শনিবার ● ৫ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » পটুয়াখালী বাউবি’র কো-অর্ডিনেটিং অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
পটুয়াখালী বাউবি’র কো-অর্ডিনেটিং অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ::বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পটুয়াখালীর উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটিং অফিসার মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ, সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। বাউবির পরিচালকের নিকট লিখিত দিয়েছেন গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান মিয়া। প্রতিকার চেয়ে সদয় অনুলিপি দিয়েছেন বাউবির ভাইস চ্যান্সেলর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রারসহ অনেক দপ্তরে। বাউবির কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে ভুক্তভোগীকে আশ্বাস্ত করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সাল থেকে গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি প্রোগ্রামের স্ট্যাডি সেন্টার ও কেন্দ্র থাকা সত্বেও মো. জাকির হোসেন অতিরিক্ত ঘুষের বিনিময়ে পৌরসভার মধ্যে নতুন করে পুনরায় অন্য একটি কলেজকে স্টাডি সেন্টার ও কেন্দ্র দিয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ পাঠিয়েছে। এইচএসসি প্রোগ্রামে গলাচিপা ডিগ্রি কলেজের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী ভর্তি হয় গলাচিপা মহিলা ডিগ্রি কলেজে। অথচ গলাচিপা ডিগ্রি কলেজে বিএ/বিএসএস সেন্টার চালু আছে। সেখানে পরীক্ষার সময় সুবিধা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১৫০০ টাকা উত্তোলন করে মো. জাকির হোসেনকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
বাউবির এইচএসসি প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী নিজেরা সোনালী ব্যাংকে রশিদের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও কাগজপত্র পটুয়াখালী দেয়ার সময় কো-অর্ডিনেটিং অফিসার মো. জাকির হোসেন ছাত্র প্রতি ১শ’ টাকা দাবী করে। বিগত দিনে কম বেশী তাকে না দিয়ে অফিসিয়াল কাজ কর্ম করা যায়নি। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অফিসিয়াল কাজকর্মে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। স্টাডি সেন্টারের সমন্বয়কারী ও টিউটরদের পারিশ্রমিক বিল টাকা ছাড়া কোন দিনই ছাড় করেনি। টাকা না দিলে মাসের পর মাস বিল ফেলে রাখে। বাধ্য হয়ে তাকে কম হলেও ১০হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। এমনও অভিযোগ দিলেন গলাচিপা বালিকা ম্যাধমিক বিদ্যালয়ের সমন্বয়কারী ও শিক্ষকরা। অভিযোগকারীর কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর যা মোবাইলের মাধ্যমে ২হাজার ১৬০টাকা নেয়া হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কয়েক গুন বেশী নিয়েছে। কোন শিক্ষার্থী পাশ করার পর প্রসংশা পত্র, নম্বর ফর্দ ও সনদ আনতে গিয়ে সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ফি ব্যাংকে জমা দিয়ে পটুয়াখালী বাউবির অফিসে গেলে অতিরিক্ত ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা দিতে হচ্ছে, নইলে ভোগান্তির শিকার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষা চালানোর জন্য বাউবি কর্তৃপক্ষ যে টাকা প্রদান করেন তাতে পরীক্ষা চালানো কষ্টকর, সে টাকা থেকেও দাবী করে কো-অর্ডিনেটিং অফিসার মো. জাকির হোসেন। পরীক্ষার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করে তাকে সন্তোষজনক অর্থ দেওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি ।
এ ছাড়াও তিনি গর্ব করে বলেন, পটুয়াখালী আমার বাড়ী, এখানে আছি, থাকব ও কেউ বদলী করাতে পারবে না। পটুয়াখালীর উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটিং অফিসার মো. জাকির হোসেনকে অন্যত্র দ্রুত বদলী করা হলে পটুয়াখালী সকল স্টাডি সেন্টার গুলো থেকে দাবী উঠেছে। নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটিং অফিসার মো. জাকির হোসেন কে স্টান্ড রিলিজের মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলার উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটিং অফিসার মো. জাকির হোসেনের (০১৭১৫২১৩৪৫৮) মুঠোফোনে বারবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।