সোমবার ● ৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » শিরোনাম » কুরুয়াবাজার রাস্তার জন্য ৪ উপজেলার জনসাধারনের দুর্ভোগ চরমে
কুরুয়াবাজার রাস্তার জন্য ৪ উপজেলার জনসাধারনের দুর্ভোগ চরমে
মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৩ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১০মি.) বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলাবাসি একটি রাস্তার জন্য যুগ যুগ ধরে দুর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ৪ উপজেলাবাসির দাবি এখন উপেক্ষিত। সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ আজিজুর রহমান, এম. ইলিয়াস আলী, শফিকুর রহমান চৌধুরীর মাধ্যমে ৪কিলোমিটার ও বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৭শত মিটার রাস্তা পাকাকরণ করার পরও এখনও প্রায় ৪শত মিটার বিশ্বনাথ-পুরকায়েস্থবাজার-কুরুয়াবাজার রাস্তার কাজ রয়ে গেছে। যার ফলে ৪ উপজেলাবাসি সংযোগ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেনা। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত:নেই।
১৯৫৩ সালে বিশ্বনাথ-পুরকায়েস্থবাজার-কুরুয়াবাজার রাস্তাটি মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম.এ.জি ওসমানীর পিতা মাটি কাটার মাধ্যমে রাস্তার উদ্বোধন করেন। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য আজ পর্যন্ত ওই রাস্তাটি পরিপূর্ণতা পায়নি। যার কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ দিনের পর দিন সীমাহীন কষ্টে চলাফেরা করছেন।
রাস্তার পাশে রয়েছে শ্বাসরাম রহমান আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সরুয়ালাস্থ দক্ষিণ বিশ্বনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজ, দক্ষিণ বিশ্বনাথ কিন্টার গার্টেন, ভোগশাইল কেরামত আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহপিন উচ্চ বিদ্যালয়, সেনারগাঁও শাহজালাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হযরত বেলার (রা.) হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহওলী খন্দকার (রহ.) মাজার, হযরত শাহপিন (রহ.) মাজার, ছমরউদ্দিন আউলিয়ার মাজার, শাহ দুধ মালিক (রহ.), একাশাহ (রহ.), পশ্চিম শ্বাসরাম জামে মসজিদ, পশ্চিম শ্বাসরাম জামে মসজিদ (মোকাম), সরুয়ালা জামে মসজিদ, ভোগশাইল জামে মসজিদ, সেনারগাও জামে মসজিদ, পূর্ব চান্দশীরকাপন জামে মসজিদ, ভোগশাইল পোষ্ঠ অফিস, ভোগশাইল মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম আসলে কুরুয়াবাজার ও কাইয়াকাইড় (নতুনবাজার) থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সীমাহীন কষ্ঠ হয়। এসব কষ্টের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এসে ক্লাস করতে হয়। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ-পুরকায়েস্থবাজার-কুরুয়াবাজার রাস্তাটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য সংসদ সদস্যদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে শাহপিন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফজল মিয়া বলেন, ৪টি থানার সংযোগ সড়কটি অসমাপ্ত থাকায় সারা বছর মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দক্ষিণ বিশ্বনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহমিনা বেগম বলেন, এত পুরনো একটি রাস্তা আজ পর্যন্ত সমাপ্ত না হওয়ায় আমাদের খুব দু:খ লাগে। এলাকার শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে রাস্তাটি দ্রুত সমাপ্ত করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি জোরদাবী জানান।
দক্ষিণ বিশ্বনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজের ছাত্রী হাফিজা বেগম বলেন, পুরো রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় দুরের শিক্ষার্থীরা ওই কলেজে পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
শাহওলী খন্দকার সমাজ কল্যাণ সংস্থা ও পাঠাগারের সভাপতি মো. কছির আলী বলেন, অল্প জায়গার জন্য ৪টি উপজেলাবাসি মারাত্বকভাবে কষ্ঠ করছেন। তিনি ওই এলাকার শিক্ষার্থীর কথা চিন্তা করে রাস্তাটি পাকা করার জন্য সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া ও সরকারের প্রতি জোরদাবি জানান এবং ৭ মিটার রাস্তা পাকা করার জন্য এলাকাবাসি ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছয়ফুল হক বলেন, বিশ্বনাথ-পুরকায়েস্থবাজার-কুরুয়াবাজার রাস্তাটি উপজেলার প্রাচীণ রাস্তা। যে রাস্তা সমাপ্ত হলে ৪টি উপজেলাবাসি উপকৃত হবে সেই রাস্তাটি দ্রুত শেষ করার জন্য সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী খোন্দকার গোলাম শওকত সাংবাদিকদের বলেন, ৪০০ মিটারের জন্য রাস্তা অসমাপ্ত থাকবেনা। একটি পুরনো রাস্তা হিসেবে আমাদের বিবেচনায় আছে।
তিনি বলেন, আইআরআইপি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে যদি আমাদের বলা হয় তাহলে ওই রাস্তাটি ওই প্রকল্পের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।