শিরোনাম:
●   ধর্ষক ফাহিম ও রিমন চাকমার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ●   রাঙামাটি জেলায় গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ও প্রতিফলন ঘটেনি ●   কাল ১৮এপ্রিল রাঙামাটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন ●   কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ●   অবিলম্বে মেঘনাকে মুক্তি দিন, ৭৪ এর বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করুন ●   মার্কিন মদদেই ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়ে যেতে পারছে ●   আত্রাইয়ে তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কাগজের ফুল ●   পাহাড়ে নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তির সাতরঙা উৎসব : মো. রেজুয়ান খান ●   বাগেরহাটে লবণাক্ত পতিত জমিতে মাঠজুড়ে সূর্যমূখীর হাঁসি ঝিলিক ●   প্রকাশ্য রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করছে রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ●   ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ল বিধবার ঘর ●   ১৩ বছর পর জমি দখলে নেয় ভুক্তভোগী, ভিন্নখাতে নিতে অপ-প্রচার ●   দেহ ব্যবসায়ীদের আস্তানা পুড়িয়ে দিলেন এলাকাবাসী ●   রাঙামাটিতে নারী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন : ঘাতক গ্রেফতার ●   গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হোন - ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল কর্মসূচি সফল করুন : জুঁই চাকমা ●   বাঙ্গালহালিয়া শিব মন্দিরে ৫ দিনব্যাপী বাসন্তী মায়ের পূজা ●   রাঙামাটি এটিআই শিক্ষার্থীরা ৮ দফা কর্মসূচির ঘোষণা ●   ছেলের দায়ের কোপে আহত মায়ের মৃত্যু ●   সু-প্রদীপ চাকমা রাঙামাটিতে আগমনের প্রতিবাদে কালো পতাকা হাতে বিক্ষোভ ●   রাঙামাটি বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ●   এতিম শিশুদের সাথে ঈদ-উল-ফিতর এর আনন্দ ভাগ করে নিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ●   রাঙামাটিতে ঈদের উপহার পেলেন সাড়ে তিন’শ ইমাম মুয়াজ্জিন ●   সিয়াম সাধনার পুরস্কার : ঈদুল ফিতরের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ●   সাইফুল হক দেশবাসীকে ঈদ উল ফিতর এর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ●   সু-প্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছে পিসিসিপি ●   পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের নজিরবিহীন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পিসিসিপি ●   জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে মতামত জমা দেয়া হয়েছে ●   রাঙামাটিতে স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশনের ঈদ বস্ত্র বিতরণ ●   রাঙামাটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয় আটক ●   রাঙামাটিতে রক্তেভেজা গণঅভ্যুত্থান : পাহাড়ের বৈষম্য বইয়ের মোড়ক উম্মোচন
রাঙামাটি, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২



CHT Media24.com অবসান হোক বৈষম্যের
সোমবার ● ৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৪০ বাড়ী বিলীনের পথে
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৪০ বাড়ী বিলীনের পথে
সোমবার ● ৭ আগস্ট ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৪০ বাড়ী বিলীনের পথে

---ময়মনসিংহ অফিস :: (২৩ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.২২মি.) ময়মনসিংহ সদরের কুষ্টিয়া ইউনিয়নের হৈয়ারকান্দি, রূপাখালি ও বেগুনবাড়িসহ তিন গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের ক্রমাগত ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিবছর বছরে ন্যায় এবারও ভাঙন দেখা দেয়ায় প্রায় ৪০টি পরিবার ভাঙন-আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে । এর আগে গত তিন বছরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ২০ পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে গেলেও প্রশাসন ভাঙনরোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ জানান ভূক্তভোগীরা।

ভাঙন কবলিত মানুষের অভিযোগ, ব্রহ্মপুত্র নদের এ এলাকায় ছয় বছর আগে প্রথম ভাঙন দেখা দেয়। ওই বছর একটিমাত্র বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়। এরপর দুই বছরে আর ভাঙন দেখা যায়নি। তিন বছর ধরে বর্ষাকাল এলেই এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। বার বার বিষয়টি জানানোর পরও সরকারিভাবে ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

রূপাখালি গ্রামের ৭০ বছর বয়সী আছর আলী বলেন, বাপ-দাদার ভিটা চোখের সামনে নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। দেখেও কিছু করার নেই। সরকারের পক্ষ থেকেও বসতভিটা রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসেনা।

স্থানীয়রা জানান, রূপাখালি গ্রামের কমপক্ষে ১০টি বাড়ির আঙ্গিনা ঘেঁষে দেখা দিয়েছে ভাঙন। গ্রামের ছাইদুলের ইসলামের বাড়িটি এবার বিলীন হয়ে গেছে। অন্য কোনো জমি না থাকায় নদীর পারে ভাঙন ঘেঁষে ছোট দু’টি ঘর তুলে তিনি বসবাস করছেন। এরই মধ্যে বাড়ির আঙিনায় দেখা দিয়েছে ফাটল।

ছাইদুলের মা ফজিলা খাতুন বলেন, ‘রাতের বেলা ভয়ে বুক কাঁপে। আমাদের অন্য কোনো জমি নাই। তাই এখানে ভয়ে ভয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছি।’
রানু বেগম নামের একজন নারী বলেন, হৈয়াকান্দি গ্রামে ছিল তাদের বাড়ি। দুই বছর আগে সেই বাড়ি নদীতে বিলীন হয়। এরপর থেকে পাশের বেগুনবাড়ি গ্রামে নদীর পারে নতুন বাড়ি করে বসবাস করছেন। এই বাড়িটিও ভাঙনের হুমকিতে আছে।
রূপাখালি গ্রামের মোনতাজ আলী (৭০) বলেন, তিন বছরের ভাঙনে এ গ্রামের ১০টি বাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে। অনেকেই অন্য এলাকায় বাড়ি করেছেন। আবার কয়েকটি পরিবার এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।

ওই তিন গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রূপাখালি গ্রামেই সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে। কয়েকটি বাড়ির একেবারে ধার ঘেঁষে দেখা দিয়েছে ভাঙন। কয়েকটি পরিবার ভাঙনের ভয়ে রাতে অন্যের বাড়ি গিয়ে থাকে। গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ভাঙনকবলিত তিনটি গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের ফসলি জমিও কম। তাই তারা বাড়ি সরিয়েও নিতে পারছেন না।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, হৈয়ারকান্দি গ্রামের একটি মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থানের ধার ঘেঁষে দেখা দিয়েছে ফাটল। গ্রামবাসী সরকারের কাছে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিএইচটি মিডিয়াকে বলেন, নদীভাঙনের জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের কাছে জমা দেয়াও হয়ে গেছে।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও ময়মনসিংহ সদর আসনের এমপি বেগম রওশন এরশাদের সাথে এ নিয়ে কথা হয়েছে। তিনিও বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্থ করেছেন’ বলে আরও জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)