রবিবার ● ৯ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » উপ সম্পাদকীয় » সাংবাদিকরাই হচ্ছে জাতির বিবেক : সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন
সাংবাদিকরাই হচ্ছে জাতির বিবেক : সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন
সৌজন্য বিজয় নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম :: (২৫ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৩.০৭মি.) এসময়ে অনলাইন গনমাধ্যমে আলোচিত সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন। জনস্বার্থে সংবাদ প্রকাশ করায় তার বিরুদ্ধে পর পর ২টি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা এর পর রুদ্ধশ্বাস ১৪ ঘন্টার অপহরন। এসব নিয়ে বিস্তারিত ৯ জুলাই রবিবার অনলাইনে স্বাক্ষাতকার নিয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিজয় নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের বার্তা সম্পাদক তরুণ সাংবাদিক আকাশ আহমেদ ।
বিজয় নিউজ : আপনার সাংবাদিকতা কখন কি ভাবে শুরু করেছেন ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : ১৯৯৪ সালে উত্তরবঙ্গে দৈনিক করতোয়া ছিল পাঠকদের কাছে জনকন্ঠের চাইতে জনপ্রিয় পত্রিকা, তারিখটা ঠিক এখন আমার মনে নেই, দৈনিক করতোয়া পত্রিকা অফিসের একজন রেডিও মনিটরিং এর জন্য লোক নিয়োগ করা হবে দেখে আমি সেখানে আবেদন করি এবং আমার আগ্রহ দেখে করতোয়া পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোজাম্মেল হক লালু ভাই আমাকে শ্যামলদার সহযোগি হিসাবে নিয়োগ দেন ৷ তিন মাস পর আমি ষ্টাফ রিপোর্টার হিসাবে কাজ করার আগ্রহ দেখালে লালু ভাই আমাকে রানা ভাইয়ে সাথে কাজ করার সুযোগ দেন ৷ সে সময় খুকু - মনির সংবাদ তুঙ্গে ছিল। এর ভিতর আবাস সংবাদ সংস্থায় কাজ করার সুযোগ করে দেয় এডভোকেট মৃনালদা ও মিকু ভাই ৷
১৯৯৬ সালে আমার স্ত্রীর ১৮টি জেলা হাসপাতাল উন্নয়ন প্রকল্পে চাকুরী হওয়াতে আমি বগুড়া থেকে স্বপরিবারে চলে যাই বাংলাদেশের দ্বীপ জেলা ভোলায় ৷
ভোলায় গিয়ে প্রতিষ্ঠিত করি ভোলা মার্শাল আর্ট সেন্টার, যার সভাপতি করা হয় দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকার সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ শাওকত হোসেনকে ৷
সে সুবাধে আমি কাজ করার সুযোগ পাই দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকাতে ৷ প্রথমে সার্কুলেশ্যন ম্যানাজার,তার পর প্রেস ম্যানেজার, তার পর বার্তা বিভাগে এবং শেষ পর্যন্ত দৈনিক আজকের ভোলা পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলির সদস্য ছিলাম ৷
আমি ভোলায় থাকাকালীন সময়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিবার্হী কমিটির সদস্য ও মার্শাল আর্ট উপকমিটির সদস্য সচিব, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য, মুসলিম ইনষ্টিটিউটের সদস্য,জেলা চেম্বার অব কমার্স এর সদস্য, জেলা প্রেস ক্লাব এর সদস্য, জেলা ত্রাণ বিতরন কমিটির সদস্য (যার প্রধান ছিলেন তৎকালিন ভোলা সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বর্তমান বরগুনা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম) ও ভোলা ক্লাবের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ৷ এছাড়া ভোলা জেলায় বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল ৷
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তির পর ১৯৯৮ সালে আমি আমার স্ত্রীকে ভোলা থেকে বদলী করে নিজ জন্মস্থান রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় নিয়ে আসি, অবশ্য একাজে আমাকে সহযোগিতা করেন আমার এক বড় ভাই যিনি এখন রাজনীতি করেন সে কারণে তার নামটা আমার কাছে স্বরণ থাকার পরও লিখতে পারলাম না ৷
