৌর কমিটির সভাপতি কাজী মো. জালোয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলম, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের জেলা সি. সহসভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান খাঁন, সহ-সভাপতি মো. বাদশা, যুগ্ম সম্পাদক এহসান উল্লাহ মুন্না, কলেজ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও পৌর কমিটির আহবায়ক মো. আবছার প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন- হত্যাকান্ডের ৩৩ বছর অতিবাহিত হলেও খুনিদের বিচার তো দুরের কথা বরং তাদের বিভিন্ন সময়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। বিএনপি খুনি মনি স্বপনকে (মেজর রাজেশ) কে মন্ত্রি বানিয়েছে আর আওয়ামীলীগ খুনি সন্তু লারমাকে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়ে পার্বত্য বাঙ্গালীদের রক্তের সাথে বেইমানী করেছে। আমরা তার তীব্র নিন্দা ক্ষোভ জানিয়ে বলতে চাই- বর্তমান সরকার মানবতা ও স্বাধীনতা বিরোধীদের যেমনি বিচারের আওতায় এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে, আমরা আশা করি তেমনিভাবে ৩০ হাজার বাঙ্গালীর খুনি সন্তু লারমাসহ অন্যান্য অপরাধীদেরকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার শুরু করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নজির স্থাপন করবে।
বক্তারা বলেন - পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সময়ের দাবী , এসব অবৈধ অস্ত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরীহ বাঙ্গালী ও উপজাতীয়দের বিরোদ্ধে ব্যবহার করে অপহরন, খুন ও চাঁদাবাজি করছে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী বাহিনী।
বক্তারা আরোও বলেন - পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সকল সরকারী আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানে উপজাতীয় কর্মকর্তা রয়েছে সেখানে বাঙ্গালী কর্মচারীদের হয়রানি করে বদলীর হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন - পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিদিন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক কোটি কোটি টাকার চাঁদাবাজি হচ্ছে প্রসাশনের নাকের ডগায় কিন্তু কোন প্রতিকার হচ্ছে না। এমনকি আম বাগান, আনারস বাগান, ফলজ বাগান, সেগুন বাগান এর চাঁদার টাকা না দিলে লক্ষ লক্ষ আনারসের বাগান, সেগুন বাগান ও ফলের গাছ কেটে ফেলে উল্টো বাঙ্গালীদের মামলা হামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।
এ অবস্থা বেশীদিন চলতে দিলে বাঙ্গালীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিরা ঘরে বসে থাকবে না, এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।