রবিবার ● ১৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » নামসর্বস্ব পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: স্থানীয় যুবকের উদ্যোগে চিকিৎসা কেন্দ্র
নামসর্বস্ব পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র: স্থানীয় যুবকের উদ্যোগে চিকিৎসা কেন্দ্র
সিলেট প্রতিনিধি :: (২৯ শ্রাবণ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৩৩মি.) সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা তীরবর্তী জনপদের নাম বুধবারীবাজার। ১৯৮৬ সালে এ বুধবারীবাজারেই স্থাপিত হয় ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। দীর্ঘ সময় ধরে পরিচালিত এ কেন্দ্রে একজন মাত্র উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ছাড়া যাদেরই পদার্পন হয়েছে তাদের পদ ছিল ভিন্ন। যেমন মহিলা ইউনিয়ন পরিদর্শক, আয়া কিংবা নাইটগার্ড।স্থানীয় জনতার চাপাচাপিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র দু’বার দু’জন এমবিবিএস ডাক্তার সপ্তাহে দু’দিন করে নিয়োগ দিলেও এক মাসের বেশি সময় কারো আসা হয়নি। ফলে উপ-সহকারী দীর্ঘ ১৪ বছর কাটিয়েছিলেন এ পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।
২০১৪ সালে উপ-সহকারীর বদলি হলে শুন্য হয়ে পড়ে এ পদটিও। স্থানীয় লোকজন পড়ে যান বেকায়দায়। জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ এবং উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এ পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি।
স্থানীয় বাজারে কয়েকটি ঔষধের দোকান থাকলেও কেউ আর নির্ধারিত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সনদধারী নন। এর পরও রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এ চিকিৎসার বৈধতা না থাকলেও রোগীরা মনে করেন ওরাই পাশ করা ডাক্তার।
বিষয়টি নিয়ে জেলা উপজেলা পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন কাজ হয়নি। সকলেরই একই উত্তর নিয়োগ হয়নি। অথচ চিকিৎসকের নিয়োগ না হলেও রোগীদের কাছে রোগের নিয়োগ সর্বদাই উম্মুক্ত। এমন পরিস্থিতিতে পড়ে রোগীরা যেতে হয় অনেক দূরের পথ অতিক্রম করে।
বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলেও বহরগ্রাম-শিকপুর ফেরী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী পড়েছেন বিপাকে। একজন রোগী নিয়ে শহরে পৌছতে হলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
বর্তমান যুবসমাজ নতুন একটি উদ্যোগের চিন্তা মাথায় নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। তবে যদি তারা প্রবীনদের কাছ থেকে সাড়া পান। তাদের উদ্দেশ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জেলা উপজেলা অধিদপ্তর অথবা বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ)’র সাথে যোগাযোগ করে সপ্তাহের ৭ দিনের ৬দিন আলাদা আলাদা দিনে ১জন করে ডাক্তার এনে দ্ইু অথবা তিন ঘন্টার চিকিৎসা প্রদান করা। এ জন্য প্রত্যেক রোগীকে গুণতে হবে ৫০ টাকা করে।
যুবকরা মনে করেন, প্রত্যেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে চুক্তি ভিত্তিক মাশুয়ারা সম্মানী প্রদান করলে ডাক্তার খরচ এবং রোগীদের চিকিৎসা উভয়ের হিসাব মেলানো সম্ভব হবে। তাই অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে বসতে ইচ্ছা পোষন করেছেন স্থানীয় যুবসমাজ । যুবসমাজের প্রতিনিধির মতে সকলের মতামতের ভিত্তিকে এ কাজে হাত দেয়া হবে।