ভোলা থেকে নিজের জেলা রাঙামাটি আসার পর ইচ্ছে ছিল সাংবাদিকতার সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রাখার, কিন্তু তৎকালীন রাঙামাটি জেলার সাংবাদিক বন্ধুদের দন্যদশা দেখার পর প্রয়াত সাংবাদিক শৈলেনদার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম আমি এ পেশায় না আসাই শ্রেয় ৷
বিজয় নিউজ : জানা মতে আপনি এখন অনলাইন গনমাধ্যমে একজন নিয়মিত পেশাদার সাংবাদিক কি মনে করে দীর্ঘ দিন পরে আবার এই পেশায় আসলেন ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : আমার প্রতিনিয়ত অনলাইনের ভিজিট বা অভিজ্ঞতা দেখে এক সময়ের আমার খুব প্রিয় ছাত্রী জুই চাকমা (পরে স্ত্রী) আমাকে প্রায় তিন বছর আগে বলে বসে আপনার তো সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা আছে , আপনি একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালু করে পার্বত্য অঞ্চলের অসহায় মানুষে কথা লিখতে পারেন ৷
অনেক দেরীতে হলেও আমাদের পার্বত্য অঞ্চল মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে, ওয়ান ইলেভেন এর সেনা সমর্থিত সরকার পাহাড়ের মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ করে গেছেন যদিও, তাদের অন্য সব কাজ গুলি আমাদের দেশের সাধারন মানুষ সমর্থন করেন না ৷
আমি আমার ভোলার ছাত্র খলিল উদ্দীন ফরিদকে দিয়ে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল করার উদ্যোগ হাতে নিই ৷ ফরিদ ঢাকায় থাকে সে সুবাধে তাকে এই দায়িত্ব দিই ৷
এক মাসের ভিতর সে আমাকে অনলাইন নিউজ পোর্টালটি করে দেয় ৷ আমি রাঙামাটি জেলার সকল সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে নিয়ে আমাদের এলাকার জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা সাংসদ ফিরোজ বেগম চিনু আপা, রাঙামাটি জেলার প্রবীন সাংবাদিক দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমদ, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি সুশীল প্রসাদ চাকমা ও জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে আমার নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করি ৷
যারা সেদিন আমার অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের কাছে আমি ও আমার নিউজ পোর্টালের প্যানেল সদস্যরা চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি ৷
বিজয় নিউজ : সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে আপনার কাছে থেকে কিছু জানতে চাই ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়তা করে। মানুষকে সচেতন করে তোলে। দুর্নীতিবাজ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতরা আতঙ্কে থাকে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ভয়ে তারা দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। শোষণ, জুলুম, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকরা সোচ্চার থাকেন। সাংবাদিকদের মেধা, মনন, মানবতাবোধ থেকে উৎসারিত হয় সত্যনিষ্ঠা, নীতিবোধ ও দেশপ্রেম। তাই এসব গুণের অধিকারী সাংবাদিককে বলা হয় জাতির বিবেক।
