বৃহস্পতিবার ● ৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » দুই বোনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দাদা-চাচা আটক
দুই বোনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় দাদা-চাচা আটক
ময়মনসিংহ ব্যুরো :: জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়া বাড়ি গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসীর দুই মেয়ে ভাবনা (১৪) ও লুবনা (৮)কে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচাতো দাদা ওয়ারেছ ও চাচা বিলাশকে আটক করেছে পুলিশ।
২ আগষ্ট বুধবার ঘটনার পর নিহতদের চাচাতো দাদা ওয়ারেছ ও চাচা বিলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে এবং একই সাথে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
নির্মম হত্যাকান্ডে নিহত লুবনা ও ভাবনার দাদী হালিমা খাতুন জানান, আমার ছেলে শামীম আহমেদ ৫ বছর যাবত মালয়েশিয়ায় থাকে। পুত্রবধূ তসলিমা বেগম ভাবনা, লুবনা ও আয়েশা মনিকে নিয়ে বাড়িতে থাকে। মঙ্গলবার তাসলিমা বেগম তার বাবার বাড়ি জামালপুর শহরের বাগেরহাটায় যায়। বুধবার সকাল ৮ টার দিকে তসলিমা বাড়িতে এসে ভাবনা ও লুবনাকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পায়।
নিহত ভাবনা পুগলাই রহিমা কাজিম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ছোটবোন লোবনা হাসিল মতিউর রহমান একাডেমির চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতদের মা তাসলিমা বেগম জানান, মঙ্গলবার এলাকার জমি রেকর্ডের কাজ চলার কারণে আমি জামালপুরে স্যাটেলম্যান্ট অফিসারের কাছে যাই। ফেরার পথে রাত হওয়ায় আমি বাড়িতে না গিয়ে জামালপুরেই থেকে যাই। সকালে বাড়িতে এসে দেখি আমার ২ মেয়ে গলাকাটা অবস্থায় রুমের মেঝেতে পড়ে আছে। এদিকে চাঞ্চল্যকর জোড়া হত্যাকান্ড এক নজর দেখতে সকাল থেকে হাজারো উৎসুক মানুষের ভিড় জমে এ এলাকায়। একইসাথে এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অপরদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে পিবিআইয়ের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে এসে খুনের আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে বলেন, পেশাদার খুনির দ্বারা হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হয়ে থাকতে পারে। ভাবনার গলা উড়না দিয়ে এবং হাত দড়িতে বাঁধা ছিল। নানা আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, জোড়া হত্যাকান্ডের অনেক ক্লু পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছেনা। তবে হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে এই হত্যাকান্ডের পেছনের রহস্য দ্রুতই উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ মাঝি, জামালপুরের পুলিশ সুপার ও পুলিশ তদন্ত ব্যুরো, ময়মনসিংহ জোনের একটি দল ঘটনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।