সোমবার ● ১৬ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ফি ২৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা
মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ফি ২৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা
ঢাকা প্রতিনিধি :: মোটর সাইকেলের লাইসেন্সের জন্য আর দীর্ঘ অপেক্ষা নয়। এবার মোটর সাইকেল আরোহীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে লাইসেন্স পাওয়া সহজ করার চিন্তাভাবনা করছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। কাগজপত্র ছাড়া কোন মোটরসাইকেলই আর রাস্তায় না থাকে সেজন্য মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ফি ২৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে গাড়ি কেনার আগেই লাইসেন্স প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জাতীয় সংসদ ভবনে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এসব প্রস্তাব করা হয়। কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এ.কে.এম.এ আউয়াল(সাইদুর রহমান), রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, নুরুজ্জামান আহমেদ, নাজমুল হক প্রধান, মো. মনিরুল ইসলাম, লুৎফুন নেছা প্রমুখ।
বৈঠক শেষে নাজমুল হক প্রধান বলেন, বর্তমানে দেশে লাইসেন্সবিহীন হাজার হাজার মোটরসাইকেল রয়েছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এজন্য তিনি লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতাকেই দায়ী করেন।
তিনি বলেন, লাইসেন্স ফি’র জন্য যে হারে টাকা নেওয়া হয় তাতে অনেকেই লাইসেন্স না করে ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে সরকারকে ফাঁকি দিচ্ছেন। এ জন্য বিষয়টি গুরুত্বে সাথে নিয়ে লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা প্রস্তাব করা হয়েছে। সাথে গাড়ি কেনার আগে লাইসেন্স প্রাপ্তি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
কমিটির অপর সদস্য এ কে এম এ আউয়াল বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনের কথা চিন্তা করে সরকার আরো কিছু দ্বিতল বাস আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত হতে এই বাস আমদানি করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ইন্ডিয়ান ডলার ক্রেডিট লাইনের আওতায় ৩০০টি দ্বিতল ও ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাস সংগ্রহ পিডিপিপি পরিকল্পনামন্ত্রী কর্তৃক নীতিগত অনুমোদিত হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে পায়রা সেতু (লেবুখালি সেতু) নির্মাণ প্রকল্পের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র সদস্যবৃন্দ কর্তৃক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেন’ উন্নীতকরণ কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনের পর বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কে চার লেন’ উন্নীতকরণ কাজের গতি বৃদ্ধি, যানজট নিরসণে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ, মহাসড়কে বাজার উচ্ছেদে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
বৈঠকে সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিব, সেতু বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।