শুক্রবার ● ২৩ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ৮৮ বছর আগের আঞ্জুমান কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে আরো নান্দনিক করা হবে
৮৮ বছর আগের আঞ্জুমান কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে আরো নান্দনিক করা হবে
ময়মনসিংহ অফিস :: (৯আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.৪৮মি.) ময়মনসিংহে ৮৮ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত আঞ্জুমান কেন্দ্রীয় ঈদগাহকে আন্দনিকরূপে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আঞ্জুমান ঈদগাহ পরিষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কৃষিবিদ মোঃ খলিলুর রহমান।
তিনি জানান, দেশের অষ্টম বিভাগীয় শহরের প্রধান ঈদগাহ মাঠ হওয়ায় এটির আধুনিকায়নের প্রয়োজন রয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠের ভেতর নামাজের জায়গা পাকাকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পুকুরের পাড় বাঁধাই, পানি নিষ্কাশনসহ সৌন্দর্যবর্ধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে এ ঈদগাহের প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হবে।
ময়মনসিংহ পৌর মেয়র ইকরামূল হক টিটু জানান, বিভাগীয় শহরের ঐতিহ্যবাহী আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠের নানা সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ আন্দনিক রূপে গড়ে তোলার জন্য প্রশাসন ও মুসল্লীদের পরামর্শ অনুযায়ী পৌরসভা সহযোগিতার হাত বাড়াবে।
জানা যায়,আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ২০ হাজার মুসল্লী একত্রে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। প্রতি ঈদে দু’টি করে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এবছর ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে প্রথম জামায়াত এবং সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে বলে মাঠ সংশ্লিষ্টরা জানান।
দীর্ঘদিন ধরে এ মাঠে নামাজ পড়েন এমন অনেক মুসল্লীরা জানান, সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও ঝড়ে ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পুকুর পাড়ের মাটি সরে যাওয়ায় অনেক গাছ উপড়ে পড়েছে। তাছাড়া বৃষ্টি হলে এখনো মাঠের ভিতর পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনে আরো ড্রেন নির্মাণ করা প্রয়োজন। মাঠের সমুদয় জায়গা এখনো পাকাকরণের কাজ সমাপ্ত হয়নি। সর্বোপরি বৃহৎ আঞ্জুমান ঈদগাহে ভালোমানের কোনো গেট নেই। অবিলম্বে একটি ভালোমানের গেট নির্মাণ করা প্রয়োজন। বর্ষার সময় ঈদের দিনে ত্রিপল ও সামিয়ানার কোনো ব্যবস্থা করা হয়না। বৃষ্টি হলে ভিজে মুসল্লীদের নামাজ আদায় করতে হয়।
যদিও ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন নান্দনিক একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে সাড়ে ১২শত মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। ।
ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও গণপূর্ত ময়মনসিংহ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম কামরুজ্জামান জানান, ৫ মার্চ ১৯৬৯ সালে এই ঈদগাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পুরনো কাগজপত্রে থেকে জানা যায়, ১৯২৯ সালে এই আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে প্রথম ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এই ঈদগাহ কমপ্লেক্সে মোট ৫.৬৬৮ একর জমি রয়েছে। তন্মধ্যে ১.৭৭ একর জমিতে পুকুর রয়েছে। মরহুমা রাবেয়া খাতুনের অর্থায়নে ১৯৬৯ সালে প্রথম একতলা একটি মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। পরে ২০১৬ সালে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ৫তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে ২ তলা সমজিদটি নির্মাণ করা হয়। ১ এপ্রিল-২০১৬ নবনির্মিত মসজিদটি মুসল্লীদের জন্য খুলে দেয়া হয়। মসজিদটি অত্যন্ত নান্দনিকরূপে নির্মাণ করা হয়েছে। আঞ্জুমান ঈদগাহ এলাকায় ৫ শতাধিক গাছপালা রয়েছে। এছাড়াও ইমাম সাহেবের কোয়ার্টারও রয়েছে।
প্রতি বছর দুই ঈদে মুসল্লীদের দান-অনুদান এবং স্থাপনা ভাড়ার টাকায় ইমাম ও স্টাফদের বেতন ভাতা প্রদান করা হয় বলে প্রকৌশলী একেএম কামরুজ্জামান আরো জানান।