বৃহস্পতিবার ● ৬ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » শিরোনাম » বিশ্বনাথে গাছ উপড়ে ভাঙ্গছে সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংঙ্কা
বিশ্বনাথে গাছ উপড়ে ভাঙ্গছে সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংঙ্কা
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২২ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০৯মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা সদর এলাকায় কয়েক দশক পূর্বে বাসিয়া নদীর তীরে রোপনকৃত বড় বড় একাধিক গাছ গুড়ি’সহ উপড়ে পড়ে ভাঙ্গছে সড়ক। দেখা দিয়েছে বাসিয়া নদীর গর্ভে সড়ক বিলীন হওয়ার আশংঙ্কা। গুড়ি’সহ গাছ উপড়ে পড়ে সড়ক ভাঙ্গার পাশাপাশি সড়কটিতে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্যা গর্তও। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলে দিন দিন জনদূর্ভোগ বেড়ে চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন পরিচালনা করছেন চালকরা।
উপজেলার নতুন বাজার মাছহাটা থেকে মুফতিরগাঁর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কটির এমন করুণ দশা। দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধিদের কাছে এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সকলের উদাসিনতার ফলেই উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন থেকেই অবহেলার মধ্যে পড়ে আছে।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পাশাপাশি ‘নতুন বাজার মাছহাটা-মুফতিরগাঁর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক’ দিয়ে উপজেলার দৌলতপুর, দশঘর ও রামপাশা ইউনিয়নের ইউনিয়নের এক বিরাট জনগোষ্টিকে চলাচল করতে হয়। অত্র এলাকার স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্যতামূলক ভাবেই ব্যবহার করতে হয় সড়কটি। রোগীবহনে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানাখন্দের কারণে প্রায় আধা কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়ক দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে এলাকাবাসীকে দীর্ঘদিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর সাথে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে গুড়ি’সহ গাছ উপড়ে পড়ার কাহিনী। দীর্ঘদিনের পুরাণো এসব গাছের ডালপালা কর্তন না করার কারণে ও গাছগুলো নদীর তীরে হওয়ার কারণে বয়সের বাড়ে নুয়ে পড়ছে। আর গুড়ি’সগ গাছ উপড়ে পড়ায় ভেঙ্গে যাচ্ছেন সড়কটিও। মাসখানেকের মধ্য সড়কটিতে এভাবে একাধিক গাছ উপড়ে পড়ার কারণে এলাকাবাসীর মনে দেখা দিয়েছে সড়কটি বাসিয়া নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংঙ্কা।
সড়কটি রক্ষা করার জন্য ‘সরকারের উর্ধ্বতন ও সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ’কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তা না হলে অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে জনগূরুত্ব পূর্ণ সড়কটি। আর সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হলে এলাকাবাসীর দূর্ভোগ-দূর্দশার সীমা থাকবে না।
এলাকার আবদুল মজিদ (ছদ্মনাম) বলেন, গাছগুলোর ডালপালা কর্তন করে দিলে, পুরাণো দিনের ওই গাছগুলো গুড়ি’সহ উপড়ে পড়তো না। আর সড়কও ভাঙ্গতো না। তাই সড়ক রক্ষা করতে হলে হয় দ্রুত দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোর ডালাপালা কর্তন করে দিতে হবে, না হয় গুড়ি বরাবরে গাছগুলো কর্তন কতে হবে। গাছের গুড়ি মাটির নিছে থাকলে আর সড়ক নদী গর্ভে বিলীন হবে না। আর পরবর্তিতে সরকারি বিধি মেনে কাটা গাছগুলো নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে।
নতুন বাজার মাছহাটা অটোরিক্সা (সিএনজি) স্ট্যান্টের মেম্বার আমির আলী সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, এমনিতেই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গা। তার উপর গুড়ি’সহ গাছ উপড়ে পড়ে সড়কের বিরাট অংশ ভেঙ্গে যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে চালকদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। কখন কোন গাছ উপড়ে পরবে কিংবা গর্তে যানবাহন পড়ে দূর্ঘটনা ঘটবে এর কোন নিশ্চয়তা নাই। এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
গুড়ি’সহ উপড়ে পড়া গাছগুলো দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হক।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা ও সংস্কার করার জন্য দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।