সাংবাদিকতা বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সাংবাদিকের মুখ্য ও পবিত্র দায়িত্ব হলো চলমান ঘটনা ও বাস্তবতাকে তুলে ধরা। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে নেশা সম্পৃক্ত না হলে সে সংবাদে গভীরতা পায় না। সত্যনিষ্ঠ সংবাদ গতি হারায় ও ম্রিয়মাণ হয়ে পড়ে। এখানে সত্যনিষ্ঠা ও নীতিবোধ নির্ভর করে সাংবাদিকের দৃষ্টিভঙ্গি, মন-মানসিকতা ও নৈতিকতার ওপর। অসৎ ও দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা এ পেশার জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি সমাজ, দেশ ও জাতির জন্যও ক্ষতিকর। সাংবাদিকতা পেশার প্রথম ও প্রধান কাজ হলো সততা ও দায়িত্বশীলতা। সৎ, মেধাবী ও নির্ভীক সাংবাদিক জাতির পথ প্রদর্শক। সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে খ্যাত। উইকহ্যামস্টিডের মতে, ‘সাংবাদিকতা হচ্ছে সমাজ সেবার একটি আধুনিক রূপ।’ সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানুষকে সচেতন করে তোলে। দেশ ও জাতি গঠনে সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
ল্যাটিন প্রবাদ “ জনগণের কণ্ঠস্বরই ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর”। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ হলে গণমাধ্যম তার স্বাধীনতা হারাবে। আমাদের দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারা আজ গণমাধ্যম অনেকাংশে স্বাধীনতা হারিয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতাকে একটি গন্ডির ভেতর আটকে ফেলা হয়েছে।
বিজয় নিউজ : আমরা জানি আপনার ও আপনার স্ত্রীর নামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ২টি মামলা করা হয়েছে, আসলে রহস্যটা কি ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : দেখুন বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের দেশের সুযোগ্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসাবে অনলাইন ভিত্তিক সাংবাদিকদের কল্যাণমুলক কাজ ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রতিটি সংবাদ বিনামুল্যে দ্রুত জনসাধারনের কাছে পৌঁছে দেয়ার আন্দোলন যখন শুরু করেছি, রাঙামাটি শহরে আমার খুব পরিচিত জনদের ভিতর গুটিকয়েক সাংবাদিক বন্ধুদের একটি সিন্ডিকেট আমার নামে ও আমার কষ্টে গড়া সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমের বিরুদ্ধে কৌশলে অপপ্রচার শুরু করছেন ৷
আমার বিরুদ্ধে পর পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা করা হয়। (যে ২টি সংবাদ নিউজ পোর্টালে করা হয় তা হুবহু তুলে ধরা হল।)
রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (১০মাঘ ১৪২৩ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৬মি.) রাঙামাটিতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার পায়তারা করছে একটি মহল। এই মহলটির নেতৃত্ব দিয়ে শহরে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। দীর্ঘদিন রাঙামাটি শহর শান্ত থাকার পর পাহাড়ি - বাঙ্গালি’র ঐক্য’র শহর রাঙামাটির দিকে কু -নজর পরেছে এই চক্রান্তকারীদের। পাহাড়ী বাঙালী সম্প্রীতির এই শহরে সংঘাত হানাহানি বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এই শান্ত সম্প্রীতি তে গা জ্বালা ধরেছে ব্যবসায়ী নামধারী ফুথপাট দখলদার রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান গংদের।
নানিয়ারচর উপজেলায় ২৩ জানুয়ারি সোমবার ভোরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর সদস্যরা চাঁদার দাবিতে মালবাহী ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার জের ধরে নানিয়ারচর থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরে রাঙামাটি শহরে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে মোটর সাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর উদ্যোগ কতটুকু যৌক্তিক ?
