শুক্রবার ● ৭ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » নওগাঁ » নওগাঁয় অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষাবাদ হুমকীর মুখে
নওগাঁয় অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষাবাদ হুমকীর মুখে
নাজমুল হক নাহিদ, নওগাঁ প্রতিনিধি :: (২৩ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.০৩মি.) ভরা বর্ষা মৌসুমের আষাঢ় মাস শেষ হতে চললেও নওগাঁর সাপাহারে অনাবৃষ্টির কারণে আমন চাষাবাদ নিয়ে উপজেলার কৃষককুল দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সে সাথে এবারের আমন চাষাবাদ বেশ হুমকীর মুখে পড়েছে বলে অভিজ্ঞ কৃষকগণ মনে করছেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারি বর্ষনে বন্যার খবর পাওয়া গেলেও বরেন্দ্র অঞ্চল নওগাঁর সাপাহার এলাকায় অনাবৃষ্টির কারণে এখনও মাঠ ঘাট খরায় পুড়ছে, কোথাও কোন বৃষ্টি নেই বর্ষা মৌসুমের এ সময়ে মাঠ, ঘাট পানিতে চারিদিক থৈথৈ করার কথা থাকলেও এলাকার মাঠগুলি এখনও রয়েছে শুকনো। পানির অভাবে কৃষক মাঠে হাল চাষ করতে না পেরে মাঠগুলি এখন শুধু গরুর ঘাস খাওয়ার উপযোগী হয়ে রয়েছে চারিদিকে তাকালে শুধু ধু-ধু মাঠ আর মাঠ চোখে পড়ে। বৃষ্টির পানি অভাবে কিছু দিন পূর্বে এলাকার কৃষকগন পুকুর, নালা, খাল বিভিন্ন উৎস হতে সেচের মাধ্যমে তাদের বীজতলা তৈরী করে তাতে বীজ বুনেছে। এখন কৃষকের বীজগুলি বেশ সবল সতেজ হয়ে রোপা লাগানোর মত হয়ে উঠেছে। কিন্তু এখনও মাঠে পানি না থাকায় কৃষকগন তাদের চারাগুলি রোপন করতে পারছেনা। বরেন্দ্র এলাকায় বর্ষার পানির উপর নির্ভর করে কৃষকগন তাদের রোপা আমন চাষাবাদ করে থাকে কিন্তু বর্ষা মৌসুমের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও এখনও এ এলাকায় বর্ষা নামেনি বা ভারি কোন বর্ষন হয়নি। মাঠ ঘাটগুলিও রয়েছে শুষ্ক। অন্যান্য বছরে বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে কৃষকগন তাদের রোপা আমন লাগানোর কাজ শুরু করে দেন, কিন্তু সাপাহার পোরশা উপজেলার কোথাও এখনও কোন রোপা আমনের চারা লাগানো শুরু হয়নি। এলাকার পুকুর নালা খাল খন্দকগুলিও রয়েছে শুষ্ক সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করারও কোন সুযোগ নেই ইতোমধ্যে কৃষকগন মাঠের জমির আইল বাধায় সহ যাবতীয় কাজ করে রেখে দিয়ে এখন আকাশ পানে চেয়ে রয়েছেন কখন অঝর ধারায় বৃষ্টি নামবে আর কখন তারা তাদের স্বপ্নের আবাদ আমন ধানের চারা রোপন করতে পারবে। বৃষ্টির কারণ বা অনাবৃষ্টির জন্য বরেন্দ্র এলাকায় আমন চাষাবাদ না হলে কৃষকগন সারা বছর তাদের পরিবার পরিজনদের কি খাওয়ায়ে বেঁচে রাখবে সে চিন্তায় চিন্তিত হয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি দপ্তর সহ অনেক অভিজ্ঞ কৃষক বলেছেন আগামী ১৫দিনের মধ্যে ভারি বর্ষন না হলে আমন চাষাবাদ অনেকাংশেই হুমকীর মুখে পড়বে।