সোমবার ● ৭ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জাতীয় » মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহ’র মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই !
মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহ’র মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই !
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: (২৩ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২২মি.) বাংলার বীর সন্তান মানেই দেশের স্বার্থে নিজের জীবন যারা উৎস্বর্গ করে দিয়েছে । একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনির হাত থেকে পূর্ব-পাকিস্থান নাম পরিবর্তন করে নতুন একটি নাম নতুন একটি দেশ গুটা জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন । আজও সারাদেশবাসী তাদের স্মরণ করে । একাধিক কু-চক্রী মহলের কারণে আজও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত । কয়েকমাস পূর্বে বাংলাদেশ সরকার যাচাই বাচাই কমিটি গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সনাক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেন । কিন্তু তাতেও থেমে নেই দূর্নীতি ও স্মজনপ্রতির কারণে অনেক স্থানে একাধিক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বাদ পড়েছেন । ১৯৭১ সনে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহন করার পর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম নেই নবীগঞ্জের ইদ্দিছ উল্লাহ’র । জানা যায়, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় দেশের স্বার্থে সমগ্র জাতির মত যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন নবীগঞ্জের আউশকান্দি ইউনিয়নের পরকুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত জলিল উল্লাহ’র পুত্র ইদ্দিছ উল্লাহ। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৬নং সেক্টরের নেতৃত্বে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন । যুদ্ধ চলাকালিন সময় তিনি পাক হানাদার বাহিনির গুলির আঘাতে গুলিবিদ্ধ হন । পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইদ্দিছ উল্লাহকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অবদানের জন্য তৎকালিন বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনির অধিনায়ক মোহাম্মদ আতাউল গনী ওসমানী’র স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ পত্র প্রদান করা হয় । কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা এবং সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহ কি কারণে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ইদ্দিছ উল্লাহ ? মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাইয়ে কী গড়মিল রয়েছে নাকি নবীগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোনো গাফেলতি রয়েছে ? এমন প্রশ্ন জনমনে । ১২ মে ১৯৯৩ সনে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট হইতে মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য ইদ্দিছ উল্লাহ যুদ্ধ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন উনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এই মর্মে উল্লেখ করে সুপারিশ নামা দেয় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ থানা শাখা । সরকার কর্তৃক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা ইদ্দিছ উল্লাহ’র সাথে আলাপকালে তিনি মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহণ এবং যুদ্ধ চলাকালের অনেক স্মৃতিচারণ করেন । তিনি বলেন,আতাউল গনি ওসমানী স্যারের সাথে আমার ২বার দেখা হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদ পত্র চট্রগ্রাম হইতে উনার হাত থেকে গ্রহণ করি,আমি আমার খুব কষ্টে জীবনযাপন করতেছি আমি প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামণা করছি । এদিকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও সরকারের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাতে নাম নেই কেন ? এবং কেন আজ মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এত কষ্টে জীবনযাপন করতে হচ্ছে এনিয়ে উপজেলা জুড়ে চলেছে আলোচনা সামলোচনা । এবিষয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার কমান্ডার নূর উদ্দীন (বীরপ্রতিক) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনলাইনে যারা আবেদন করেছিল তাদের যাচাই বাচাই প্রক্রিয়া শেষে চুড়ান্ত তালিকা পাঠানো হয়ে গেছে এখন আর সুযোগ নেই যদি পরবর্তীতে আবার আবেদন করার জন্য সরকার সুযোগ দেয় আর উনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন আমাদের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতা করা হবে ।