মঙ্গলবার ● ১৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » সিলেটে রাস্তা সংস্কারের অভাবে জাফলং এর মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে
সিলেটে রাস্তা সংস্কারের অভাবে জাফলং এর মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে
হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলিট প্রতিনিধি :: (৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২৯মি.) আধুনিক ডিজিটার যুগেও রাস্তার অভাবে দুটি গ্রামের চার হাজারেরও অধিক মানুষ চরম দুর্ভোগের মাধ্যে রয়েছেন। যদিও নামমাত্র একটি রাস্তা রয়েছে সেটিও সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগি। আর বর্ষা মৌসুমে সেই নামমাত্র রাস্তায় পা ফেলাই দায়।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের দেওরগ্রাম ও লাবু গ্রামের মানুষ হাট-বাজার, অসুস্থ রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরন, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরাও স্কুল কলেজে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লাবু ও দেওরগ্রাম দুটি ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। এ দুটি গ্রামে প্রায় চার হাজার লোকের বসবাস। ভোটার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
রয়েছে দেওরগ্রাম সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও অবস্থান। এ দুটি গ্রামে কোন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই। শিক্ষার্থীদের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরবর্তী পরগনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁয়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।
দেওরগ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রব ও ইসলাম উদ্দিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, তাদের দুজনের বয়স এখন ষাটের কাছাকাছি। কিন্তু, এই বয়সে তাদের গ্রামের রাস্তাটিতে ভালোভাবে মাটি ভরাট কিংবা পাকাকরণ হচ্ছে না। যে কারণে এই বয়সেও তাদেরকে কষ্ট করে পাঁয়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। যে কারণে তাদের দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না।
দেওরগ্রামের বাসিন্দা পরগনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্র ফয়েজ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানায়, রাস্তা না থাকায় তাদেরকে প্রতিদিন প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতে তাদের তেমন কোন কষ্ট না হলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের কষ্টের সীমা থাকে না। এ দুটি গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন এভাবে পাঁয়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়।
রাস্তাটিতে ঠিক মতো মাটি ভরাট করা হলে কিংবা রাস্তাটি পাকাকরণ করা হলে তাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে বলে তার মন্তব্য। পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জালাল উদ্দিন বাবুল সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তাটিতে গত বছর কিছু মাটি কাজ করা হয়েছিল। কিন্তু, এবার বরাদ্দের অভাবে মাটির কাজ করা যায়নি।
এ কারণে রাস্তাটির কিছু স্থানে পানি জমে কাঁদার সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করা গেলে মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হবে। মাটি ভরাটের পর রাস্তাটি পাকাকরণও করা যাবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, পরগনাবাজার থেকে লাবু মসজিদ হয়ে দেওরগ্রাম ভায়া ছড়িখাই নদীর পর পর্যন্ত রাস্তায় মাটি ভরাট গেলে পুরো এলাকা যোগাযোগ নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে বলে জানান এ ইউপি সদস্য।
তিনি আরো জানান এলাকার অধিকাংশ লোক গরীব। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য সক্রিয় কোন নেতাও নেই। যে কারণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের মানুষের বঞ্চনার অবসান হচ্ছে না।