জেলার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বলেন, শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান সাধারন চালক ও শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে ফুসলিয়ে একত্র করে শহরে মোটর সাইকেল ভাংচুর, যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনসাধারনের চলাচলের বাঁধা সৃষ্টি করে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত না করে নানিয়ার চরের মতো অপ্রীতিকর কোন ঘটনা রাঙামাটি শহরে যেন না ঘটে তাদের নিজস্ব কার্যালয়ে সাধারন চালক শ্রমিকদের সতর্ক ও সচেতনতামুলক বা প্রতিবাদমুলক কর্মসুচি রাখতে পারতো, তা না করে মোটর সাইকেল ও সিএনজি ভাংচুর, রাঙামাটি - চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ করা, অরাজকতা সৃষ্টি সর্বোপরী জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার নেতৃত্ব দেয়া কোনমতে যৌক্তিক ও আইনসিদ্ধ নয়। রাঙামাটি শহরের সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, চালকরা প্রতিবাদ করতে চাইলে ঘটনাস্থলে গিয়ে অথবা রাঙামাটি শহরে সুষ্ঠুভাবে প্রতিবাদ করা যেত। শহরের আইন শৃংখলা বিঘ্ন ঘটিয়ে সাধারন শ্রমজিবীদের রাস্তায় নামিয়ে আনার যৌক্তিকতা নাই। শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান মুলতঃ একজন ব্যবসায়ী সে কোন চালক বা শ্রমিক নয়।
রাঙামাটি শহরে তো ইউপিডিএফ এর কর্তৃত্বও চোখে পরেনা, তাহলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সামনে মোটর সাইকেল ও সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুর নিশ্চয় ভয়ানক ও অপ্রীতিকর কিছু ঈঙ্গিত করছে বলে সচেতন নাগরিক সমাজের এক প্রতিনিধি শংকা প্রকাশ করেন ।
রাঙামাটি শহরের স্থানীয়রা বলেন, শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান একজন অপেশাদার চালক হয়ে সাধারন পেশাদার চালকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভাল কথা, ৫০ কিলোমিটার দুরে অপ্রীতিকর ঘটনায় স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে ঘটনা সামাল দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে, স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা না করে উল্টা শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা, মোটর সাইকেল ভাংচুর, যান চলাচল বন্ধ করা কোনমতে কাম্য নয়। শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান সাধারন চালকদের নেতৃত্ব দিয়ে শহরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটিয়ে নানিয়ারচরের ঘটনাকে প্রতিবাদ নয় বরঞ্চ পুরো জেলায় এধরনের ঘটনার বিষ্ফোরন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। একটা ঘটনার জের ধরে আরেকটা অপ্রীতিকর ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির মাধ্যমে কোন সমাধান আশা করা যায়না। এতে জটিলতা বাড়েমাত্র। সাধারন মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের জন্য নৈরাজ্য সৃষ্টির চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পদক্ষেপ শতভাগ গুরুত্ব দেয়।
এবিষয়ে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতি, রাঙামাটি ট্রাক চালক সমিতি ও কার মাইক্রো শ্রমিক সমিতির সদস্যরা সোমবার দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে তাদের প্রতিবাদ সমাবেশে একটি মোটর সাইকেল প্রবেশ করায় তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে মোটর সাইকেল ও অটোরিক্সা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমাদের পুলিশ সদস্যরা বাঁধা দেয়াতে বড় ধরনের ভাংচুরের ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
ওসি আরো বলেন রাঙামাটি শহরে এখন যাত্রীবাহি যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য ২৩ জানুয়ারি সোমবার ভোরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাঁদার দাবিতে মালবাহী ট্রাকে আগুন দেয় দুষ্কৃতিকারিরা, ঘটনার জের ধরে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের নেতৃত্বে শহরের সমস্ত যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে দুপুরে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গনে প্রতিবাদ সমাবেশের নামে একটি মোটর সাইকেল ও কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ভাংচুরের চেষ্টা চালায়।
প্রতিবাদ সমাবেশে রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারন সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙামাটি ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন, কার মাইক্রো শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় চালক ও শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বনভোজনের জন্য জেলা পরিষদের লক্ষ টাকা অনুদান
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (৪মাঘ ১৪২৩ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১০মি.) রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে মনোরঞ্জন (বনভোজন) করার জন্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ তহবিল থেকে একলক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
