বুধবার ● ১৯ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
গাজীপুরে হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৪ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫০মি.) নন্দিত কথা সাহিত্যিক, নাট্য ও চলচিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের আজ ১৯ জুলাই বুধবার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নুহাশ পল্লীতে কোরআন খানি, কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকে হুমায়ূন আহমেদের ভক্তরা নুহাশ পল্লীতে আসতে থাকেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, তার দুই ছেলে নিশাদ, নিনিতসহ পরিবারের সদস্য ও অসংখ্য হুমায়ুন ভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে মাওলানা মজিবুর রহমান বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের লক্ষে বুধবার লেখকের বোন সুফিয়া এবং রুকসানা আহমেদ নুহাশ পল্লীতে এসে লেখকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
হিমু পরিবহনে চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবি ও গেঞ্জি পড়া হিমুরা এবং বিভিন্ন সাজে রুপাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় নুহাশ পল্লী। তারাও এসেছেন প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে এসেছে অনেক ভক্ত। বৃষ্টি কোন বাধা নয়, কারণ প্রিয় লেখকের সবচেয়ে পছন্দ ছিল বৃষ্টি।
হুমায়ূন তার লেখনির মাধ্যমে ভক্ত ও অনুরাগীদের হৃদয়ে চিরকাল ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরাও নুহাশ পল্লীতে এসে হুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত করেন।
উল্লেখ্য, নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ নেত্রকোনার কেন্দুয়া গ্রামে ১৯৪৮সালের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। জনপ্রিয় এই উপন্যাসিকের বিচরণ ছিল নাটক-চলচ্চিত্রেও। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকসেনারা তাকে হত্যার জন্য গুলি ছুড়লেও অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে যান। ২০১১ সালে তার অন্ত্রে ক্যান্সার ধরা পরলে পরের বছরের মাঝামাঝি সময় তার অন্ত্রে অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ইনফেকশন হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হুমায়ূন আহমেদের শেষ ইচ্ছা এবং পারিবারিক সিদ্ধান্তে নিজের প্রতিষ্ঠিত গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতেই তার শেষ ঠাঁই হয়।