শনিবার ● ১৫ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার সময় ভূয়া কাজী আটক
মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার সময় ভূয়া কাজী আটক
ময়মনসিংহ অফিস :: (৩১ আষাঢ় ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ৩.২০মি.) ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মাদ্রাসা ছাত্রীকে জোর করে বিয়ে দেয়ার সময় ভূয়া কাজীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। আটককৃত ভূয়া কাজী আজহারুল জুগলী ইউনিয়নের গামারিতলা গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে উপজলার জুগলী ইউনিয়নের নয়াপড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলায় জুগলী ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের খলিশাকুড়ি দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মকবুল হোসেনের মেয়ে হাসনা খাতুন (১৩)কে তার বাবা-মা’র অমতে এলাকার আশ্রাফ এবং আজহারুল জোর করে বাল্যবিয়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরে গোপনে সংবাদ পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান গ্রাম পুলিশ নিয়ে বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতিকালে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে আজহারুল নামে ওই ভূয়া কাজীকে আটকের পাশাপাশি হালুয়াঘাট থানায় সোপর্দ করেন।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসান বলেন, গোপনে সংবাদ পেয়ে আমি গ্রাম পুলিশ নিয়ে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে কাজীকে বিয়ে পড়ানোর কাজে দেখতে পাই। পরে নিকাহ রেজিষ্টার বইসহ ওই কাজীকে আটক করি। তবে ঘটনা টের পেয়ে মেয়ের বাবা ও বর পালিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, এই ভূয়া কাজী ইতোমধ্যে এ এলাকায় স্কুল পড়ুয়া প্রায় ২০টি মেয়ের বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করেছে। আমি কয়েকবার লিখিত নোটিশ দিয়েছি তাকে। কিন্তুু তিনি আমার কথা শোনেননি। রাতের আঁধারে ওই ইউনিয়নের মূল কাজী শফিকুল ইসলামের যোগসাজসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এ রকম বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করে থাকে এ চক্রটি।
হালুয়াঘাট থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ লাল মিয়া এ ভূয়া কাজী আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।