সোমবার ● ২৪ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ভালুকায় নদী ভরাট করে বালু উত্তোলনের মহোৎসব
ভালুকায় নদী ভরাট করে বালু উত্তোলনের মহোৎসব
ময়মনসিংহ অফিস :: (৯ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫৫মি.) ময়মনসিংহের ভালুকায় ‘খিরু’ নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী অসাধু ব্যবসায়ী। এতে শুধু পানি প্রবাহই বাধা পড়ছে না নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা। তারপরও সবকিছু ম্যানেজ করে অবাধে চলছে নদী ভরাট করে বালু উত্তোলন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নদী পারের এক বাসিন্দা সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, সরকার যখন সারা দেশে নদী খননের পরিকল্পনা করছেন ঠিক তখনই সরকার দলীয় নেতাদের নেতৃত্বে নদী ভরাট যেন সরকারকে হেয় করার শামিল।
বাহার ঢালী নামের এক বালু ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা জমির মালিকের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে বালু উত্তোলন করছি। পানি প্রবাহ বাধা বা নদীর নাব্যতা হারালেও আমাদের কিছু করার নেই। ‘
সরজমিনে উপজেলার থানার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় নদীর মাঝখান থেকেই বালু ফেলা শুরু করছে ব্যবসায়ীরা। নদীর দুই পাড়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী হয়ে পরছে একেবারে সরু। পানি প্রবাহ বাধা পরছে চরমভাবে।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এ্যাপোলো ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার এর অধ্যক্ষ এ,আর,এম, শামছুর রহমান সিএইচটি মিডিয়াকে জানান, খিরু নদী আমাদের অমূল্য সম্পদ, এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে পানি প্রবাহে যেমন বাধা ঘটছে ঠিক তেমনই নদীটি নব্যতা হারাচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরুধ করবো ।ভালুকা পৌর মেয়র একেএম মেজবা উদ্দিন কাইয়ুম বলেন, ‘আমি একাধিক বার নদী ভরাট করে ব্যাবসায়ীদের বালু উত্তোলনে নিষেধ করলেও তারা বাধা উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করছে। পরে আমরা প্রত্যেক ট্রলার প্রতি ৩০০ টাকা করে কর নির্ধারণ করে দিয়েছি।
ভালুকা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আব্দুল্লাাহ আল জাকির এ বিষয়ে বলেন, নদীর পাড়ে কিছু ব্যক্তির মালিকাধীন জমি রয়েছে যার ফলে আমরা কিছু করতে পারি না, তবে কেউ যদি ওই সীমানা অতিক্রম করে সরকারী জমিতে বালু উত্তোলন করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।