রবিবার ● ২৫ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » বরগুনা » বেতাগীতে ঈদ উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে শাড়ি বিতরণ
বেতাগীতে ঈদ উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে শাড়ি বিতরণ
বরগুনা প্রতিনিধি :: (১১ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় ভোর ৬.১০মি.) আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শিকদার পরিবারের পক্ষ থেকে বেতাগী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৭২টি ওয়ার্ডের ১৫০০ জন দুস্থ নারীদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। বরগুনা জেলা পরিষদের প্যনেল চেয়ারম্যান নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু, বাবার আদার্শকে অটুট রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উপজেলার সর্বত্র অঞ্চলের গরীব দুঃস্থ নারীদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগা-ভাগি করে নেবার লক্ষ্যে তার সহকর্মীদের মাধ্যমে গ্রামের বাড়ি- বাড়ি দুঃস্থ নারীদের মাঝে কাপর পৌছে দেন। আমরা হয়তো সকলকে দেখি নিজ সমাজের প্রতিনিধিগন নিজ হাতে কাপর বিতারন করেন কিন্তু শিকদার পরিবার কেন তাদের সহ-কর্মীদের মাধ্যমে বাড়ীতে বাড়ীতে দুঃস্থদের দুয়ারে ঈদের বস্ত্র পৌছে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এই বাড়ি বাড়ি পাঠানোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন- আমার বাবা মরহুম প্রফেসর ড. আবুল হোসেন শিকদার সাহেব জীবদ্দশায় গরীব, দুঃখী, অসহায় মানুষদের পাশে ছিলেন। তাদের সুখে দুঃখে যেমন পাশে থাকতেন তেমনি আমরা তার সন্তানেরা বাবার মত করে তাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এলাকার গরীব, দুঃখী মানুষেরা সহ বেতাগীর সর্বস্তরের মানুষদেরকে নিয়েই আমাদের পরিবার। পরিবারের দূর্বল সদস্যদেরকে যেমন অন্যরা সবাই সাহায্য করে, তেমনি বেতাগীর গরীব, দুঃখী সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের পাশে আমরা যারা ভাল অবস্থানে আছি, তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত বেতাগী গড়তে পারবো বলেন নাহিদ মাহমুদ হোসেন লিটু ।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অনেকেই বাজারে বা অফিসে দুঃস্থদের কাপড় দিয়েছেন, আপনি অন্যের হাতে বাড়ি বাড়ি পাঠালেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি মুচকি হেসে বলেন আমি নিজে সব ওয়ার্ডের সবাইকে চিনি না, কে দুঃস্থ ? কে গৃহহীন তা আমি জানি না। এই সব ঐ ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দারা অর্থাৎ মেম্বার এবং রাজনীতিবিদরাই ভাল জানেন। তাই তাদের হাতেই পাঠিয়েছি। আমার একার পক্ষে ২ দিনে সবার ঘরে ঘরে যাওয়া সম্ভব ছিল না। আমি বিশ্বাস করি। কাউকে উপহার দিলে তা তার নিকট পৌছে দেয়া উচিৎ। অনেকেই আত্মসন্মানের কারনেও এসে নিতে চায় না।
আমি তরুন সমাজের প্রতিনিধি। মানুষ তরুনদের কাছে ব্যাতিক্রম কিছুই আশা করে। তাই আমি নবীন প্রবীনের সমন্বয়ে কাজ করছি এবং আগামী দিনেও কাজ করে বেতাগীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
আপনাদের সাংবাদিকদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, আপনারা গঠন মূলক সংবাদ করবেন। আপনাদের কলমের উপড় নির্ভর করে সমাজের অগ্রগতি। আমি কোন অন্যায় করলে, অবশ্যই সেটি নিয়ে লিখবেন। গঠন মূলক সমালোচনা করবেন।