শুক্রবার ● ২৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাউজানের ঈদ বাজারে
বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাউজানের ঈদ বাজারে
রাউজান (উত্তর) প্রতিনিধি :: (৯আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪০মি.) ঈদ দরজায় কড়া নাড়লেও রাউজানের ঈদ বাজারে তেমন বিকিকিনি নেই। প্রায় প্রতিদিন অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে । যার জন্য ঈদের কেনাকাটা করার জন্য ক্রেতারা আসতে পারছে না। রোজা ২০/২৫ টা গেলে বিক্রেতারা দম ফেলানোর সময় পায়না অথচ এইবার অলস সময় কাটাচ্ছে বিক্রেতারা। তার উপর কিছুদিন আগে হয়ে গেল স্মরণ কালের সেরা বন্যা। বয়োবৃদ্ধ যাঁরা তারাও বলছেন এই রকম বন্যার পানি তাঁরা আগে কখনো দেখেননি। উজানের ঢল নেমে হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় পুকুরের মাছ, পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি, চাউলের গুদাম, মুদির দোকান,ঔষধের দোকান, মোটর পার্টসের ব্যবসা, রড সিমেন্টের ব্যবসা সহ এমন কোন ব্যবসা নেই যেখানে বন্যার পানির জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি। অনেককে চট্টগ্রাম-রাউজান-রাঙামাটি প্রধান সড়কের উপর জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়। এই বন্যার ক্ষয়ক্ষতির জন্য রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন- এবারের বন্যায় রাউজানের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। আমি সব সময় অসহায় মানুষের পাশে থাকি। অতএব আমি মনে করি, ইফতার আয়োজনের চেয়েও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানো সবার কর্তব্য। এ কারণে রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠান বাতিল করে ওইসব অনুষ্ঠানের অর্থ বন্যা কবলিত মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বৃষ্টি না হলে ঈদ বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে,তখন মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীরাও যেমন- হিন্দু-বৌদ্ধরাও কেনাকাটা করতে ভিড় জমায়,কারণ ঈদের সময় ব্যবসায়ীরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের কাপড় আমদানি করে যা অন্য সময় দেখা যায় না। তখন রাত ১২টা, ১টা পর্যন্ত ও বেচাকেনা হয়। এত রাত পর্যন্ত বেচাকেনা করতে ক্রেতা-বিক্রেতার কোন সমস্যার হয় কিনা জানতে চাইলে বলেন- এটা হলো রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা, উনি দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন ভালো ভাবে করতে জানেন। ঈদ বলেন পূজা বলেন রাত-বিরাত সব সময় পুরুষ-মহিলা সবাই নির্ভয়ে চলাচল করতে পারেন। উনি অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী রাউজান আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সরকারী দলে থাকলেও বিরোধী দলে থাকলেও সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকেন। অন্যায় করলে নিজ দলের কাউকেও ছাড় দেন নাৃ, এই জন্য অন্যায় করতে সবাই ভয় পায়। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় সংখ্যালঘু নির্যাতন, মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ সহ বিভিন্ন রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা মাঝে মাঝে ঘটে থাকে, যেগুলো রাউজানে বিরল। রাউজানের মানুষ সহাবস্থানে থেকে যার যার ধর্ম পালন করেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাছাড়া বিএনপি-জামাতের আন্দোলনের সময় যখন সারাদেশে আগুন জ্বলছিল তখন একমাত্র রাউজান ছিল এর ব্যতিক্রম। যে জন্য সারাদেশের মানুষ যারা রাউজানের খোঁজখবর রাখেন তারা রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ভূয়ঁসী প্রসংসা করে বলেন - সারা বাংলাদেশের সাংসদরা যদি রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর মতো হতো তাহলে বিশ্ব অন্য এক বাংলাদেশকে দেখতে পেতো।