কিন্তু সরকারি অনুদানের অর্থে সাংবাদিক ও তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে মনোরঞ্জন (বনভোজন) করার তালিকা থেকে স্থানীয় কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের সাংবাদিকদের বাদ দেয়া হয়েছে।
জেলায় কর্মরত স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের মনোরঞ্জন (বনভোজন) তালিকা থেকে বাদ পরা সাংবাদিকরা এবিষয়ে ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আগে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলায় কর্মরত দলমত নিবিশেষে সকল সাংবাদিকদের বনভোজের জন্য এক লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে এবং এই অর্থ রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল এর কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল এর সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে মনোরঞ্জন (বনভোজন) করার জন্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ তহবিল থেকে একলক্ষ টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।
জেলায় কর্মরত স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের মনোরঞ্জন (বনভোজন) তালিকা থেকে বাদ পরা সাংবাদিকদের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দৈনিক পূর্বোকোণ রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি ও রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল বলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা’র সময়কালে তিন বছর আগে সাংবাদিকদের যে তালিকা করা ছিলো সেই তালিকা অনুসারে এবার সাংবাদিকদের বনভোজনের তালিকা করা হয়েছে।
এই তালিকায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাব, রাঙামাটি রিপোর্টাস ইউনিটি, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন ও রাঙামাটি সাংবাদিক ফোরাম রয়েছে বলেও জানান সাংবাদিক নেতা শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল।
তার কয়েকজন অনুসারিদের মধ্যে থেকে একজন নাম প্রকাশ না করার শতে বলেন এক বছর আগে যে কয়েকটি সাংবাদিকদের সংগঠন গঠন করা হয়েছে তালিকায় সে সব সাংবাদিক সংগঠনের লোকজনদের নাম রয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের বনভোজনের জন্য রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ তহবিল থেকে একলক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে কিন্তু একটি পক্ষ জেলায় কর্মরত স্থানীয় অনেক সাংবাদিকদের বনভোজন তালিকা থেকে বাদ দেয়ার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিক বলেন সরকারি টাকায় বনভোজন করা হবে তালিকায় যারা পেশাগত সাংবাদিক ও নিয়মিত এই পেশায় কাজ করে তাদের কোন ধরনের বৈষম্য ছাড়া অন্তভুর্ক্ত করা উচিত।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি হয়ে শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল কেবল মাত্র তার কয়েকজন অনুসারিদের নিয়ে বৈঠক করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বনভোজনের তালিকা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান স্থানীয় সিনিয়র সাংবাদিকরা।
এছাড়া রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি হয়ে শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল একাই সকল সরকারি - বেসরকারি সুযোগ - সুবিধা নিয়ে সাংবাদিক হিসেবে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীদের কাছে বির্তকিত আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ) এর অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্র (আমেরিকা),ভারত ভ্রমন ও সরকারি এবং রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের টাকায় চীন ও ভারত ভ্রমন করা জেলার অন্য সাংবাদিকদের প্রতি পেশাগত হুমকি এবং স্বেচ্চারিতার সামিল বলে মনে করছেন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কথা বলে শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল ও তার অনুসারিরা প্রতি বছর একশত মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য গ্রহন করেন বলেও তাদের দাবি।
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সদস্যরা বলেন শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল রাঙামাটি জেলার একজন সিনিয়র সাংবাদিক তার কাছ থেকে কেউ বা সাংবাদিকরা বৈষম্যমূলক কার্মকান্ড আশা করেন না।
মহাজোট সরকারের ভিশন ২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের প্রতি বিশ্বাস রেখে, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা থেকে “অবসান হোক বৈষম্যের” মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে দুর্গম পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড বাংলাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে বিগত তিন বছর ধরে নিজ উদ্যোগে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালনা করছি।
