বৃহস্পতিবার ● ৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » একটি সেতুর অভাবে দূর্ভোগ লাখো মানুষের
একটি সেতুর অভাবে দূর্ভোগ লাখো মানুষের
উখিয়া প্রতিনিধি :: (১৯ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৮মি.) কক্সবাজারের উখিয়া ও রামু উপজেলাকে সীমান্ত হিসেবে আলাদা করেছে রেজুখাল। মেরিন ড্রাইভ থেকে আরাকান সড়কের মধ্যবর্তী কয়েক কিলোমিটার এলাকায় এই খালের দুই পাড়ে লাখো মানুষের বাস। রয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
পণ্য আনা-নেয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গমনসহ নানা প্রয়োজনে দুই উপজেলার সঙ্গে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের সহজ যোগাযোগে রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের গোয়ালিয়া এলাকায় নির্মাণ হয় সাড়ে তিনশ ফুট দৈর্ঘ্যর ফুট ওভার ব্রিজ।
কিন্তু ৯০ দশকের শেষের দিকে গড়া ব্রিজটি ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে খরস্রোতায় নদীতে ধসে গিয়ে যোগাযোগ দুর্বিষহ করে তোলে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীসহ লাখো অধিবাসী। তাদের দুর্ভোগ লাগবে খুনিয়াপালংয়ের গোয়ালিয়া এলাকার সদস্য মোস্তাক আহমদ নিজ উদ্যোগে ব্রিজের স্থলে গড়ে দেন কাঠের সাঁকো।
সম্প্রতি অবিরাম বর্ষণ ও ¯্রােতে ভেসে গেছে নির্মিত সাঁকোটিও। ফলে যোগাযোগে আবারও চরম দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবায়দা আকতার জানায়, কাঠের সাঁকোটি ভেসে যাওয়ার পর কয়েক মাস ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। মেম্বার সেতুটি নির্মাণ করে দেয়ায় স্থানীয় লোকজন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীর কষ্ট লাঘব হয়েছে।
খুনিয়াপালং ইউপি সদস্য মোস্তাক আহমদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, ব্রিজটি ধসে পড়ার পর থেকে এলাকাবাসীর দাবিতে নিজ খরচে এ পর্যন্ত ৪ বার সাঁকোটি তৈরি করেছি। প্রায় সাড়ে ৩০০ ফুট লম্বা সাঁকুটি এবার নির্মাণ করতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো ব্যয় হয়েছে।
খুনিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক আবদুল মাবুদ সিএইচটি মিডিয়া প্রতিনিধিকে জানান, বর্তমান সরকার গোয়ালিয়া রেজু খালের উপর ব্রিজটি নির্মানের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। শীঘ্রই ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।