বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নবীনগর রাস্তাটি ঝুকিপূর্ণ
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার নবীনগর রাস্তাটি ঝুকিপূর্ণ
নুরনবী (অন্তর মাহমুদ),মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: (১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৫৮মি.)মাটিরাঙ্গা পৌরভবন থেকে নবীনগর যাতায়াতের রাস্তাটি খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে । যে কোন সময় দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জীপ ও পিকআপসহ পার্বত্য অঞ্চলের জনপ্রিয় হালকা যানবাহন মোটর সাইকেল চলাচলের। রাস্তাটি ব্যবহারে জীপ ও পিকআপ ছাড়া অন্যকোন ভারী যানবাহনের আদিক্য না থাকায় এটি প্রায় ৩ মাস বন্ধ রয়েছে। কোন কোন জায়গার খানাখন্দে মোটর সাইকেল পর্যন্ত যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। কয়েকজন মোটর সাইকেল চালকের বরাত দিয়ে জানা গেছে, গ্রামের রাস্তায় দু-একটি মোটর সাইকেল চললেও তারা বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বড় বড় গর্তের কারণে।
নবীনগর বাসিন্দা মো. হৃদয় মাহমুদ রনি সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান মোটর সাইকেল নিয়ে যাতায়াত কালে ২৯ মে রাতে নবীনগর ভাঙ্গা রাস্তায় পড়ে অল্পের জন্য মারাত্তক দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছেন তিনি। তিনি রাস্তার ভগ্নাংশ কত বড় তা দুর থেকে অনুমান করতে পারেনি জানিয়ে বর্ষার পানির চাপে কংকর, ইট ও বালু সরে গিয়ে বিশাল বিশার আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও নবীনগরের চা দোকানদার মো. বাদশা মিয়া সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান গত বছর রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় জনৈক চালক গাড়ীসহ আমার বসত বাড়ির উপর পড়েছিল । তাতে সৃষ্টিকর্তার রহমতে প্রাণে বেঁচে যায় আমার বাড়ীর লোকজনসহ অপরাপর ব্যক্তিবর্গ। সে সময় বসতবাড়ি মেরামত করতে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়ি আমি। পরে রাস্তাটি সাময়িক মেরামত করার ফলে পুণরায় যান চলাচলের উপযোগী হলেও বর্তমানে আবারও অনোপযোগী হয়ে পড়েছে বিধায় আমি ও আমার পরিবার পরিজন দুর্ঘটনার আতংকে দিনাতিপাত করছি। বাদশা মিয়াসহ নবীনগর বাসীরা সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের যাতায়াতের একমাত্র নির্ভরতা এই রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা জরুরী। অন্যথায় যে কোন সময় বড় ধরনের গাড়ী দূর্ঘটনা ঘটার আশংঙ্খা রয়েছে উল্লেখ করে দ্রুত আশু পদক্ষেপ গ্রহনের জন্যে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলাউদ্দিন লিটন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন এই মুহুর্ত থেকে আরও একমাস পর্যন্ত এই রাস্তা মেরামতের কাজ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন আগামী অর্থবছরে রাস্তাটি মেরামতের জন্যে প্রকল্প দেয়া হয়েছে যা কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু হতে পারে। তবে আপদকালিন কোন পদক্ষেপ গ্রহনের বিষয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।