শুরু থেকে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম পার্বত্য অঞ্চলের সাধারন মানুষের জনপ্রিয় একটি নিউজ পোর্টাল হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয় এর নিকট নিবন্ধন পাওয়ার তালিকায় রয়েছে।
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম সব সময় উগ্র সাম্পাদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, যারা কথায় কথায় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষকে জিম্মি করে এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার নয় তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে।
সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম গত ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ ইংরেজি তারিখ “রাঙামাটিতে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমন এর নেতৃতে¦ নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা” শিরোনামে জনস্বার্থে একটি সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ৫৭ (২) ধারায় রাঙামাটি অটোরিক্সা চালক সমিতি’র সাধারন সম্পাদক বাদী হয়ে শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং - ১১/ কোতয়ালী থানায় মামলা দাযের করার ৩ ঘন্টা পর পর ৪-৫জন পুলিশ সদস্য সাথে নিয়ে রাত ১টায় শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান এর প্রায় ২০-২৫জন লোক আমার প্রাননাশের উদ্দেশ্যে আমার বাসায় হামলা চালায়। আমি আমার জীবন বাজি রেখে তখন বাসা থেকে পালিয়ে যাই।
এর পর বেশ কয়েক বার শহিদুজ্জামান মহসিন রোমন এর লোকজন অবৈধ ভাবে আমার বাসায় তল্লাশী করেছে, বিষয়টি আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার কোতয়ালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এসআই মো. দুলাল হোসেন ও কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রশিদকে আমার স্ত্রী মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। পরে আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর গত ২ ফ্রেবুয়ারি ২০১৭ ইংরেজি তারিখ লিখিত ভাবেও অভিযোগ করা হয় কিন্তু কোন আইনী বা পুলিশি সহযোগিতা তাদের কাছ থেকে আমার পরিবার পায়নি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই গত ৩০ জানুয়ারি তারিখ মহামান্য হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবাইদুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণ দেবনাথ বেঞ্চ আমার পরিপার্শি¦ক পরিবেশ পরিস্থির কথা বিবেচনা করে আমাকে ৪ (চার) সাপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জু করেন ।
আমি যখন ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম আমার স্ত্রী আমাকে ফোনে জানায় সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম গত ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ইংরেজি তারিখ “রাঙামাটি জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের বনভোজনের জন্য রাঙামাটি জেলা পরিষদের লক্ষ টাকা অনুদান” সংবাদ শিরোনামে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতির বৈষম্যনীতি ও স্থানীয় সাংবাদিকদের স্বার্থে একটি সংবাদ প্রকাশ করায় আমি ও আমার স্ত্রী জুঁই চাকমা’র বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ৫৭ (২) ধারায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি বাদী হয়ে মো. শাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার মামলা নং - ০৩/ জিআর-৩৮/১৭। তারিখ ২/২/২০১৭ ইংরেজি। এই ২টি সত্য সংবাদ প্রকাশ করায় আমার স্ত্রী ও আমার বিরুদ্ধে পর পর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় মামলা করা হয়।
বিজয় নিউজ : আপনি এখন কোন সংবাদ প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : আমি অনলাইন গনমাধ্যম এর কাজ করতে বেশী পছন্দ করি। আমি অনলইন টেলিভিশন নকশীটিভি ও ময়ূরী কণ্ঠ (এমকে টিভি)’তে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুারোচীফ এবং কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করছি।
বিজয় নিউজ : সাংবাদিকতা পেশা ও সংবাদ পত্র নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : দেখুন গণতন্ত্রের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অপরিহার্য। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে জনগণের স্বায়ত্তশাসন বিঘ্নিত হবে। সেখানে নৈরাজ্য, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে যাবে। জনগণের রাজত্বের পরিবর্তে কায়েম হবে দুর্বৃত্তদের রাজত্ব। এ অবস্থায় গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার জন্য সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। দুর্বৃত্তদের পদচারণে সমাজ ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়লে তখন সাংবাদিক বা অনলাইন গণমাধ্যমের এগিয়ে আসা ছাড়া বিকল্প আর কিছু থাকে না। সাংবাদিকরা সঠিক দায়িত্ব পালন না করলে সমাজের অবস্থা আরো খারাপ হবে। সত্য কথা লেখার জন্য সাধারণ মানুষের আকুতি বেড়ে যায়। আর নির্যাতন, দুর্নীতি, সন্ত্রাস নৈরাজ্যের খবর প্রকাশ করে বলেই সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছেন। অথচ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের কারণে নির্যাতিত সাংবাদিকের পক্ষে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন একটা সাড়া দেখা যায় না। তবে সাংবাদিকদের কাছে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জন্য জাতি আগ্রহচিত্তে তাকিয়ে থাকে ঠিকই।
আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নেই। গত ৫ জুন ২০১৭ তারিখে রাঙামাটি শহর থেকে আমাকে সাদা পোষাকের লোকজন অপহরন করে নিয়ে যায়। এছাড়া দুর্নীতি, অপকর্মের সংবাদ প্রকাশিত হলেই সংশ্লিষ্টরা সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মনের ক্ষোভ মেটায়। মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হয় সাংবাদিকদের। অনেক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রমণকারীদের হামলার শিকার হচ্ছেন। হামলায় অনেকে মারাত্মক আহত হয়ে পঙ্গু জীবনযাপন করছেন। সংবাদকর্মীরা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শুধু আহত নয় অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনরাও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়। গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে সেখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস বেড়ে যায় এবং গণতন্ত্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।
বিজয় নিউজ : আমার জানামতে আপনি কয়েকটি সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন, একজন সাংবাদিক হিসাবে সাংবাদিক পেশায় যারা রয়েছেন তাদের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকাটা সমর্থন করেন কি ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : আমি রাঙামাটি জেলা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সভাপতি,জাতীয় অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন-বনপা’র সহসভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। হীনস্বার্থে ব্যক্তি বা দলের লেজুড়বৃত্তি করা সাংবাদিকের কাম্য নয়। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সাংবাদিক তার লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ করবেন এটাই সবার কাম্য।
আজ দেশের সাংবাদিকরা কতটুকু নিরাপদ তা জনগণের কাছে দৃশ্যমান। কারণে অকারণে সাংবাদিকরা দোষারোপ ও হয়রানির শিকার হয়ে থাকে। ফলে সাংবাদিকরা দিন দিন অধিক শঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সাংবাদিকরা ঝুঁকিপূর্ণ ও বৈরী পরিস্থিতিতে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাংবাদিক, সংবাদপত্র ও অনলাইন গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। তার আগে সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন দূর করতে হবে। এর কারণ সাংবাদিকদের মধ্যে নানা মত ও অনৈক্য। এই বিভাজন থেকে একে অপরের সঙ্গে বিরোধ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। যা খুবই দুঃখজনক। সাংবাদিকদের নিজ স্বার্থে সব মতভেদ ভুলে গিয়ে আগে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আমি সাংবাদিকদের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা মোটেও সমর্থন করি না। সাংবাদিকরাই হচ্ছে জাতির বিবেক।
বিজয় নিউজ : আপনি কাউকে অনুসরন করতে পছন্দ করেন ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : কুষ্টিয়ার সাহসী কলম সৈনিক অনলাইন গনমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের পথপ্রদশক জীবন্ত প্রতিকৃৎ শামসুল আলম স্বপন ভাইয়ের নেতৃত্বকে অনুসরন করি। যিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি কোন দিন । হুমকি ধামকি জেল জুলুম ধমাতে পারেনি শামসুল আলম স্বপন ভাইকে। তিনি চরমপন্থী অধ্যুষিত কুষ্টিয়াসহ দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলা সমুহের সন্ত্রাসী - চরমপন্থী, রাজনৈতিক দুর্ববৃত্ত ও ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সিরিজ সংবাদ প্রকাশ করে তাদের রোষানলে পড়েন বিভিন্ন সময়ে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লেখার কারণে ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে প্রায় দেড় ডজন মামলার আসামী হতে হয়েছিল। এখনো শেষ হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে শত্রুতা । আমি এই অকুতোভয় কলম সৈনিক বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা শামসুল আলম স্বপন ভাই বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন-বনপা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন, আমি তাকে অভিনন্দন জানাই।
বিজয় নিউজ : সাংবাদিকদের প্রতি আপনার আহবান কি ?
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : সাংবাদিকরা দালালি ছাড়ুন, দালালরা সাংবাদিকতা ছাড়ুন।
বিজয় নিউজ : বিজয় নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন : আপনাকেও ধন্যবাদ।