বুধবার ● ২৮ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » নওগাঁ » ঈদে আত্রাইয়ের পতিসর কাছারী বাড়িতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভির
ঈদে আত্রাইয়ের পতিসর কাছারী বাড়িতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভির
নাজমুল হক নাহিদ,আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: (১৪ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২.০০মি.) নওগাঁর আত্রাইয়ে বিশ্ব কবি রবিন্দ্রাথ ঠাকুরের কাছাড়ী বাড়িতে লক্ষ্য করা গেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভির। আত্রাই উপজেলায় বিশেষ কোন দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসাবে এই বিখ্যাত কাছাড়ি বাড়িকে স্ব-পরিবারে ভ্রমণ করার স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে আত্রাই উপজেলার লোকজনসহ আশপাশের এলাকার মানুষেরা। যান্ত্রিক জীবন থেকে একটু বিনোদন পাওয়ার জন্য সবাই কবি গুরুর এই কাছাড়ি বাড়িকে পছন্দ করে নিয়েছেন। নওগাঁ জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে কবি গুরুর এই কাছাড়ি বাড়ি অন্যতম।
রবি ঠাকুরের এই পতিসরের কাছাড়ি বাড়িটি এক অন্যন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্থান পেতে পারে আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের মধ্যে। এই কাছাড়ি বাড়িটি প্রায় একবিঘা জমির উপড় অবস্থিত কবির এই কাছারী বাড়ি। এখানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে কবির ব্যবহৃত বিভিন্ন আসবাবপত্র। এখানে বর্তমানে একটি দৃষ্টি নন্দন ডাকবাংলা, একটি কৃষি কলেজ ও কাছারী সংলগ্নে নির্মাণ করা হয়েছে দেবেন্দ্র মঞ্চ। এখানে ঘুরতে আসলে বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে আসা পরিচিত মুখ গুলোর সাথে দীর্ঘ দিন পরে দেখা হয়ে যায় অনেকেরই। ফলে এই কাছারী বাড়ির ভিড় এক ধরণের মিলন মেলায় পরিণত হয়।
বর্তমানে এখানে টিকিটের ব্যবস্থাও রয়েছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ টাকা, মাধ্যমিকের পর হতে সকল পর্যায়ে ১৫ টাকা, সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ৫০ টাকা এবং ইউরোপের নাগরিকদের জন্য ১০০ টাকা হিসেবে টিকিটের পরিমান নির্ধারণ করেছেন।
বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক আল মামুন বলেন, এবারের এই ঈদে তুলনামূলক ভাবে দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো অনেক বেশি। এতে সরকার এখান থেকে অনেক টাকা রাজস্ব আয় করেছেন। তবে কবিগুরুর এই কাছারী বাড়িকে জাতীয় পর্যায়ে যদি আরো আধুনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে তোলা যায় তাহলে এটি একটি আকর্ষনীয পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
নাটোর থেকে আসা দর্শক মো. শরিফুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমি ঢাকায় চাকরি করি। পরিবারকে তেমন একটা সময় দিতে পারি না। তাই ঈদে কবিগুরুর পতিসরে স্ব-পরিবাওে এসেছি বেড়ানোর জন্য। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো বলে হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে একটু বিনোদনের জন্য এসেছে স্ব-পরিবারে। তবে ভবিষ্যতে এখানে শিশুদের জন্য পার্কেও ব্যবস্থা করলে অনেক ভালো হবে।
বাগমারা উপজেলা থেকে আসা শাহানাজ পারভিন বলেন, ব্যস্ততার কারণে স্ব-পরিবারে কোথাও বেড়ানোর সময় হয় না। তাই এবার ঈদে স্ব-পরিবারে দিনব্যাপী ভ্রমণের জন্য কবিগুরুর কাছারী বাড়িতে এসেছি। আমার সন্তানদের শিক্ষনীয় অনেক বিষয়ে এখানে আছে যা থেকে তারা বিশ্বকবির অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবে।