শুক্রবার ● ১৪ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাঙ্গুনিয়াতে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে আরো বরাদ্ধ প্রয়োজন
রাঙ্গুনিয়াতে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে আরো বরাদ্ধ প্রয়োজন
মাইকেল দাশ,রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: (৩০ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১২.৪২মি.) রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নে কর্নফুলী নদী ভাঙ্গনের কারনে অাতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছেন শিলক এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক অর্পণ বড়ুয়া ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান কর্ণফুলী নদী ভাঙ্গনের ফলে কয়েক বছরে অনেকের ঘরবাড়ি ,বসতভিটা কর্ণফুলী নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। তিনি অারো জানান অন্যদিকে কর্ণফুলীর ভাঙ্গনে শিলকের নদী পাড়ের মানুষের দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। ইতিমধ্যেই শিলকের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনের ফলে কয়েক বছরে অনেকেই বসত ভিটে হারিয়েছে। চলমান বর্ষাতেই শিলকের বড়ুয়া পাড়া, ডংগের মুখ, বহুচক্রহাট, ফকিরাঘাট, শিলক রাস্তারমাথা, ছাদেক চৌধুরী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা সহ আশপাশের গ্রামে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই এলাকার শতাধিক পরিবার ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। শিলকের সৈয়দ আলী সড়ক সহ অন্তত ৫টি সড়ক নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। সম্প্রতি সৈয়দ আলী সড়কটি রক্ষায় নদীর পাশ কেটে বালির বস্তা বসানো হয়েছিল। কিন্তু তা এক বর্ষাতেই নদী ভাঙ্গনে সাবাড় হয়েছে।স্থানীয় জীবন চৌধুরী জানায়, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে যদি জরুরী ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে আমাদের শিলক হুমকিতে পড়বে। শিলক রাস্তামাথা এলাকার ষাটোর্ধ কৃষক আব্দুর রহমান জানান, ‘আমার নিজের ফসলি জমি নদী ভাঙ্গনে হারিয়েছে। এখন ভাঙ্গনের ফলে নিজের ঘরটুকুই হারাতে বসেছি।’ভাঙ্গনে বসত ঘর হারিয়ে নদী পাড়েই অন্যের জমিতে ঝুপড়ি ঘর বেঁধে থাকছেন দিনমজুর রশিদ আলী। তিনি জানান, ‘ভাই ঘর হারিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। অন্যের জায়গার ঘর বেঁধে কোনমতে পরিবার নিয়ে মাথা গুঁজেছি।’শিলক বড়ুয়া পাড়া এলাকায় থাকেন ডাক পিয়ন দিলীপ বড়ুয়া জানান, ‘নদীর পাড়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। যেকোন সময় ভাঙ্গনে ঘর হারাবো। যদি সরকার চাই, আমাদের প্রতি দয়া করেন তবেই রক্ষা পাবো।’ তার মতো অঙ্কু বড়ুয়া, সঙ্কু বড়ুয়া সহ এই গ্রামে নদী পাড়ে ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন অর্ধ শতাধিক পরিবার। তাদের সকলের দাবি, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্লক স্থাপন করা হোক। শিলক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার জানান, ‘শিলকে নদী ভাঙ্গনে তীব্রতা বেড়েই চলেছে। ভাঙ্গন ঝুঁকিতে থাকা মানুষের আহাজারি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে রাঙ্গুনিয়ায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ড. হাছান মাহমুদ এমপি মহোদয় ৪’শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্ধে অন্তর্ভুক্ত করতে শিলকের ভাঙ্গনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। একালাবাসী আশা রাখেন এই প্রকল্পের আওতায় শিলকের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্লক স্থাপিত হবে।’