শুক্রবার ● ৩০ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » রাঙামাটি জেলায় পাহাড় ধ্বস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ পরিস্থিতি (ভিডিওসহ)
রাঙামাটি জেলায় পাহাড় ধ্বস ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সর্বশেষ পরিস্থিতি (ভিডিওসহ)
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম :: (১৬ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ৩.২২ মি.) পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থামাতে ১৯৯৭ সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নামে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সরকারের সাথে চুক্তি করেছে। তৎপরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস বয়ে আনার পরিবর্তে একের পর এক উগ্রসাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দুর্গম পাহাড়ের আনাচে কানাচে। পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর এ অঞ্চলের প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ, ডেপুটি কমিশনার কার্যালয়, চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সার্কেল চীফ কার্যালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারত প্রত্যগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স ইত্যাদি। পূর্বে থেকে পার্বত্য জেলায় বহাল ছিল বিভিন্ন সেনা গেরিসন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি), বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, বাংলাদেশ পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন- জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পৌরসভা ও বাজার ফান্ড নামক সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ। যার কারণে কে কোন দায়িত্ব পালন করবে সমন্বয়হীনতায় ভুগছেন প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা।
তারপরও সরকারের নির্দেশনায় পরিচালিত হয়ে আসছে পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন ব্যবস্থা। তিন জেলায় রয়েছে মাত্র জাতীয় সংসদের তিনটি আসন- রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি আসন। এক কথায় বলতে গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হ-য-ব-র-ল অবস্থা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকার নির্বাসিত।
নুরুল ইসলাম নয়ন নামের মোটরসাকেল চালক এর লাশ ১ জুন বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-লংগদু সড়কের পাশে পাওয়া যাবার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয় জেলার লংগদুতে পাহাড়ীদের গ্রামে দুর্বত্তকারীদের অগ্নিসংযোগ, অস্বাভাবিক হারে কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়া, গত ১৩ জুন প্রবল ভারী বর্ষন ও বন্যায় পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধ্বসে ২ শতাধিক প্রাণহানি, ৩শ’র অধিক আহত ও পাহাড় থেকে নেমে আসা পানিতে রাঙামাটি জেলার বরকল, লংগদু, নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, উপজেলা সমূহে বন্যায় জনসাধারনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি গণমাধ্যমে পূণরায় সংবাদ শিরোণাম হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রশাসনিক ব্যবস্থা আবারো প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে রাঙামাটি জেলায় কাঠ, মাছ, বাঁশ, পাথর ও বিভিন্ন মৌসুমী ফসল ব্যবসা মূখ থুবরে পরেছে। ১৩ জুন পাহাড় ধ্বসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় দেশের মূল ভু-খন্দের সাথে রাঙামাটি জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্থ হয় চট্টগ্রাম রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি রাঙামাটি, বান্দরবান রাঙামাটি ও অভ্যন্তরীণ সড়কসমূহ। রাঙামাটি জেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বিকল্প পথে রাঙামাটি - কাপ্তাই লঞ্চ চলাচল চালু করে স্থানীয় জেলা প্রশাসন।
