বৃহস্পতিবার ● ২২ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » হালুয়াঘাটে সন্তানের সামনে মা’কে গণধর্ষণ
হালুয়াঘাটে সন্তানের সামনে মা’কে গণধর্ষণ
ময়মনসিংহ অফিস :: (৮ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৫মি.) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের পূর্ব গোপিনগর গ্রামে স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে সন্তানের সামনে মা’কে গণধর্ষণের পর হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ (২৮)’র ধর্ষণকারীদের শাস্তির দাবীতে বুধবার বিকেলে গোপীনগর গ্রামে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। পরে এ ঘটনায় বুধবার রাতেই হালুয়াঘাট থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি নির্জন দ্বীপের মতো স্থানে ভাঙ্গা ছনের ঘরে থাকেন ওই নির্যাতিতার পরিবার। প্রতিদিনের মতো দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। স্বামী বাবুল মিয়া রাতে মাছ ধরার কাজে ঘরের বাইরে থাকায় গত সোমবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জামাল হোসেন (৩০), মো. ইদ্রিস আলির ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৮), মো. এমদাদুল হক ও মো. ফরহাদসহ মোট চারজন মিলে গৃহবধুকে মুখ বেঁধে সন্তানের সামনেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষিতা অভিযোগ করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে ধর্ষিতাকে মেরে ফেলার জন্যে গলায় চেপে ধরে ধর্ষকরা। এ সময় বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতরত এক পথচারির টর্চ লাইটের আলো দেখে ধর্ষণকারীরা দ্রুত নৌকা যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে পথচারির উদ্যোগে গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আর ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই এটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে স্থানীয় মাতাব্বরেরা উঠে পড়ে লেগেছে বলে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ধর্ষিতার ৪ বৎসরের শিশু মোবাইদ জানায়,আমার আম্মুকে ওই দিন রাইতে (রাতে) ৪জন লোক আইয়া (এসে) অনেক নির্যাতন করছে (করেছে)। আমার আম্মু আর আমি চিল্লাইছি (চিৎকার করছি), কেউ (কেহ) আইছেনা (আসেনি) বাচাইতো (বাঁচাতে)।
ধর্ষিতার স্বামী বাবুল মিয়া বলেন, আমি মাছ মারার (ধরার) লাইগ্যা (জন্যে) বাইরে গেছিলাম (বাহিরে গিয়েছিলাম)। ঘটনার পর মোবাইলে ফোনে খবর পাইয়া (পেয়ে) আমি বাড়িত আইয়া (বাড়িতে এসে) আমার স্ত্রীকে লাঞ্চিত হয়ে অচেতন অবস্থায় দেখতে পাই। পরে তাকে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি ঘটনা জেনে বুধবার সন্ধার পর পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিম ও তার স্বামীকে থানায় নিয়ে আসি এবং মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করি।তবে আসামীরা পলাতক থাকলেও এদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।