রবিবার ● ২ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভালুকায় বকেয়া বেতন ও ফ্যাক্টরি বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ভালুকায় বকেয়া বেতন ও ফ্যাক্টরি বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ময়মনসিংহ অফিস :: (১৮আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৫মি.) ময়মনসিংহের ভালুকায় বকেয়া বেতনের দাবির পাশাপশি শ্রমিকদের না জানিয়ে ওরিয়ন নিট টেক্সটাইল ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে মিলগেটে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। এসময় আড়াই শতাধিক শ্রমিক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জড়ো হয়ে বিক্ষোভসহ অবরোধের চেষ্টা চালায়।
২ জুলাই রবিবার সকালে উপজেলার শিল্প এলাকা হবিরবাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে ।
শ্রমিকরা জানান, তারা এই ফ্যাক্টরিতে আড়াইশ শ্রমিক কর্মরত আছেন। গত ২৩ জুন শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মাসের বেতন না দিয়ে ১০ দিনের বেতন দেয়া হয় এবং ঈদের পর রবিবার কাজে যোগদানের জন্য বলা হয়। এদিন সকালে কর্মস্থলে এসে দেখেন মিলের প্রধান ফটকে তালা ঝুঁলানো। এ সময় জানতে চাইলে গেটে থাকা লোকজন জানায়, দুই কিলোমিটার দূরে মাস্টার বাড়িতে ইউনিট-১ কাজ করতে হবে। না হলে আমাদেরকে চলে যেতে বলেন। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কে গিয়ে অবস্থান করেন।
শ্রমকরা আরো জানান, তিনঘন্টা মহাসড়কে অবস্থানের পর স্থানীয় চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বাচ্চু ফ্যাক্টরির জিএম এ্যাডমিন ইমতিয়াজ আহমেদকে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং আমাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় ফ্যাক্টরির স্থানীয় ভাড়াটিয়া আতা ঢালী ও বাশার ঢালী নারী শ্রমিকসহ বেশ কিছু শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়ে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় প্রায় ১৫জন শ্রমিক আহত হয়।
পরে চেয়ারম্যান বাচ্চু’র হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তারপর বহু আলোচনার পরও কোন ফয়সালা না হওয়ায় জিএম মাইক্রোবাসে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা মাইক্রোবাস ঘেড়াও করে বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে মাইক্রো থেকে নেমে জিএম একটি মোটরসাইকেলে চড়ে তিনি পালিয়ে যান।
এ সময় মালিক পক্ষের ভাড়াটিয়া লোকজন লাঠি নিয়ে ধাওয়া করলে উত্তেজিত শ্রমিকরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় জিএম এর মাইক্রোবাসের সামনের গ্লাসকে কে বা কারা ইট মেরে ফাটিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে মিলের জিএম এ্যাডমিন ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, শ্রমিক আইন মেনেই তাদেরকে অন্যত্র শিফট করতে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদি তারা না যায়, তবে তাদের পাওনা মিটিয়ে দেয়া হবে।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন অর রশিদ জানান, মিল কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিয়ে বসে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে। বর্তমানে মিল এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।