গত ১৩ জুন মানিকছড়িতে পাহাড় ধ্বসের কারনে চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় সকাল ৯টায় রাঙামাটি সদর জোন ২২ বীর সেনাবাহিনীর সৈনিকরা সড়ক থেকে মাটি অপসারনে গেলে আসস্মিক পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপায় ২ সেনা অফিসার ও ৩ সৈনিকের অকাল মৃত্যু ঘটে। তাদের আত্মহুতিও স্মরণীয়। পরিবেশবিদরা বারবার বলছেন অপরিকল্পিত ভাবে পরিবেশের ক্ষতি করে বসবাসের বাসগৃহ তৈরী করার ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হওয়ায় পাহাড় ধ্বসে এত লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। সিএইচটি মিডিয়াটুয়েন্টি ফোর ডটকম বিভিন্ন সময়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন লংঘন করে পাহাড় কাটা ইত্যাদি বিষয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেছে। স্থানীয় প্রশাসন এসব সংবাদ মোটেও আমলে নেয়নি। ১৩ জুন রাঙামাটি জেলায় ভয়াবহ পরিবেশের বিপর্যয় ঘটে যা অত্যন্ত ভয়াবহ ও জেলায় নিরব দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। এক কেজী আলুর দাম রাতারাতি উঠে আসে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়, ৪৮ টাকার চাউল এর দাম উঠে ৭০ টাকায় ও জ্বালানী তেল অকটেন ৯০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়।
যদিও স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় চার দিনের মাথায় এসব দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনে আসে। জেলায় এতবড় বিপর্যয় ঘটে গেলেও দেখা মেলেনি কোথাও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের।বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে জেলার বিজ্ঞ মহলকে।
এদিকে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলা ছোট হরিনা থেকে সরকারী এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএইচটি মিডিয়াকে জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষনের ফলে পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মানুষের বাড়ীঘর ও ফসলি জমি ডুবে গেছে, ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে, তবে পর্যাপ্ত নয়, জ্বালানী তেলের সংকট কেটে গেছে কিন্তু স্থানীয়দের ফসলি জমিতে পলিমাটি পড়ে চার থেকে পাঁচ ফুট নীচে তলিয়ে গেছে পাকা ফসলের ধানীয় জমি, কাঠ ব্যবসায়ীদের লক্ষ লক্ষ টাকার কাঠ নদীর পানিতে ভেসে গেছে যা কোন দিন তারা ফিরে পাবেনা। তিনি আরো জানান, উজানের পানির চাপে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা কাপ্তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালে কর্তৃপক্ষ কাপ্তাই বাঁধের স্পিলওয়ে খুলে দেওয়াতে বন্যা পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
ব্যাপক পাহাড় ধ্বস ও ক্ষয়ক্ষতির পরপরই রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি নার্সিং ইনষ্টিটিউটসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
রাঙামাটিতে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শহরের প্রধান প্রধান মার্কেটগুলি বন্ধ রয়েছে। ২৯ জুন বৃহসপতিবার বিকেলে শহর ঘুরে দেখা গেছে শহরের প্রাণ চাঞ্চল্য নেয়, সকল মানুষ কেবল তাকিয়ে রয়েছেন শহরের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসার দিকে। প্রতিটি ব্যবসায় মন্দাভাব।
রাঙামাটিতে কাঁচা মরিচের আকাল পড়েছে। ৮০ টাকা দরের কাঁচা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে ২০০শত টাকা ধরে। আবার স্থানীয় পাহাড়ি কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকার পণ্য ৪০০শত টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। রাঙামাটি বাজারে যেই জিনিষটার দেখা মিলছেনা তা হলো, কাঁচা মরিচ। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুন বেশী। বনরুপা বাজারের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী মো. আলি বলেন, রাঙামাটিতে পাহাড় ধ্বস এর কারণে ছোটগাড়িতে করে মালামল আনতে হয় যানবাহন খরচ বেশী এজন্য পরতা বেশী,তাছাড়া এসময়ে পাহাড়ি মরিচটা নাই। বর্ষমৌসমে এ অঞ্চলে কাঁচা মরিচের দাম বেশী থাকে। এই সমস্যা আরো মাসখানিক থাকবে বলে জানান।
জনৈক এক কাঁচা তরকারী ব্যবসায়ী বলেন, রাঙামাটি শহরে তরকারী , শাকসবজি, রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ বন্ধ থাকাতে এসব পণ্য মূলত আমদানী হয় চট্টগ্রাম, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া ও ঘাগড়া থেকে। এসব নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে এবং চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার ফলে প্রতিটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। রাঙামাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরুপা বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিকেজী বেগুন ৪০ টাকা আলু ২০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেয়াজ ৩০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চাউলের দর প্রতি কেজীতে ৩-৫টাকা বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ রাঙামাটিতে বন্ধ থাকায় ১২০ টাকা দরের মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। ১৮০ টাকা দরের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়, দেশীয় মুরগী ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা ফার্মের মুরগী ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বিগত দিনের তুলনায় প্রতি কেজীতে ৮০ টাকা বেশী। জনৈক এক ভাঙরী মালের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ব্যবসা অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় চলছে, রোদে হেটে মাল সংগ্রহ করে মহাজনের কাছে নিয়ে গেলে মহাজন মাল কিনতে চায়না, কারণ এসব মাল জেলার বাহিরে পাঠানোর ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।
আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী হোটেল প্রিন্স এর মালিক নেসার আহম্মেদ বলেন, এবার ঈদুল ফিতরে পর্যটকদের কোন সমাগম হয়নি, কর্মচারীরা অলস সময় পার করছে, পাহাড় ধ্বসের কারণে হোটেল ব্যবসায় ব্যাপক ধ্বস নেমেছে বলেন তিনি।
জনৈক একজন কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, হরিনা থেকে তার ৭০ লক্ষ টাকার কাঠ পানিতে ভেসে গেছে যার কোন হদিস নাই।
রাঙামাটি শহরের আলুটিলা এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য নিয়ন চাকমা বলেন, ভুমি ধ্বসে বাড়ীঘর হারিয়ে ফেলেছি, কেবলমাত্র পরনের লুঙ্গিটা সাথে নিয়ে পরিবার নিয়ে অন্যর ঘরে দিন কাটাচ্ছি, সরকারী কোন প্রশাসন তাদের খোঁজ কবর না নেওয়াতে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার দাবি উলুছড়ি ও আলুটিলা এলাকায় ভুমি ধ্বসের কারণে ২ জনের প্রান হানি ঘটলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক, সরকারী সহযোগিতা দেয়া হোক এসব এলাকায়।
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম বিভিন্ন স্থানে তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারেরা কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে, কেউ আত্মীয় স্বজনের ঘরে আবার কেউ প্রতিবেশীর বাড়ীতে এক কাপড়ে বসবাস করছে। অধিকাংশ লোকে শুধুমাত্র সরকারী প্রদত্ত ত্রাণই ভরসা। এক কথায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবাগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে।
গত ১৩ জুন ভুমি ধ্বসের কারণে রাঙামাটি জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক বিভাগ ও টেলিফোন বিভাগসহ বেশকিছু সরকারী স্থাপনার।
রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়ক, আসামবস্তী হয়ে কাপ্তাই রাঙামাটি সড়ক, মানিকছড়ি (রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি) সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজে ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে। সীমিত পরিসরে রাঙামাটি - চট্টগ্রাম সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে ।
এ বিষয়ে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাঙামাটির সাথে কাপ্তাই পানি পথে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের তিনটি লঞ্চ জনসাধারনের জন্য বিনা ভাড়ায় চালু রয়েছে, রাঙামাটি খাগড়াছড়ি সড়কে দুটি স্থানে পাহাড় ধ্বসে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় রাঙামাটি - খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে, কাজ চলছে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং এর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কাজ অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে, আমরা বেশী গুরুত্ব দিচ্ছি রাঙামাটি -চট্টগ্রাম সড়ক পুরোদমে চালুর দিকে, এ সড়ক চালু করা গেলে জেলার সকল ধরনের মালামাল আনা নেওয়া যাবে। রাঙামাটি জেলার পরিস্থিতি ভাল রয়েছে বলে দাবি করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। তবে ঠিক কবে নাগাদ পুরোদমে সড়ক চালু করা সম্ভব হবে জানাতে পারেন নি জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বস ও বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতির পর জেলার পরিস্থিতি ইতোমধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু হেলাল মোহাম্মদ শফিকুল হক ও সরকারের একাধিক বিভাগীয় প্রধান।