রবিবার ● ২৫ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ
গাজীপুরে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস না দিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (১১আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৬মি.) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পোশাক শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে কারখানা থেকে পালিয়ে গেছে কর্তৃপক্ষ। ওই বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে গত তিন দিন ধরে কারখানার ভিতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে শ্রমিকরা। রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ। ঈদের ছুটিতে শ্রমিকদের বাড়ি যাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা মুরাদপুর এলাকার এরিনা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। ওই কারখানায় প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ শ্রমিক রয়েছে।
তারা গত দেড় বছর ধরে ওই কারখানায় কাজ করে আসছেন। কিন্তু গত তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে এবং ঈদ বোনাসও দেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে গত ২১ জুন কারখানা থেকে পালিয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
প্রতিদিনের মতো গত ২২ জুন সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। ওইদিন থেকে শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ২৫ জুন রবিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত কারখানার ভিতরে অবস্থানরত রয়েছে।
ওই কারখানার শ্রমিক মামুন অর রশিদ ও নাছিমা আক্তার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, গত তিন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। বেতন ও বোনাস না দেওয়ায় আমরা বাসা ভাড়া এবং দোকানের বকেয়া বিল দিতে পারছি না। এছাড়া বাড়ি যাওয়ার মতো টাকাও নেই। তাই তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে খেয়ে না খেয়ে কারখানার ভিতরেই অবস্থান নিয়ে আছি। বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস না দেয়া পর্যন্ত আমরা কারখানার ভিতরেই থাকব।
ওই কারখানার ব্যবস্থাপক মো. আরমান খান সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কারখানার ব্যবসা ভালো না হওয়ায় ব্যবসা পরিবর্তন করার চিন্তা ভাবনা চলছে। শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করার চেষ্টা চলছে। মেশিনপত্র বিক্রি করা হলে শ্রমিকদের বেতন দেয়া হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তারা জানিয়েছে, কারখানার মেশিনপত্র বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। মেশিনপত্র বিক্রি করে টাকার ব্যবস্থা হলে বেতন দিয়ে দেবে।