বুধবার ● ৫ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » একটি ব্রীজের আশায় খিরু নদীর দু’পাড়ের হাজার হাজার মানুষের কয়েক যুগ পাড়
একটি ব্রীজের আশায় খিরু নদীর দু’পাড়ের হাজার হাজার মানুষের কয়েক যুগ পাড়
ময়মনসিংহ অফিস :: (২১ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২৭মি.) ভালুকার উপজেলার ভয়রাটেকে খিরু নদীটি ৩ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বিভক্ত করে রেখেছে। একটি মাত্র সেতুর অভাবে এ অঞ্চলের মানুষগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। পাঁচগাঁও ভয়রাটেকে খিরু নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে ৩ ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন ওই অঞ্চলের জনসাধারণ।
মেদুয়ারী ইউনিয়নের হারেজ মিয়া মনে কষ্ট নিয়ে বলেন,নদীর এপারে মল্লিকবাড়ী ওপাড়ে ডাকাতিয়া, মেদুয়ারী ইউনিয়ন। দুই পাড়ের মানুষগুলোর মাঝে গভীর সম্পর্ক থাকলেও যুগ যুগ ধরে ভাগ করে রেখেছে খিরু নদী। একটি সেতুর আশায় কয়েক যুগ শেষ। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু সেতু হয়না। একই উপজেলা হওয়া সত্বেও সারাটা জীবন তারা দুই পাড়ের বাসিন্দা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে মল্লিকবাড়ী বাজার ঘেঁষে খিরু নদীর উপর ভয়রাটেকের এই ঘাটে সরকারীভাবে ঘাট ডেকে এনে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো ও বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে মানুষ পারাপার করে। আবার পার হতেও প্রতিবার ২/৫টাকা করে দিতে হয়। নদীর এপারে মল্লিকবাড়ীতে ১টি প্রাইমারী স্কুল, ১টি স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ১টি দাখিল মাদ্রাসা, ১টি মহিলা মাদ্রাসা ও কয়েকটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। প্রতিদিন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার সাধারণ জনগন ঝুঁকিপূর্ণ ওই সাঁকো বা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া হঠাৎ কেউ অসুস্থ্য হয়ে পরলে রোগী বহনের কোনো যানবাহন পারাপারেরও ব্যবস্থা নেই। এসব অসুবিধার কারণে খিরু নদীর ভয়রাটেকে একটি সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ডাকাতিয়ার কাতলামারী,পাঁচগাঁও,উথুরা মরচী,নারাঙ্গী,মেদুয়ারীর পানিবান্ডা,সোয়াইল,গ্রামবাসীসহ উত্তর অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া মল্লিকবাড়ী অঞ্চলের মল্লিকবাড়ী, ভায়াবহ, গোবুদীয়া, নয়নপুর, সোনাখালী, চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দারা ওপারে যাতায়াত করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা পানিভান্ডা গ্রামের ফাইজুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ব্রিজটা হলেই আমরা পরিপূর্ণতা পেতাম এবং আমাদের বহুদিনের কষ্ট লাগব হতো। তাছাড়া প্রতিদিন আমাদের নদী পার হতে যাওয়া আসা বাবদ ৫ থেকে ১০টাকা করে দিতে হয়। ভ্যানচালক আব্দুল মতিন সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, প্রতিবার নদী পার হতে আমার গাড়ী বাবদ ২০টাকা করে দিতে হয়। সেতু হলেতো আমরা বেঁচে যেতাম।
ডাকাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ সাইফুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, পাঁচগাঁও খিরু নদীর এই সেতুটি অনেক আগেই করার দরকার ছিলো। বর্তমান সরকারের উন্নয়নে এখানে একটি সেতু অগ্রাাধিকার ভিত্তিতে করা দরকার।
ভালুকা উপজেলা প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এখানে একটি ব্রিজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। আশা করছি অচিরেই এখানে একটা সেতু নির্মাণ হবে।
ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম মোস্তফা সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমার জানা মতে এটা অনুমোদন হয়ে গেছে। এই অর্থ বছরেই কাজ শুরু হবে বলে আশা রাখছি।