বুধবার ● ২১ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » কুশিয়ারা নদী ভেঙ্গে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত
কুশিয়ারা নদী ভেঙ্গে ৪০টি গ্রাম প্লাবিত
হাফিজুল ইসলাম লস্কর,সিলেট প্রতিনিধি :: (৭আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৩১মি.) গত কয়েকদিনের টানা বর্ষনের পর বৃষ্টি থেমে গেলেও টানা বর্ষনে গোলাপগঞ্জে সুরমা-কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়া পানি এখনো ভোগাচ্ছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষকে।
বর্ধিত পানির কারনে সৃষ্ট বন্যায় পানি বন্ধি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চল্লিশটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুধবারীবাজার, আমুড়া, ঢাকাদক্ষিণ, ভাদেশ্বর উত্তর বাদেপাশা এবং শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশেষ করে হাওরাঞ্চল এলাকার রাস্তাঘাট, দোকানপাট এবং ফসলি জমি বানের পানিতে তলিয়ে গেছে।
উত্তর বাদেপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ জানান ইতিমধ্যে তার ইউনিয়নের শান্তির বাজার, সুপাটেক,জামিরা, আনন্দপুর, কালাইম, বাগলা, মিরেরচক, বাদেপাশা, বড়কান্দি, ইসমাইলকান্দি, মোল্লার চক, আমকোনা, খাগাইল, হাজির কোনাসহ প্রায় ১৫/২০টি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছেন।
শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের হাকালুকি হাওর সংলগ্ন রাংজিয়ল, ইসলামপুর, নুরজাহানপুর, কালিকৃষ্ণপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।
শরীফগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মুহিত হিরা, জানান বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। ইউপি সদস্য কবির আহমদ, কবিরুল ইসলাম ও উবায়দুল্লাহ জানিয়েছেন উল্লিখিত গ্রাম গুলোতে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিগত দিনে বন্যার পানিতে তাদের শেষ সম্বল ধানি জমি তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার কৃষক পথে বসেছে। কাচা ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ্যামোনিয়া গ্যাস সৃষ্টি হয়ে সেখানকার মাছ এবং হাসের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হওয়ায় মৎস্যজীবিরা চোখে অন্ধকার দেখছে। বর্তমানে আবারো বন্যা দেখা দেয়ায় তারা সর্বস্ব হারাতে বসেছে। অত্র এলাকাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দূর্গত এলাকা ঘোষনা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এদিকে ভাদেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান জিলাল উদ্দিন জানান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি করেছে। কুলিয়া, শেখপুর, আলমপুর, মাশুরাসহ আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানি বন্ধি রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রানের ব্যবস্থা না করা হলে রমজান মাসে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কষ্ট আরো বেড়ে যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান উপজেলার পক্ষ থেকে অতি শীঘ্রই এলাকা পরিদর্শনে লোক পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।